ফেনীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ আহত ১৫ জন

ফেনীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ আহত ১৫ জন

ফেনী সংবাদদাতা:

ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকার স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দাগনভূঁঞা উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি র‍্যালি বের করেন। র‍্যালিটি চৌমুহনী রোড থেকে দাগনভূঁঞা পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন, জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি জাহানারা বেগম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজীব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন বিজয় র‍্যালিতে হামলার ঘটনা একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। বিএনপিকে সাধারণ মানুষের কাছে বিতর্কিত করতে ও আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সাধারণ নেতাকর্মীদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন বলেন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জিরো পয়েন্টে রক্তদান কর্মসূচি পালন করছিলাম। তারা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন। তখন আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। এ ব্যাপারে দাগনভূঁঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশ। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল আকাশচুম্বী: নাহিদ ইসলাম

জেলা প্রতিনিধি:

ট্যাগ দিয়ে হেনস্তার রাজনীতি থেকে বের হওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দাড়ি-টুপি বা মুসলমানের চিহ্ন থাকলে শিক্ষার্থীদের শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা হতো। হিজাব–নিকাব পরা থাকলে তাদের ছাত্রী সংস্থার ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। ফলে এই ট্যাগের রাজনীতি থেকে আমরা বের হতে চাই।

তিনি বলেন, কোনো ধরনের ট্যাগিং যাতে না চলে, রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে যাতে কাউকে হেনস্তা না করা হয়, এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই।’

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পদযাত্রা ও পথসভায় একথা বলেন তিনি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাখার আয়োজিত এ সভায় শিক্ষার্থীসহ আশপাশের সাধারণ মানুষও অংশ নেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গণতান্ত্রিক সহাবস্থান থাকবে, মতপ্রকাশের অধিকার থাকবে এবং বাংলাদেশের বুদ্ধিভিত্তিক নেতৃত্ব, সাংস্কৃতিক নেতৃত্ব, সামাজিক–রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে উঠবে।’

গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা যখন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই, তখন ভুলে যাই যে আমরা রাজনৈতিক দল। মনে হয় আমরা আপনাদের সঙ্গের সেই সহযোদ্ধা। আমরাও ছাত্র, আমরাও শিখতেছি। জাতীয় নাগরিক পার্টির কথার থেকেও আমরা গণ-অভ্যুত্থানের গল্পটা মূলত বলতে এসেছি।

সংস্কার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল আকাশচুম্বী এবং এখনো আছে। আমরা গণ-অভ্যুত্থানকে স্রেফ একটা রেজিম চেঞ্জ হিসেবে দেখি না। মানুষের জীবনের পরিবর্তন আনবে গণ-অভ্যুত্থান, রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার আনবে। এই গণ-অভ্যুত্থানের প্রধানতম লেজিটেমিসি হচ্ছে ছাত্ররা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘এই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের সেই নেতৃত্বের বিকাশের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন। নিজের মতপ্রকাশের অধিকারের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার এবং অধিকারের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সরব হোন, আপনাদের (শিক্ষার্থীদের) দাবির সঙ্গে আমরা আছি।’

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন—এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ।

এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহসমন্বয়ক তানভীর মণ্ডল, ইয়াসিরুল কবীর, গোলাম রব্বানী, সায়েম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম