
গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা:
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতদের মধ্যে তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শহরের পৌর কবরস্থান থেকে ইমন তালুকদার ও রমজান কাজী এবং টুঙ্গিপাড়ার কবরস্থান থেকে সোহেল রানা মোল্লার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন গোপালগঞ্জ আদালত।
জানা যায়, গোপালগঞ্জে গুলিতে পাঁচজন নিহত হন; তবে চারজন নিহতের ঘটনায় ১৯ জুলাই রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে তোলা হয়েছে নিহত তিনজনের মরদেহ। এ দিকে মামলার বিষয়ে কাউকেই জানানো হয়নি অভিযোগ রিবারের। ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন পাঁচজন। এর মধ্যে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত রমজান মুন্সী ছাড়া বাকিদের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে করেনি কোনো মামলাও।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শহরের পৌর কবরস্থান থেকে ইমন তালুকদার ও রমজান কাজী এবং টুঙ্গিপাড়ার কবরস্থান থেকে সোহেল রানা মোল্লার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। দীপ্ত সাহাকে দাহ করা হয় গোপালগঞ্জ পৌর শ্মশানে।