মিথ্যা মামলার আতঙ্কে আজম পরিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নিরেট সাদা মনের মানুষ, সদালাপী, মিষ্টভাষী, পরোপকারী একজন দ্বীনের পথের মানুষ গোপালগঞ্জ জেলার ডুমদিয়া গ্রামের আজম আলী খাঁন।
এই মানুষটার পিছু ছাড়ছে না মিথ্যা হয়রানি মুলক মামলা। ব্যাঙের ছাতার মতো হুটহাট করে গজিয়ে ওঠে বিভিন্ন জেলায় মিথ্যা বানোয়াট মামলা। যে জেলায় কখনো আজম আলীর পা পড়িনি সেই জেলার কনো এক থানার মামলার আসামি হয়। তখন হতাশ নিশ্চুপ হওয়া ছাড়া কনো উপায় থাকে না। শুধু আজম আলী না তার পরিবারের সদস্যদেরও জড়ানো হয় এই মামলায়। ৬০ বছরের আজম আলী খান হন ধর্ষণ মামলার আসামি। মামলা আতঙ্কে দিনপাত করে আজম পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,তানজিলা হক উর্মি নামের একজন মেয়ের সাথে আজম আলী খানের ভাগ্নে হাবিবুর রহমান ইবাদতের সাথে বিয়ে হয়। উর্মির উগ্রস্বভাব, বেপরোয়া জীবন যাপন,উচ্ছৃঙ্খল আচার-আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ইবাদতের পরিবার, আত্মীয়স্বজনরা। সন্তাদের দিকে তাকিয়ে, পারিবারিক মর্যাদার কথা ভেবে সবকিছু সহ্য করে নেন নীরবে। ইবাদতের এই নীরবতাকে দূর্বলতা ভেবে আরও উগ্র হয়ে ওঠে তানজিলা হক উর্মি। কিছু বলতে গেলেই তার পুলিশ মামার ভয়ভীতি দেখান।
উপায়ন্তর না পেয়ে ০৩/০২/২০১৯ তারিখে হাবিবুর রহমান ইবাদত শরিয়ত ও নোটারী মারফত তানজিলা হক উর্মিকে তালাক দেন।উর্মিকে তালাক দেয়ার পর থেকেই গায়েবি মামলার আসামি হচ্ছে আজম পরিবার।
উর্মি ও হাবিবের যখন তালাক হয়, সেসময় ইবাদতের মামা আজম আলী খান স্বপরিবারে সৌদি ছিলেন। আজম আলী বাংলাদেশে আসেন ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী।
এই বিষয়ে আজম আলীর কাছে জানতে চাইলে। তিনি বলেন, উর্মির মামা অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুল। মুলত তিনিই এই গায়েবি মামলার জনক। আমাদের উপর হুমকি ধামকি চাপ প্রয়োগ করে তার তালাক হওয়া ভাগ্নীকে আমার ভাগ্নের ঘরে দিতে চায়। যা কখনোই সম্ভব না। তালাকের পর ধানমন্ডি থানায় মামলা, মামলা নং ২। বাড্ডা থানায় মামলা, মামলা নং ৪১। রাজশাহীতে মামলা, মামলা নং ২৭/২০২০ (রাজপাড়া) এভাবে মিথ্যা হয়রানি মুলক মামলা দিয়ে।
আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও অর্থনৈতিক ভাবে খাটো করার জন্য এই ধরনের ঘৃণিত কাজ করে যাচ্ছে অ্যাডিশনাল ডিআইজি রফিকুল ইসলাম শিমুল। এসব স্বার্থ লোভী পুলিশ কর্মকর্তার জন্য পুলিশের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি। অ্যাডিশনাল ডিআইজি রফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে নানা সময় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। আমি তার কাছ থেকে এধরণের ঘৃণিত কাজ আশা করি না।

ছাত্রলীগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনের পর ইউপি কার্যালয়ে তালা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১১টা। তবুও টাঙানো হয়নি জাতীয় পতাকা। প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা। আসেননি চেয়ারম্যান, সচিব ও সদস্যরা। কয়েকজন গ্রাম পুলিশ বসে আছেন। আর ফিরে যাচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। আজ সোমবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ৮ নম্বর যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কেটে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার নেতৃত্বে এ আয়োজন করা হয়। পরে কেক কাটার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা রাত ৯টার দিকে ইউপি কার্যালয়ে তালা দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাম পুলিশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল রোববার দুপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তালা লাগিয়েছেন। সন্ধ্যায় নেতারা পতাকা খুলে নিয়ে গেছেন। আর আজ সকালে কার্যালয় বন্ধ দেখে সচিব চলে গেছেন। জনগণ এসে ফিরে ফিরে যাচ্ছেন।

মোবাইল ফোনে কথা হয় যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব রেজাউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকালে গিয়ে দেখি কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। পরে ইউএনও কার্যালয়ে এসেছি বিষয়টি জানাতে।’

তাঁর ভাষ্য, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যদুবয়রা জয়বাংলা বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মিছিল যদুবয়রা পশুহাটের টোলঘরে ভাঙচুর করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সচিব, গ্রাম পুলিশ ও সেবাপ্রত্যাশীদের বের করে দেয় এবং ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়।

সোমবার সকালে দুই শিশু নিয়ে পরিষদে সেবা নিতে আসেন ইউনিয়নের বিলকাটিয়া গ্রামের আলিফ হোসেনের স্ত্রী বন্যা খাতুন। তিনি বলেন, ‘স্কুলে ভর্তির জন্য বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করা জরুরি। গতকাল এসে ফিরে গেছি। আজও ফিরে গেলাম। মানুষের কষ্ট দেখার কেউ নাই।’

এ সময় কেশবপুর গ্রামের যুবক মো. সিজান বলেন, ‘পাসপোর্ট করার জন্য চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র দরকার। গত রোববার দুপুরে এসেছিলাম। ওই সময় অনেক লোকজন এসে সবাইকে বের করে দিল। আজও কার্যালয় বন্ধ।’

জানতে চাইলে যদুবয়রা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম আসাদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসর ও দেশদ্রোহীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত পরিষদের তালা খোলা হবে না। হাটে কেউ টোল তুলতে পারবে না। এতে কিছুদিন জনগণের হয়রানি হবে। তবুও দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই দেওয়া হবে না।’

এ বিষয়ে যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির লোকজন পরিষদে তালা দিয়েছে। সে জন্য সেবা থেকে বঞ্চিত মানুষ।’

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত সেবা চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সবা:স:জু- ৬৭০/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
“নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স“ জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে আরও দেড় হাজারের বেশি আবেদন সতর্ক মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের