যেসব রোগীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে কলা

ডেস্ক রিপোর্ট:

শরীরের স্ট্যামিনা বাড়াতে কলা অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফল। এতে প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, এবং নানা ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা তাৎক্ষণিক এনার্জি জোগাতে সহায়তা করে। তবে যতই পুষ্টিকর হোক না কেন, কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় কলা খাওয়া বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। নিচে এমন কয়েকটি অবস্থার কথা তুলে ধরা হলো:

ডায়াবেটিক রোগী:
পাকা কলায় প্রাকৃতিক চিনি ও উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন:
কলা তুলনামূলকভাবে ক্যালরিযুক্ত। যারা ওজন কমাতে চান বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য কলা অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। এতে স্ট্যামিনা বাড়লেও শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার আশঙ্কা থাকে।

কিডনি রোগী:
কলা পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ। কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে পটাশিয়াম জমে গিয়ে হৃদস্পন্দনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কিডনি রোগীদের কলা এড়িয়ে চলাই ভালো।

হজম সমস্যা ও আইবিএস :
যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে বা যারা আইবিএসে (IBS) ভোগেন, তাদের জন্যও কলা সমস্যার কারণ হতে পারে। কলার ফার্মেন্টেবল কার্বোহাইড্রেট উপাদান গ্যাস, পেট ফাঁপা বা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

ত্বক উজ্জ্বল করে যে ৬ খাবার

ডেস্ক রিপোর্ট:

ত্বক উজ্জ্বল করতে শুধু সানস্ক্রিন ব্যবহার নয়, আপনি কী খাচ্ছেন সেটির ওপরেও নির্ভর করে ত্বকের উজ্জ্বলতার বিষয়টি। কিছু খাবার নিয়মিত খেলে প্রাকৃতিকভাবেই ত্বক হয়ে উঠতে পারে উজ্জ্বল ও সুন্দর। এগুলো ত্বকের ভেতর থেকে শরীরে পুষ্টি জোগায়। জেনে নিন ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে কোন কোন খাবার।

বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু খেতে পারেন নিয়মিত। বিটা-ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। এই ভিটামিন ত্বককে শুষ্কতা ও সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ কাঠবাদাম প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। বাদামের মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ত্বকের লিপিডের মাত্রা বজায় রাখে, হাইড্রেশন এবং নমনীয়তা নিশ্চিত করে। নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পাশাপাশি বাদাম দিয়ে ফেস প্যাকও বানিয়ে নিতে পারেন। বাদাম ভিজিয়ে রেখে জাফরান মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন প্যাক।
কুমড়ার বীজ জিঙ্ক সমৃদ্ধ। জিঙ্ক ত্বক নিরাময়, তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ এবং প্রদাহ কমানোর জন্য কার্যকর। হরমোনের ভারসাম্য পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে খনিজটি। এছাড়াও কুমড়োর বীজে ভিটামিন ই এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ত্বককে মসৃণ রাখে।

লাইকোপিন সমৃদ্ধ টমেটো ত্বকের যত্নে অনন্য। লাইকোপিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে দূরে রাখে ও ত্বকের প্রদাহ কমায়। নিয়মিত টমেটো খেলে সূর্যের ক্ষতি থেকে রেহাই পাবে ত্বক। অকাল বার্ধক্যের বিরুদ্ধেও লড়াই করে টমেটো। খাওয়ার পাশাপাশি টমেটোর স্লাইস মুখে ঘষলেও উপকার পাবেন।

পেঁপে নিয়মিত খেতে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হবে। পেঁপেতে প্যাপেইন নামক একটি প্রাকৃতিক এনজাইম রয়েছে, যা মৃত ত্বকের কোষ দূর করে। এতে ভিটামিন সি এর পরিমাণও বেশি থাকে, যা কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, পিগমেন্টেশন এবং সূক্ষ্ম রেখার উপস্থিতি হ্রাস করে।

গ্রিন টি ক্যাটেচিনের মতো পলিফেনল সমৃদ্ধ। এটি এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে ত্বক ভালো থাকে। ওপেন পোর স থেকে মুক্তি পেটে টোনার হিসেবে ঠাণ্ডা গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম