আটক হয়েও ছারা পেলেন লেকভিউ বারের মালিক মুক্তার

স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীর কিংফিশার রেস্টুরেন্টের ও লেকভিউ বারের মালিক মুক্তার হোসেনকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) দেশত্যাগের সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

তবে আটকের পরও মাদক মামলার এই আসামিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ডিবি পুলিশ।

কারণ, উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন মুক্তার হোসেন। জামিনের নথি দেখিয়েই ডিবি পুলিশের কাছ থেকে মুক্ত হন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আকরামুল হোসেন। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের ইমগ্রেশন পুলিশ প্রথমে তাকে আটক করেন।

পরে তারা ডিবি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

মুক্তার হোসেন মাদক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। সে কাগজ দেখানোয় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর উত্তরার লেকভিউ বারে ডিবি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করে। ওই রাতে মুক্তারের গুলশানের বারেও অভিযান চালানো হয়। পরে গুলশান থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মুক্তারকে আসামি করা হয়।

ধরাছোয়ার বাহিরে বিএমইটিতে দুর্নীতি সিন্ডিকেটের গডফাদার এইচপি ওভারসিসের মালিক প্রবির সিকদার!

ষ্টাফ রিপোর্টার:

শত অপকর্ম করেও এখনো ধরাছোযার বাহিরে প্রবির,  অভিযোগ রযেছে প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তাদেরকে মাসোহারা দিয়ে তার সকল অবৈধ কাজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

নিয়মের প্রশাসন কর্তৃক ভয়ংকর অনিয়ম চলছে বিএমইটিতে। সক্রিয় বেশকিছু অসাধু মানবপাচার সিন্ডিকেট। দেশের মানব পাচার এসব সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে বেশ কয়েকটি রিস্ফুটিং এজেন্সি সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের খোদ কর্মকর্তারাও। সম্প্রতি এইচপি ওভারসিস (লাইসেন্স নাম্বার ১৩৮৮) নামে একটি রিক্রুট এজেন্সির বেশ কিছু ভুয়া ডকুমেন্টস ও জাল জালিয়াতি ধরা পড়ায় বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এইচপি ওভারসিসের স্বত্বাধিকারী প্রবীর বণিক গেল নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ দুবাই বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য একটি ফাইল সাবমিট করেছিলেন। যেখানে ২০ টি ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নথি উপস্থাপন করেন।
উক্ত ভুয়া সার্টিফিকেটের ফাইলে স্বাক্ষর করেন বিএমইটির সহকারি পরিচালক ও উপপরিচালক। কিন্তু পরিচালকের টেবিলে গিয়ে আটকে যায় ভুয়া কাগজপত্র সংযুক্ত ফাইলটি। যাচাই বাছাই করে সকল কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত ফাইল মহাপরিচালক বাতিল করে। সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা করানোর জন্য মন্ত্রণালয় সুপারিশ প্রেরণ করেন। এছাড়া ভুয়া পাইলে সরকারি দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

উক্ত ভুয়া জালিয়াতি ফাইলে সাইন করা উপ-পরিচালক প্রতিবেদকের সঙ্গে স্বীকার করেন বিষয়টি। তিনি বলেন, ইন্টারনেট দুর্বলতার কারণে ঐদিন অনলাইনে চেক করা সম্ভব হয়নি। তাই সরল বিশ্বাসে আমি ফাইলটিতে স্বাক্ষর করি কিন্তু তারা এভাবে প্রতারণা করবেন সেটি আমার কল্পনাতেও ছিল না।

এসব জালজালিয়াতির কাগজপত্র সিন্ডিকেট ধরা পরার পর সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আর চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডকুমেন্টস জালিয়াতি করে মানব পাচারের সাথে জড়িত রিক্রুট এজেন্সির স্বত্বাধিকারী প্রবীর বনীকের বিরুদ্ধে মানব পাচারের মাধ্যমে অস্বাভাবিক অবৈধ অর্থ অর্জন করে ভারতে পাচারের চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য মিলেছে। নাম প্রকাশে অনিশ্চিত একটি সূত্র জানায়, রাজধানীর চিটাগাং রোডে নিয়মিত বিলাসবহুল আটতলা বাড়ি ছাড়াও ভারতে পাছারকৃত অর্থে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। তার পরিবারের অনেকেই ভারতে বসবাস করেন এবং তার সম্পদের দেখভাল করেন। এছাড়াও রাজধানীর জিনাত টাওয়রে নিজস্ব দুটি ফ্ল্যাটে দুইটি অফিস, অফিসের নিচে স্মার্ট কেয়ার সেলুন। এইচপি ওভারসিজ ব্যতীত আরও তিনটি রিক্রুট এজেন্সির মালিক রয়েছেন এই প্রবীর বণিক।এ বিষযে তাকে বার বার কল দিয়ে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি আর অফিসে গেলে সে দেখা করেননি।

চলবে…..

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম