চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংযোগ সড়ক নির্মাণে শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজের আপত্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংযোগ সড়ক নির্মাণে শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজের আপত্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা:

জেলা শহরের বিশ্বরোড মোড়-বেলেপুকুর প্রস্তাবিত সংযোগ সড়ক নির্মাণে শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের আপত্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (০৪ আগষ্ট) সকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাকের কার্যালয় চত্ত্বরে এলাকাবাসী আয়োজনে মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন বেলেপুকুরসহ ৩নং ওয়ার্ডের কয়েক হাজার স্থানীয় বাসিন্দা। শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷

স্থানীয়রা বক্তব্যে বলেন, এ অঞ্চলে বেলেপুকুর সহ আশে পাশের কয়েক হাজার মানুষের বসবাস করেন। প্রাচীন আমল থেকেই শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজের মধ্য দিয়ে বিশ্বরোড মোড় যাওয়ার একটি পাত্র রাস্তা ছিলো। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল মরহুম আনোয়ারুল ইসলাম ও সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদের সহযোগিতায় কলেজ কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীন নির্মাণ করেন। সে সময় এলাকাবাসীর আবেদন ছিল কলেজের মধ্যে দিয়ে মানুষের চলাচলের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার। কলেজ কর্তৃপক্ষ আশ্বাসও দিয়েছিলেন। তবে আশ্বাস চার দেয়ালের মাঝেই থেকে গেছে।

তারা উল্লেখ্য করেন, বিগত ১ যুগ ধরে এ অঞ্চলের মানুষজন একটি করিডোরে বাসবাস করছেন। স্থানীয় সার্বিক বিবেচনায় বেলেপুকুর, শিয়ালা, গনকাসহ এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বিকল্প রাস্তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে। সরকারিভাবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বেলেপুকুর টু বিশ্বরোড পর্যন্ত ৩০ ফিটের প্রস্তাবিত এই রাস্তাটির মন্ত্রণালয় অনুমোদন প্রদান করেন।

বলেন, এখন শেষ মুহূর্তে অধিগ্রহণ শাখা সংযোগ সড়কের দুই দিকের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া করছে। এমতাবস্থায় কলেজ সীমানার প্রান্ত ঘেঁষে রাস্তাটি যখন নির্মাণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে যাচ্ছে এসময় শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ কর্তৃপক্ষ এটির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করছেন। এ অঞ্চলের মানুষের একটাই দাবি বিশ্বরোড মোড় টু বেলেপুকুর রাস্তাটির। দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।

এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শামসুল হক (গানু), জেলা যুব দলের সদস্য সৈকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব বাবর আলী রুমন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ইকর’অ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি ওবায়দুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেলেপুকুর সহ এ অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দা।

প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য, গত ০৩ আগষ্ট শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ কর্তৃপক্ষ কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভুল বুঝিয়ে কলেজের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধন করেন।

আপন নিবাস হোটেল মালিক জাবেদকাণ্ড: নারীদের ভয় কি হয় কি হয়!

 

রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ-

অবলা নারীদের ফাঁদে ফেলে রমরমা হোটেল ব্যবসা চলছে জাবেদের। আপন নিবাস হোটেল ছাড়াও তার হাতে রয়েছে আরও পাঁচটি হোটেল। সেখানে খদ্দেরের চাহিদা অনুযায়ী নারীদের যোগান দেন। যদিও এ ব্যবসায় পা ফেলে মানবপাচার মামলা কাঁধে নিয়েও দিব্বি অবলা অবিবাহিত নারীদের ফাঁদে ফেলে প্রকাশ্যে চালাচ্ছেন তার হোটেল ব্যবসা।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচারিত হয়েছে। তবে ঘটনা জানাজানির পর দুইদিন থেকে তিন দিন ব্যবসা বন্ধ থাকলেও আবার ‘যে লাউ সে কদু’। অপরদিকে সংবাদ প্রচারের পর খোঁজ নিয়ে জাবেদ ওই সংবাদকর্মীকে কনভ্যান্স করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। অফার করেন মোটা অংকের টাকাও।

হোটেল সূত্র জানিয়েছে, নারীদের ফাঁদে ফেলে বাগে আনতে জাবেদের রয়েছে একাধিক লোক ( দালাল)। তারা কেউ দৈনিক বেতনধারী আবার কেউ মাসিক। মূলত ফয়সলেকে ঘুরতে আসা নারীদের রূপকথার গল্পকাহিনী শুনিয়ে প্রেমের ছলনা করে ফোন নাম্বার কালেকশন করে। ধীরে ধীরে যোগাযোগ বাড়িয়ে পরিচয় গোপন রেখে তাদেরই নিদিষ্ট হোটেলে নিয়ে শারীরীক সম্পর্ক শুরু করে। এসময় রুমে ওপেন রাখা হয় গোপন ভিডিও। পর্যায়ক্রমে ওই ভিডি হাত ঘুরে হোটেল মালিকের হাতে পৌঁছে যায়। এরপর খদ্দেরের চাহিদা মতন তাদেরকে হোটেলে আসতে ফোন করা হয়। প্রথমে আসতে রাজি না হলেও হোয়াটসআপে ভিডিও ক্লীপ পাঠিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরালের হুমকি দেওয়ার পর রাজী হয়ে যায় নারীরা। ক্রমান্বয়ে হোটেল ব্যবসায় তাদের পথচলা শুরু হয়। এতে হোটেল মালিক ও দালালরা লাভবান হলেও লোকসানে থাকে ওই ধরনের নারীরা। তাদের শুধু মনে ভয়, ভিডিও ক্লীপ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হলে কি হয় কি হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অত্র এলাকায় দেহ ব্যবসার নাটের গুরু জাবেদ। থানা পুলিশ-স্থানীয়দে মাসোয়ারা দিয়ে ব্যবসা চালান তিনি। জাবেদের বিরুদ্ধে মানবপাচারকারী অভিযোগে খুলশী থানায় ২০২১ সালে দুটি ও চলতি বছর একটি মামলা রয়েছে। এরপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলে বহাল তবিয়্যতে চলছে তার ব্যবসা।

এদিকে জাবেদের এই হোটেল ব্যবসার সংবাদ প্রচারের পর সংবাদকর্মীদের লোভনীয় অফার দিয়ে বিকাশ মারফতে যে নাম্বার থেকে টাকা পাঠানো হয়, সেটি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। ফোন নাম্বার নিয়ে ওই নম্বর থেকে টাকা পাঠায় আরেকজন। বিকাশের ওই নাম্বারে ফোন করলে জানা যায়, জাবেদ ভাইয়ে ফোন নাম্বারটি দিয়েছেন টাকা পাঠানোর জন্য।

কিসের টাকা বিকাশে পাঠান, জানতে চাইলে আপন নিবাস হোটেল মালিক জাবেদ বলেন, না তেমন কিছুনা, সামান্য খরচের টাকা। নারীদের ফাঁদে ফেলে ব্যবসা করানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো সব মিথ্যা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম