ওয়েবসাইট থেকে নৌকা প্রতীক সরালো ইসি

ডেস্ক রিপোর্ট:

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে নৌকা প্রতীক সরিয়ে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। ওয়েবসাইটে আওয়ামী লীগ (নিবন্ধন স্থগিত) নামের পাশে প্রতীক হিসেবে এতদিন ‘নৌকা’র একটি ছবি ছিল। এখন আর সেই ছবি সেখানে নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক গণমাধ্যমকে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রতীকটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

নির্বাচন শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নৌকা প্রতীক নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগের সিদ্ধান্তই আছে কমিশনের। অর্থাৎ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত হলে তখন নৌকা প্রতীক তফসিল থেকে বাদ দেবে কমিশন। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল হলে সেটি ওয়েবসাইট থেকে সরাতে পারে ইসি।

নৌকা প্রতীক রাখা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার খসড়া সংশোধন ঘিরে। এই খসড়ায় ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণের প্রস্তাব রয়েছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনের পর ‘দাঁড়িপাল্লা’ও যোগ হয়েছে। তবে নিবন্ধন স্থগিত থাকলেও আওয়ামী লীগের প্রতীক ‘নৌকা’ তাতে বহাল রাখা হয়, যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এক ফেসবুক পোস্টে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে লেখেন, ‘‘অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন? সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গণঅভ্যুত্থানকে আপনারা জাস্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদেরকে দেওয়ার জন্য এই মার্কা রাখছেন আপনারা?’’

বর্তমানে ইসির তফসিলভুক্ত প্রতীকের সংখ্যা ৬৯টি। এর মধ্যে ৫১টি রাজনৈতিক দলের জন্য এবং ১৮টি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। নতুন তালিকা চূড়ান্ত হলে প্রতীকের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫টি।

যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি তারা নাকি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্কঃ

গণতন্ত্রের দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি, মিলিটারির পকেট থেকে যাদের জন্ম, তারা না-কি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে। সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা হয়েছে।

যে সংবিধান বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানের ওপরও হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। বিএনপি প্রথমে লেবাস পরে ক্ষমতায় আসে। আবার সেই লেবাস খুলে দল গঠন করে রাজনীতি করা। আজ সেই ক্ষমতা দখলকারী তারা আবার নাকি গণতন্ত্র চাই। যাদের জন্মই হয়েছে মিলিটারি ডিক্টেটরের উর্দি থেকে। তাদের কাছে প্রশ্ন করা উচিত, তোদের জন্মটা কোথায়। তারা নাকি আবার গণতন্ত্র দেবে। ’

তিনি বলেন, আমাদের অগণিত মানুষের প্রতি তারা অত্যাচার করেছে। আমরা তো তাদের মিছিল-মিটিং করতে দিচ্ছি। তারা আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঠে নামতে দেয়নি। এখন তারা দেশের গণতন্ত্রের কথা বলে। তাদের ওপর নাকি অত্যাচার করা হয়। ওরা আমাদের সাথে যা করেছে, তার যদি এক ভাগও আমরা করি তাহলে ওদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে থাকাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে এর কোনো প্রতিশোধ নেয়নি।

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষকে কী দিয়েছে? দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারেনি। নিজেরা নিয়েছেন। কী পরিমাণ নিয়েছে সেটা তো আগেই বলেছি। আর বলতে চাই না। এ দেশের মানুষের সেটা জানা উচিত। তারা কীভাবে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের রাষ্ট্র দিয়েছেন, জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন, বিশ্ব দরবারে আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি তাঁর নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের শোষিত, বঞ্চিত মানুষদের জন্য, যে তাদের ভাগ্য তিনি পরিবর্তন করবেন। গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের যুদ্ধটা ছিল একটি জনযুদ্ধ। যারা ট্রেনিং নিয়ে দেশে এসেছে, দেশের মানুষকে তৈরি করেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাধা দিয়েছে। ট্রেনিংপ্রাপ্ত শুধু তা নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে গিয়েছিল। যে যেভাবে পেরেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। যেহেতু এটা গেরিলা যুদ্ধ, গেরিলা যোদ্ধারা যখন দেশে ঢুকেছে, এ দেশের মা-বোনেরা রান্না করে খাওয়ার দেওয়া, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের তথ্য দেওয়া; সেই কাজগুলো করেছে। একটা জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এ দেশে স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করতে পেরেছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম