দ্বিতীয় পদ্মা সেতু-পদ্মা ব্যারেজের প্রয়োজনীয়তা আছে: ফখরুল

দ্বিতীয় পদ্মা সেতু-পদ্মা ব্যারেজের প্রয়োজনীয়তা আছে: ফখরুল

ডেস্ক রিপোর্ট:

বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতনতার সঙ্গে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক সেমিনারে এই মন্তব্য করেন তিনি।

ফখরুল বলেন বিএনপি জনগণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতন। রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তায় সচেতনতার সঙ্গে এগোচ্ছে বিএনপি। পদ্মা ব্যারাজ এবং দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন এজন্য রাজনৈতিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন। তবে, জনগণের মধ্যে দাবিও উঠতে হবে। বিএনপি ট্রানজিশন পিরিয়ডে রয়েছে জানিয়ে ফখরুল বলেন এখন একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে। এটিকে কাজে লাগাতে পারলে সফল হব।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনেক আগেই দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর কথা বলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের অনেক অংশ বাস চলাচলের উপযোগিতা হারিয়েছে। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সবকিছু মানুষের ওপর নির্ভর করবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশের মানুষ পারে। সেটি একাত্তর সালে প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি চব্বিশেও তা প্রমাণিত হয়েছে যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি আগেই উপলব্ধি করেছে জানিয়ে ফখরুল বলেন এজন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন।

বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

স্টাফ রিপোর্টার: বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ি মাঠে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন তারা।

সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন সারা দেশের আপামর ছাত্র–জনতা ও কেন্দ্রীয় নেতারা।’

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ৩টা ২৪ মিনিটে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানিয়েছে, ‌‘গাজীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী মোজাম্মেল-জাহাঙ্গীরের চাপাতিবাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালান একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা। এ সময় স্থানীয়দের মারধরে অন্তত ১৫ জন আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শতাধিক বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হামলা চালায়। তারা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় মসজিদের মাইকে মন্ত্রীর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। মাইকিং শুনে আশপাশের লোকজন বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তারা ভাঙচুরকারী কয়েকজনকে মারধর করেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ১৫ জনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুর করতে গেলে স্থানীয়দের হামলায় অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম