ওত পেতে থাকা ঘাতকরা কাকনকে কুপিয়ে হত্যা করে পালায়

ওত পেতে থাকা ঘাতকরা কাকনকে কুপিয়ে হত্যা করে পালায়

নেত্রকোণা সংবাদদাতা:

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে কাকন আহমেদ (২৮) নামের এক যুবককে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট ২০২৫) দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে নারান্দিয়া ইউনিয়নের দাপুনিয়া বাজারসংলগ্ন কেলনের বাড়ির পাশে এ মর্মান্তিক হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত কাকন আহমেদ দাপুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মো. আব্দুর রহমান ও মোছা. আমেনা খাতুন দম্পতির ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত কাকনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাকনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পরিবার ও পুলিশের দাবি, মৃত্যুর আগে কাকন হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন। অভিযুক্তরা হলেন—মো. আব্দুর রহিম (৩০), পিতা হাছেন বেপারী; মো. হযরত আলী (২২), পিতা আব্দুল মজিদ; এবং মো. আবুল কালাম (২৫), পিতা বাচ্চু মিয়া। তারা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া, আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত এই হামলায় জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। নিহতের মরদেহ বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।”

পঞ্চগড়ের সব কটি আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই: সাদ্দাম হোসেন

এনামুল,পঞ্চগড়,প্রতিনিধি:
‘আগামী নির্বাচনে পঞ্চগড় জেলার সব কটি আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই। আর সে জন্য ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত হতে হবে। নিজের দলে কোনো কোন্দল থাকবে না, ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করতে হবে।

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ২ টার দিকে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ চৌরাস্তা ট্রাফিক মোরে এক পথসভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নবনিযুক্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

এর আগে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুরে আসেন। পরে সড়ক পথে নিজ গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদায় যাওয়ার পথে নীলফামারী,সোনাহার, দেবীগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগের আয়োজনে ওই পথসভায় বক্তব্য দেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ দেওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন দেশের তরুণ সমাজ স্বীকৃতি পাচ্ছেন। এসব তরুণ প্রযুক্তির দুয়ার উন্মোচন করার ফলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। এতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হয়েছে,দেশের চাকরির বাজার দক্ষতা এবং মেধাভিত্তিক হয়েছে।

ছাত্রলীগের সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার নির্দেশেই কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছিল, যাতে শ্রমিক সংকটের কোনো ঘটনা না ঘটে। প্রতিটি ইউনিট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছিল। গণমানুষের প্রতি দায়বদ্ধতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগ এ কাজ করেছে। ফলে আজ কৃষক ও তরুণদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ তৈরি হয়েছে।

এই পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাসনাৎ জামান চৌধুরী জজ,বাংলাদেশ কৃষক লীগ দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম এমু,আওয়ামী যুবলীগ দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ মিঠু,দেবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামিনুর ইসলাম শাওন সহ জেলা,উপজেলা,পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটির হাজার হাজার নেতা ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের পর ৫ শতাধিক মাইক্রোবাস ও ২ হাজার এর বেশি মোটরসাইকেল যোগে নেতা-কর্মীরা সাদ্দামকে নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম