হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:

নিজের গুম হওয়ার ঘটনায় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। অন্য আসামিরা হলেন– সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, এ কে এম শহিদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও ডিবির সাবেক ডিসি মনিরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ অভিযোগ জমা দেন তিনি। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগ গ্রহণ করেন।

এসময় বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুলসহ অনেকে।

এর আগে নিজের গুম হওয়ার অভিযোগ জমা দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর গুম কমিশনে নিজের গুম হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ও গুমের শিকার সালাহউদ্দিন আহমেদ।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাকে আটক করা হয়।

সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।

২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন। আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য আসাম রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তার বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান। দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর ১১ আগস্ট দেশে ফেরেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

কারাগারে হাই কমোড চাইলেন পলক

স্টাফ রিপোর্টার: 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী মানিক মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে, আজ সকালে পলককে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক শেখ হাদীউজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আসামির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন।

পরে শুনানিতে পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, পলককে ৪৬ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি ৩১ দিন রিমান্ডে ছিলেন। গত ৯ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি ভিত্তিতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দেখা যায়, তিনি কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। এ অবস্থায় তিনি ট্রাভেল করতে পারবেন না। লো কমোড ব্যবহার করতে পারবেন না, হাই কমোড লাগবে।

পলকের এই আইনজীবী বলেন, বারবার সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো তথ্য উদঘাটন হচ্ছে না। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তার রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা একটা লিস্ট পেয়েছি। সেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১৫৮১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তো ১৫৮১টি মামলা হওয়া উচিত। আর কোর্টে আসলে অসুস্থতার শেষ নেই। কোর্টে আসার মতো পরিস্থিতি থাকে না। বাইরে থাকলে হত্যাকাণ্ড চালাতে দ্বিধাবোধ করেন না। আরও হত্যা মামলা তার বিরুদ্ধে আসতে পারে।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট ঢাকার চানখারপুলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান শিক্ষার্থী মানিক মিয়া। এ ঘটনায় রাজু আহমেদ নামে একজন বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার দুই নম্বর এজাহারনামীয় আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক।

 

সবা:স:জু-২৬৪/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম