গুলশানে স্পা অন্তরালে দিনে ও রাতে চলছে বাহারের ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাজধানীর গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া। , গুলশান ২ রোড নং- ৯৯, হাউজ নং-33/A , লিফটের-৫ স্পা সেন্টারে নানান নামে-বেনামে তরুণ-তরুণী দিয়ে চলছে জমজমাট মাদক সহ ব্ল্যাকমেইল রমরমা বাণিজ্য। ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকান্ড। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারনে অনেকটা প্রকাশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত জিনা ব্যাভিচার আর মাদকতায় সয়লাভ করে দিচ্ছে। কি ভাবে স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে তা সকলের বোধগম্য নয়।

তবুও এক শ্রেণীর অর্থলোভী দালালদের নাম হলো,, বাহার,,নারীদেরকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ব্ল্যাকমেলই করে দেহ ব্যবসা করাতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।,, বাহার,,নামে টার্গেট বৃত্তবান প্রভাবশালী সন্তানরা। অল্প বয়সী নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে মওকা হাসিল করছে ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গুলশান ২ রোড নং- ৯৯ রোডে অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ,বাহার ,নামের অপরাধ জগতের মাফিয়া ডন নামে পরিচিত এবং বিএনপি’র একজন সহচর এবং তারা একটা ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স ও বাড়ী ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং এর আড়ালে দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পূর্বের তুলনায় এ বছর গুলশানে ২ এর বেঙ্গের ছাতার মতো গর্জে উঠেছে পতিতা বাণিজ্যের বহু ফ্ল্যাট।
স্বনামধন্য বসবাস এলাকা এখন পতিতাপল্লীতে পরিণত হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর গুলশানে স্পা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।

এধরনের অবৈধ স্পা প্রতিষ্ঠানে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী,তরুন তরুণী। এই অপরাধমূলক ব্যবসা ধরে রাখতে কেউ নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন ডিআইজির চাচাতো ভাই, ওসির খালতো ভাই, কেউ পুলিশ কর্মকর্তা বন্ধু, সাংবাদিকের বন্ধু, এমনকি স্থানীয় নেতা প্রভাবশালীদের নাম উঠেছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাদের অপরাধের কার্যক্রম ভিন্ন রকম। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বাহিরে তালা দিয়ে ভিতরে চলছে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে এ যেন কানামাছি খেলা। ডিজিটাল কায়দাকে কাজে লাগিয়ে নামিদামি ব্র্যান্ডের সিসি ক্যামেরাও লাগিয়েছেন প্রতিষ্ঠানে। এই বিষয়ে গুলশান থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি ।

অপরাধমূলক কর্মকান্ডের (প্রথম পর্ব)

তুরাগে বিএনপি নেতার প্রতিবাদ সভা মঞ্চে ও শ্রোতা অধিকাংশই আওয়ামী লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর তুরাগের বাউনিয়ায় গতকাল শনিবার বিএনপি নেতা হাজী মোস্তফা জামানের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিধি হিসেবে মঞ্চে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা মোস্তফা জামান, সালাউদ্দিন আহমেদ খোকা, হাজী জহির, আজাহারুল ইসলাম আজাসহ কয়েকজন পদধারি বিএনপি নেতা উপস্থিত থাকলেও সভা মঞ্চে অন্য যারা ছিলেন তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে প্রমান পাওয়া গেছে। এর বাইরে সভাটিতে উপস্থিত প্রায় দুই/তিনশত লোকের মধ্যে ৫০ শতংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। গতকালের এ সভাটি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করছেন এবং বিভিন্ন ভাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে, যেসব নেতা বা শ্রোতা গতকালের মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন তাদের অধিকাংশই তিন মাস আগেও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হাবিব হাসানের পক্ষে মিটিং মিছিলে বেশ সক্রিয় ছিলেন। রাজনৈতিক পালাবদলের পর পর তারা এখন বিএনপি নেতার মিটিংয়ের মূল নেতৃত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বিএনপির অনেকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপি একজন পদধারি নেতা প্রতিবেদককে বলেন, গতকাল হাজী মোস্তফা জামান যে প্রতিবাদ সভাটি করেছেন সেখানে উপস্থিতির ৫০ ভাগই আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন দুই মাস আগেও। তারা এখন ভোল পাল্টিয়ে বিএনপির মিটিংয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয় এ নেতা আরো বলেন, রাজধানী তুরাগের বাউনিয়া এলাকাটি ফ্যাসিবাদ সরকারের সাবেক এমপি ও উত্তরার ছাত্র-জনতা হত্যার মূল নায়ক হাবিব হাসানের নিজ গ্রাম এবং তার নানাবাড়ী এলাকা হওয়ায় বিএনপির তেমন কোন কার্যক্রম গত ১৮ বছরে পরিচালনা করা যায়নি। সামান্য কিছু বাসিন্দা যারা বিএনপি মনা ছিলেন তারাও আওয়ামী লীগের সাথে মিল মিশে একাকার ছিলেন। কিন্তু গতকালের মিটিংয়ের পর দেখা গেছে সম্পূর্ন বিপরিত চিত্র। প্রতিবাদ মঞ্চের মুল ডাইসে বসা ছিলেন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন পদধারি নেতা। তাদের অন্যতম হচ্ছে, আশরাফ খান বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের তুরাগ থানার সাধারণ সম্পাদক, সোহেল রানা আওয়ামী যুবলীগ, সানাউল্লাহ আওয়ামী যুবলীগ, ইসহাক খুনি হাবিব হাসানের বোনের জামাই, ইসলাম উদ্দিন কৃষক লীগ তুরাগ থানার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাশালী নেতা সেলিম মাদবর, স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতা হাজী আব্দুল্লাহ ও আশরাফ খান। তারা সবাই হাবিব হাসানের আত্মীয় এবং শুভাকাংঙ্খি। এর বাইরে ছিলেন বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া আবু তাহের আবুল খানসহ অনেকেই। প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশী লোক ছিলেন খুনি হাবিব হাসানের নিকট আত্মীয় স্বজনরাই।
্উল্লেখ্য, ঢাকা-১৮ আসন এলাকায় বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা হাজী মোস্তফা জামানের বিরুদ্ধে রুপায়ন গ্রুপসহ বিভিন্ন জায়গা হুমকি ধামকি, দখল চাদাবাজির অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে সর্তকও করা হয়েছে। এছাড়া গত ১৮ বছর যারা আওয়ামী লীগের হয়ে এলাকায় মাতবরি করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের নিয়ে দলভারি করার শক্ত অভিযোগ আছে। তিনি মহানগর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হকের কাছের লোক হওয়ায় কোন অভিযোগের বিষয়ে তোয়াক্কা করছেন না বলে স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে খারাপ কিছু লেখা হলে স্থানীয় সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি প্রায়ই দিয়ে থাকেন তিনি।
এ বিষয়ে হাজী মোস্তফা জানতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম