যুব উন্নয়নের নামে লুট:

স্টাফ রিপোর্টার:

যুব উন্নয়নের নামে হরিলুট চলছে খোদ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে। সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের ঘনিষ্ঠ যুব কাউন্সিলের সভাপতি মাসুদ আলম বাগিয়েছেন প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণ প্রকল্প। আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং তার প্রতিষ্ঠান ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে দুদকে চলছে তদন্ত। একটি প্রভাবশালী মহল মাসুদকে কাজ পাইয়ে দিতে সর্বোচ্চ অনিয়ম করেছে বলেও উঠেছে অভিযোগ।

সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ২৯৭কোটি টাকার ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রকল্পের দরপত্র সাজানো হয় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাসুদ আলমের ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের জন্য। যার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, ভুয়া সার্টিফিকেট এবং ডিজিটাল প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের পর জুলাই চেতনার সরকারের আমলেও সেই মাসুদের প্রতিষ্ঠানই এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। অথচ ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের টেন্ডার যোগ্যতা নিয়েও ছিল প্রশ্ন। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কোম্পানিকে ১০ বছরের প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা থাকার শর্তে নির্বাচিত করা হয়েছে-যা টেন্ডার শর্তাবলির সরাসরি লজজ্জন।

প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হামিদ খান ও কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ‘ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড’র কর্ণধার মাসুদ আলমের ঘনিষ্ঠতা এবং তাদের একযোগে বিদেশ সফরের তথ্য নিয়ে ইতোমধ্যে চলছে নান মহলে গুঞ্জন। এই দুজনের ঘনিষ্ঠতা এবং তাদের একযোগে বিদেশ সফর স্বার্থের সংঘাত (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) তৈরি করেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অনুসন্ধানে ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের সঙ্গে প্রভাবশালী আমলাতান্ত্রিক চক্রের তথ্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দুই সাবেক সচিবের গভীর ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতা উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় রয়েছেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া সচিব মেসবাহ উদ্দিন। ২০২২ সালে সচিব থাকাকালে মেসবাহ উদ্দিন ৪৬.৭ কোটি টাকার একাটি প্রশিক্ষণ প্রকল্পের নকশা করেন। পরের বছর তার ঘনিষ্ঠ মাসুদ আলমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি কাজ পায়। অবসরের কয়েক মাসের মধ্যেই মেসবাহ নিজেই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও শেয়ারহোল্ডার হন। ক্ষমতাসীন দলের ঘনিষ্ঠ আমলা মেসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অতীতে বিচারবিভাগীয় ক্যুর চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। তিনি গত অক্টোবরে ‘জুলাই গণহত্যা’সংক্রান্ত একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন।

মাসুদ আলমের আরেক ব্যবসায়িক অংশীদার সাবেক সচিন আখতার হোসেনের স্ত্রী মাহবুবা আজার। তিনি মাসুদের অন্য কোম্পানি নগদহাট বাংলাদেশ লিমিটেডেরও শেয়ারহোল্ডার। কোম্পানি দুটি গঠিত হয় যথাক্রমে ২০২০ ও ২০২১ সালে। আরজেএসসির নথি অনুযায়ী, নগদহাটে মাহবুবা ছাড়াও যুক্ত ছিলেন আরেক সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন। আখতার মোসেন ২০২২ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসডিজি সমন্বয়ক হন। এ তথাগুলো একত্রে বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়-প্রকল্পটি প্রাপ্তির পেছনে ছিল ক্ষমতাধর আওয়ামী ঘনিষ্ঠ আমলাদের যোগসাজশ। এই স্বার্থারেধী চক্র, যারা সরকারি টেন্ডার প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের ব্যবসায়িক সুবিধা নিশ্চিত করেছে। এছাড়া ক্রয় কমিটিতে উপস্থাপিত তথ্যে দেখা যায়, দরপত্রে ২০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তবে গ্রহণযোগ্য (রেগগনসিড) হয় ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড, বাংলাদেশ আইটি ইনস্টিটিউট, এসইও এক্সপেইট বাংলাদেশ লিমিটেড এবং নিউ হরাইজনস সিএলসি অব বাংলাদেশ। কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়ন যোগ করে প্রথম হয় ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড। প্রতিমন্ত্রী রাসেলের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে পরিচিত মাসুদ আলমের প্রতিষ্ঠানকে আইটি প্রশিক্ষণ প্রকল্প দেওয়া নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গত অক্টোবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফলে সাময়িকতাবে প্রকল্প অনিশ্চিত হলেও পরে অজানা এক ক্ষমতার জোরে সেটি মাসুদের কোম্পানির অনুকূলে চূড়ান্ত হয়। অথচ, মামুদ আলম ছিলেন ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগ (রবিউল-রানা) কমিটির সহসম্পাদক। গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং স্থানীয় সংসদ-সদস্য নাহিদ রাজ্জাকের কর্মী। জাতীয় নির্বাচনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ নামক সোশ্যাল মিডিয়া পেজ (এমএ সপি এম) সাময়িক সচিব এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরিচালনা করেন এ মাসুদ। এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি স্বার্ট বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩, শেখ হাসিনা ইয়ুথ ডলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২, জাতীয় যুব পুরস্কারসহ একাধিক সম্মাননা পান। তার বাবা আজাহার উদ্দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার ছোট ভাই রাসেল আলম করতেন ছাত্রলীগ। ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর টেলিভিশনে রাঙা সকাল নামে একটি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে মাসুদ বলেন, ‘২০০১ দালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমরা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হই। আমার বাবা আজাহার উদ্দিন আওয়ামী লীগ করতেন বলে তখন তিনি পালিয়ে যান। ফলে প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনাও শেষ করতে পারিনি।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেহেতু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই এবং তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তমন্ত্র চলছে। তাই এ কার্যাদেশ বাতিল করে প্রকল্পটি আবার টেন্ডারের আওতায় আনা উচিত। তবে তার আগে যাচাই করা জরুরি-এ প্রকল্পটি আদৌ দেশের জন্য কতটন প্রয়োজনীয়। অতীতে ‘ডিজিটালাইজেশন’র নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে স্বৈরাচারী সরকার। এখন সময় এসেছে খতিয়ে দেখার-এ প্রকল্পও সেই লুটপাটের ধারাবাহিকতায় অংশ কিনা? প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও যেদিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আউটসোর্সিং ও বিভিন্ন আইটি ট্রেনিংয়ের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ ধরেছে। লাখ লাখ তরুণকে এখন প্রশিক্ষণ নিয়েছে যার ফলাফল পুণ্য। নতুন বাংলাদেশের নামে ফ্যানিস্টের পুনর্বহাল হচ্ছে এবং যেভাবে জনগণের অর্থ অপচয় করা হচ্ছে, তা আগের চেয়েও বেশি মুঃখজনক ও উদ্বেগজনক।’
এ বিষয়ে জানতে মাসুদ আলমের সঙ্গে সরাসরি ও পরি মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ওএম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ কোম্পানির ভেলকিবাজি, ডাবল মুনাফার খপ্পরে নিঃস্ব দেশের হাজারো পরিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে ডাবল মুনাফার লোভ দেখিয়ে (এমএলএম) বাংলাদেশী মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি, গুলোর মধ্যে বেশির ভাগ কোম্পানি গুলো গ্রাহকদের বিনিয়োগ জমা নিয়ে প্রতারনা করে চলেছেন দির্ঘদিন ধরে। এমএলএম সহ মার্কেটিং বিনিয়োগ বিষয়ে দেশে প্রচলিত আইন- কানুন রয়েছে।প্রচলিত আইন চালু থাকলেও আইনকে বৃদ্ধআঙ্গুল দেখিয়ে এমএলএম কোম্পানি গুলোর মালিকানাধীন শেয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উচ্চ পদস্থ নেতা – কর্মীদের নামিও হওয়ার সুবাদে এমএলএম কোম্পানি গুলে অদৃশ্য ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রতিনিয়তো নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে নানান নামিও সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে এমএলএম কোম্পানি গুলো বিনিয়োগ কারিদের সাথে প্রতিনিয়তো প্রতারণা করেই চলেছেন। যার কারনে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে এমএলএম কোম্পানিতে বিনিয়োগ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি সাধারণ বিনিয়োগ কারি ব্যক্তিরা আস্থা হারিয়ে ফেলছে। কিন্তুউন্নত বিশ্বে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এমএলএম কোম্পানি গুলো বিনিয়োগ কারিদের আমানত সঠিক সময়ে প্রদান করে থাকেন, যা এবিষয়ে একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সম্প্রতি ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় ওএম বাজার, ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ এবং টাইমস্ ইন্টারন্যাশনাল লিঃ নামিও কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ কারিদের আমানত লোপাট,শর্ত অনুযায়ী বিনিয়োগের অর্থ ৪০ মাস পূর্ণ হলেও বিনিয়োগ কারিরা তাদের বিনিয়োগের অর্থ মুনাফা সহ ফেরৎ না পাওয়া, গ্রাহক হয়রানি এবং বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের আমানত বিদেশে পাচার সহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার বিনিয়োগ কারি ও এম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে নিঃশ্ব হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডেসটিনি, ইভালী, এসএমএন গ্লোবাল লিঃ, টিয়ানসি বাংলাদেশ লিমিটেড কে হার মানিয়ে ওএম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানি লিমিটেড উত্তরবঙ্গেও কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট,রংপুর, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাজশাহী সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গাতে অফিস খুলে দির্ঘদিন ধরে সাধারণ বিনিয়োগ কারিদ্বয়কে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারনা করে চলেছেন।, ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান রুবেল এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মনির হোসেন আজাদি । ওএম বাজারের খোলস পাল্টিয়ে টাইমস ট্রাভেলস্ নামিও কোম্পানির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনির হোসেন আজাদী ঢাকার খিলগাঁও, আরামবাগ এলাকায় আবারো তারা তাদের পুরনো প্রতারণার ফাঁদ পেতে নতুল কৌশলে বিনিয়োগ কারিদের সাথে প্রতারনা করছেন । বর্তমানে লূৎফর রহমান চায়না অবস্থান করছেন। তিনি চায়না থেকেই বিনিয়োগ কারি ঠকাতে ব্যস্থ থাকেন বলে একটি বিস্বস্থ সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের এই ব্যবসায় বিভিন্ন পদে থেকে বিনিয়োগ কারিদের থেকে আমানত সংগ্রহ করেন। ও এম বাজার এর পরিচালনা পরিশোদে আছেন এম ডি পদে মোঃ লুৎফর রহমান রুবেল চেয়ারম্যান পদে মোঃ ইউসুফ ফরহাদ ডি এম ডি পদে জনাব ফিরোজ আলম ফিন্যান্স ডিরেক্টর পদে জনাব আবুল কালাম আজাদ প্রশাসনিক দায়িত্বে জনাব আল- আমিন ছিলেন একটি মজার বিষয় হলো ৩ টি ভিন্ন নামিও এমএলএম কোম্পানি হলেও এই তিন প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ঘুড়িয়ে ফিড়িয়ে একই ব্যক্তিরা। মূলত বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের সাথে প্রতারণার স্বার্থে তারা বিভিন্ন নামিও প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে। ঠিক আগের কৌশল অবলম্বন কওে এমএলএম কোম্পানির সাইনবোর্ডে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের নাম যুক্ত করে কোম্পানির শেয়ার বিক্রয়ের পলিসি অবলম্বন করে চলেছেন প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ- পদবির লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগ কারিদের টাকার আমানতের অর্থ ৪০ মাসের মধ্য দ্বিগুন আকারে ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে, তা তাদের ও এম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ লিঃ কোম্পানিতে শতশত বিনিয়োগ কারি গ্রাহকের প্রায় মোট দুই শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। যা ২০০১ সাল থেকে পর্যায় ক্রমে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানিটির কার্যক্রম বেশ কিছু দিন ধরে বন্ধ কওে দিয়ে হঠাৎ করে কুড়িগ্রাম থেকে শত বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের প্রায় ২ কোটি টাকা ওয়েম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস এমএলএম কোম্পানিটি নিজেদের কব্জায় নিয়ে প্রতিষ্টানটি রাতের আধারে বন্ধ করে দিয়ে, বিনিয়োগ কারিদের আমানতের অর্থ ফেরৎ না দিয়ে রাতারাতি লাপাত্তা হয়ে যায় ওম বাজার নামক এমএলএম প্রতিষ্ঠানটি । ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানিতে নিজেদের আমানত রাখা বিনিয়োগ কারিরা এই প্রতারক চক্রটির ঢাকা অফিসের সন্ধান পেয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফর রহমান রুবেল,এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির হোসেন আজাদীর শর্নাপূর্ণ হলে তারা গ্রহকদের আমানত এবং বারতি মুনাফার সম্পূর্ণ অর্থ এক
মাসের ভিতরে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কয়েক মাস ঘুরেও বিনিয়োগ কারিদের অর্থ ফেরৎ পান নাই। বরং বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বিনিয়োগ কারিদ্বয়েরা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ও এম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস লিমিটেড কোম্পানির বিষয়ে ভুক্তভোগীদের আমানতের অর্থ কেলেঙ্কারির ব্যাপারে, দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকা পরিবারের নিকট সংবাদ প্রকাশের জন্য কয়েকজন ব্যক্তি তথ্য প্রদান করেন , ওয়েম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ কারি প্রতারিত হয়েছেন বলে জানা যায়। বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের লিখিত প্রতিবেদনের সুত্র ধরে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিবেদক,বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে কুড়িগ্রাম, রংপুর,দিনাজপুর,ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গাতে ওম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলসে বিনিয়োগ কারি শতাধিক ভুক্তভোগীদের সাথে কথা হলে তারা ও এম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানিটির বিষয়ে একশত এর অধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন আমরা কুড়িগ্রাম জেলার প্রতিনিধি হিসেবে ও এম বাজার ও টাইমস্ ট্রেভেলস্ এমএলএম লিমিটেড কোম্পানিটির মার্কেটিং প্লানে উদ্বুদ্ধ হইয়া জনাব হাফিজুর রহমান (ডি জিএম) ডিপুটি জেলারেল ম্যানেজার ও জনাব মমিনুল ইসলাম ( জি এম) জেনারেল ম্যানেজার এদের পরামর্শে ওয়েম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ নামক কোম্পানিতে ভাউচার এবং টাইমস্ ট্রেভেলস্ এর মাসিক ও বাৎসরিক মুনাফার জন্য নিজেরা বিনিয়োগ করি ও অনেক মানুষকে বিনিয়োগ করিয়েছিলাম। ও এম বাজার, এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সহ উচ্চ পদস্থ সকলের কথা ছিল কোম্পানীতে যে পরিমাণ টাকা রাখা হবে, তাহার (৪০ মাসের মধ্যে) দ্বিগুন আকারে প্রতি মাসে মাসে আমাদেরকে ফেরত দিবেন। এজন্য জনাব হাফিজুর রহমান ও জনাব মমিনুল ইসলাম আমাদের কুড়িগ্রামে বারংবার গিয়েছে এবং তিনি বিভিন্ন প্রগ্যামে থেকে বিভিন্ন ভাবে উৎসাহিত করে আনুমানিক ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করিয়েছেন। উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় তাদের কোম্পানিতে র?্যাঙ্ক বা পদবী অর্জনের জন্য আমাদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল অর্থাৎ আজ পর্যন্ত তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদেরকে কোন প্রকার ওম বাজার এর মাসিক ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ কোম্পানির বাৎসরিক মুনাফা কোনটাই দেয়নি এখন পর্যন্ত এ মাস ও মাসে দেব- দিচ্ছি বলে নানা রকমের তালবাহানা করে আসতেছে। এ পর্যন্ত ওয়েম বাজার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান রুবেল এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মনির হোসেন আজাদি বার বার কথা দিয়েও কথা রাখেনি। ও এম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য মতে বিনিয়োগকারিদ্বয়েরা ওম বাজার এবং টাইমস্ ট্রেভেলস্ কোম্পানি থেকে পাওয়া অর্থ জমা রসিদের ডকুমেন্টস অনুযায়ী কয়েকজন প্রতারনার শিকার হওয়া ব্যক্তিদ্বয়ের নাম সহ বিনিয়োগের পরিমান দেওয়া হলো, ও এম বাজার ও টাইমস্? ট্রাভেলসৃ কোম্পানিতে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জমা করেছিলেন ৪০ (চল্লিশ) লাখ টাকা, বাবুল হোসেন ৭৫ (পচাত্তর) লাখ টাকা,এ্যাডভেকেট আশরাফুল ইসলাম ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা, অ্যাড. আলী ১ (এক) লাখ টাকা, অ্যাড, শহিদুল ইসলাম ১ (এক) লাখ টাকা অ্যাড. সাজ্জাদ হোসেন ১ (এক) লাখ টাকা, মো: রোমান শেখ ২ (দুই) লাখ টাকা,আব্দুল ওহাব প্রধান ১০ (দশ) লাখ টাকা,খলিলুর রহমান ১ (এক) লাখ টাকা,ফারুখ হোসেন ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা,আব্দুস ছামাদ ৩ (তিন) লাখ টাকা, গোলাম মর্তুজা ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা মাহফুজ আহমেদ ২ (দুই) লাখ টাকা, রায়হান মাহমুদ ছিদ্দিক ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা, মোস্তফা বজলুল রাব্বি ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা, জনাব নজরুল ইসলাম ১৪ (চৌদ্দ) লাখ টাকা এবং কাজী নুরুজ্জামান ১০ লাখ টাকা। আমরা এবং আমাদের লোকজন গত তিন বছর যাবৎ ওএম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ নামক এমএলএম কোম্পানির পরিচালকের মিথ্যা আশ্বাসে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতেছি। আপনারা সাংবাদিকরা হলেন জাতির বিবেক, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে সব সময় সত্যর পক্ষে কলম ধরেন আপনারা, আমরা ওম বাজার ও টাইমস্ ট্রেভেলস্ কোম্পানির খপ্পরে পরে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি আমরা। আপনারা যদি গণমাধ্যমে আমাদের প্রতারিত হবার বিষয়টি লেখনি এবং ফুটেজের মাধ্যমে গণমাধ্যমে তুলে ধরেন, তা হলে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি গোচর হবে।তাতে করে আমাদের সকল বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের বিনিয়োগের টাকা ফেরৎ পাওয়া অতি সহজ হয়ে পড়বে বলে আমরা আশা করি। এ বিষয়ে ও এম বাজার,ও টাইমস্ ট্রাভেলস, এবং টাইমস্ ইন্টান্যাশনাল লিঃ এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্তাপনা পরিচালক সহ কোম্পানি গুলোতে কর্মরত কয়েকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে উল্লেখ্য যে ও এম বাজার নামক প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে প্রথম মগবাজার গুলফেসা প্লাজার ৯ম ও ১০ তলা ভাড়া নিয়ে অফিসের কার্যক্রম শুর করে । বর্তমানে ও এম বাজারের নামকে মুছে ফেলার জন্য টাইমস ট্রোভেল সহ প্রত্যেক পরিচালক সকলেই স্বতন্ত্র ভাবে নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন আরো উল্লেখ্য যে এম ডি লুৎফর রহমান বিনিয়োগ কারিদের টাকার সিংহ ভাগ নিয়ে সুদুর চিন দেশে চলে যানএবং সেখানে স্বতন্ত্র ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশের সকল নতুন নামিয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব তিনি দিয়ে যাচ্ছেন ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম