খাগড়াছড়িতে রাস্তার পাশে ঝুলে থাকা তারে ২ জনের মৃত্যু

খাগড়াছড়িতে রাস্তার পাশে ঝুলে থাকা তারে ২ জনের মৃত্যু

খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা:

খাগড়াছড়িতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে একজন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে জেলা সদরের গোলাবাড়ি ইউনিয়নের বড়পাড়া নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জেলা সদরের বড় পাড়া এলাকার বাসিন্দা পঙ্কজ ত্রিপুরা (৫০) ও একই এলাকার উপেন ত্রিপুরা (৩০)। এ ঘটনায় নিহত পঙ্কজ ত্রিপুরার মেয়ে চন্দ্র রানী ত্রিপুরা (২৪) আহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, বিকালে বড়পাড়া এলাকার রাস্তার পাশে ঝুলে থাকা বিদ্যুতের সার্ভিস তারের সংস্পর্শে এসে তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই উপেন ত্রিপুরার মৃত্যু হয়। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় পঙ্কজ ত্রিপুরা ও চন্দ্র রানী ত্রিপুরাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পঙ্কজ ত্রিপিরাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে আহত চন্দ্ররাণী ত্রিপুরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, আমরা আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিদ্যুতের তার ঝুলে ছিল। বিষয়টি একাধিকবার বিদ্যুৎ বিভাগকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি তাদের।
স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে রাস্তার পাশে ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে ঘটনাস্থলেই উপেন ত্রিপুরার মৃত্যু হয়। পরে পঙ্কজ ত্রিপুরাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকার উন্নয়নে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন আফছারুল আমীন- সিডিএ চেয়ারম্যান

মনজুর আলম, বিশেষ প্রতিনিধি:

‘আফছারুল আমীন ভাই যখন জনতার নেতা হলেন তখন শুধু স্কুল কলেজ নয়, অত্র এলাকার উন্নয়নে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন সারাটা জীবন।’
প্রবীণ রাজনীতিবিদ, চট্টগ্রাম ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. মো. আফছারুল আমিন মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর বারোটায় পিএইচ আমীন একাডেমি আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আফছারুল আমীনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিএ(চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) এর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, “আফছারুল আমীন ভাই এ এলাকায় স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে জ্ঞানের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেছেন। তাই আমরা আফসারুল আমীনের মতো মানুষদের স্মরণ করি এবং যুগযুগ ধরে স্মরণ করবো।’

তিনি আরও বলেন, এ এলাকা ছিল একটি নগন্য এলাকা, এক সময় এখানকার মানুষ নিউমার্কেট এলাকায় যাওয়াকে শহরে যাওয়া ধরে নিত। যা ছিল শহর থেকে বিচ্ছিন্ন। আফছারুল আমীন ভাই যখন জনতার নেতা হলেন, তখন শুধু স্কুল কলেজ নয় অত্র এলাকার উন্নয়নে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন সারাটা জীবন।

এছাড়া তিনি মহেশখালের কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘আমি যখন শুনেছি মাটি জমে খালের পানি অপসারণ হচ্ছে না আমি সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া জলবদ্ধতা শূণ্যের কোটায় আনতে আমি বদ্ধপরিকর।’

অনুষ্ঠানে প্রাণহরি আমীন একাডেমির প্রধান শিক্ষক এ কে এম নেওয়াজের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ডা. মোঃ শাহ্ আলম (সাবেক রেজিস্ট্রার, মোঃ ফরিদ আহমেদ, মোঃ এরশাদুল আমীন, ডা. আফছারুল আমিন এর সহধর্মিণী ডা. কামরুন্নেছা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, তিনি ২ জুন ২০২৩ বিকাল ৪টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বান ত্যাগ করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম