তারিখ লোড হচ্ছে...

যাত্রাবাড়ীতে শিশু বলাৎকারের অভিযোগে দুই মাদরাসা শিক্ষককে গণপিটুনি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধনিয়াস্থ প্রধান সড়কে অবস্থিত মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় দুই ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে দুই শিক্ষককে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছেন অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এর আগে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটলেও তারা ভয়ে জানাতে পারেনি।

যাদের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ তারা হলেন- ওই মাদরাসার আরবি শিক্ষক আবু বকর ও আল আমীন।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনার পর ওই মাদরাসার সাড়ে ৪০০ বেশি শিক্ষার্থীকে বাড়ি নিয়ে গেছেন অভিভাবকরা।

নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রদের অভিভাবকরা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে সন্তানদের হাফেজ বানাতে যাত্রাবাড়ীর মারকাজুত তাহফিজ মাদরাসায় ভর্তি করান। কিন্তু আবাসিক এই মাদরাসায় বছরের পর বছর শিক্ষার্থী বলাৎকারের অভিযোগ ছিলো। হাতে নাতে যার প্রমাণ মেলে শুক্রবার। হেফজ শাখার আট ও দশ বছরের দুই শিক্ষার্থী বহুদিন ধরে বলাৎকারের শিকার হয়ে আসছিল। শুক্রবার তারা বাড়ি গিয়ে পরিবারে ঘটনা জানালে অভিভাবকরা এসে দুই  শিক্ষক আবু বকর ও আল আমীনকে গণপিটুনি দেয়।
এদিকে মাদরাসার বাকি শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও বলৎকারের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তবে ঠিক কত দিন ধরে এমন ঘটনা ঘটে আসছে সেই তথ্য দিতে রাজি হয়নি।

মাদরাসাটির শিশুরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষকরা বলাৎকার করে আসছিলেন। তারা মাদরাসাটির চতুর্থ ও পঞ্চম তলা নিয়ে শিশুদের বলাৎকার করতেন।

মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ নেসার আহমদ আন নাছিরী একজন ধর্মীয় বক্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার লাখ লাখ ফলোয়ার। তিনি নিজেও এই ঘটনায় গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন। ২০০৯ সালে চালু হওয়া এই মাদরাসায় এখন নারী-পুরুষ তিন শাখায় এক হাজারের বেশি  আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

জানা গেছে, মাদরাসাটির খরচও ব্যয়বহুল। ভিআইপি হলে প্রতিমাসে খরচ ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর সাধারণ হলে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। মাদরাসাটির আয় মাসে কয়েক কোটি টাকা ।
তবে ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবকরা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে বাড়ি নিয়ে গেছে ।

অভিযোগ আছে, মাদরাসা মালিক নেছারী এবং স্থানীয় কিছু অসাধু কিছু ব্যক্তির ভয়ভীতির মুখে ভুক্তভোগীরা মামলা করার সাহস পাচ্ছে না।
এই মাদ্রাসার অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন আরো অভিযোগ রয়েছে যা যাচাই বাচাই করে পরবর্তিতে প্রকাশিত হবে।

কালব চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা:বোর্ডের সাত সদস্যের পদত্যাগ

স্টাফ রিপোর্টার:
দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি: (কালব) এর ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা,বিদ্যমান সমবায় আইন,বিধিমালা ও কালবের উপ-আইন উপেক্ষা করে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন,ঋণ বিতরনের মত মূল কার্যক্রম বাদ দেয়ার মাধ্যমে খেলাপী বানিয়ে সদস্য ক্রেডিট ইউনিয়নের মৃতবৎ অবস্থাকরণ এবং নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে আজ ২৯ জুলাই ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে সাত জন সদস্য আজ পদত্যাগ করেছেন বলে জানাগেছে।
ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে পদত্যাগকারি সদস্যরা হচ্ছেন-ভাইস চেয়ারম্যান ফাহমিদা সুলতানা সীমা,সেক্রেটারী মো: আরিফ মিয়া,পরিচালক মো: আ: মান্নান লোটাস,ডা. নোয়েল চার্লস গোমেজ,মো: হেলাল উদ্দীন,আশীষ কুমার দাশ ও মো: আরিফ হাসান।
আজ দুপুরে সমবায় অধিদপ্তরে পদত্যাগী সাতজন সদস্য স্বশরীরে হাজির হয়ে;নিবন্ধক ও মহাপরিচালক শরীফুল ইসলামের সাথে দেখা করে পদত্যাগ পত্রের অনুলিপি প্রদান করেন। এবং তারা অতিদ্রুত সমবায় আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও নতুন নির্বাচন আয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্যে নিবন্ধকের প্রতি অনুরোধ জানান।আইন ও বিধি অনুযায়ী যথা সময়ে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করার বিষয়ে নিবন্ধক আশ^স্ত করেছেন বলে সমবায় অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে।
সূত্রমতে, সমবায় আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য পদত্যাগ করলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বোর্ড ভেঙ্গে যায়। তখন সমবায় অধিদপ্তর অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দেয়। অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি ১২০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজনের ব্যবস্থা করে।
উল্লেখ্য, আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে তার দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে আবেদনের স্তুুপ জমেছে। অন্যদিকে কালবেও তিনি এতদিন সমবায় আইন,বিধি,কালবের উপ-আইন ও সুপ্রীম কোর্টের আদেশ লংঘন করে চেয়ারম্যান পদে অবৈধভাবে ছিলেন। তার পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে কনটেম পিটিশন দায়ের করা আছে। পিটিশন নং-২৭/২০২৪।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম