বিএনপির বিজয় মিছিলে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম

বিএনপির বিজয় মিছিলে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম

মাদারীপুর সংবাদদাতা:

জুলাই অভ্যুত্থান ও জুলাই বিপ্লব দিবস উপলক্ষে মাদারীপুর জেলা বিএনপির বিজয় মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে ছাত্রলীগ নেতাসহ আপন তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুর পৌর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মাদারীপুর পৌর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শহীদুল ইসলাম লিখন মুন্সী এবং তার দুই ভাই সোহাগ মুন্সী ও মিলন মুন্সী। তারা সদর উপজেলার নতুন মাদারীপুর গ্রামের আজিজ মুন্সীর ছেলে। আহতদের মধ্যে লিখন মুন্সী ও সোহাগ মুন্সীকে গুরুতর আহতবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মিলন মুন্সী মাদারীপুর জেলা সদরের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে তিনভাইকে কুপিয়ে পালিয়ে যাবার সময় ধাওয়া দিয়ে নতুন মাদারীপুর গ্রামের মামুন ঢালীর ছেলে আবির ঢালীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে আহতরা দলের কেউ নয় বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. জাফর আলী মিয়া। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বুধবার বেলা ১২টার দিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে জুলাই বিপ্লব দিবস উপলক্ষে শকুনী লেকপাড় থেকে একটি বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিলটি নিয়ে ইটেরপুলের দিকে যাচ্ছিল। এসময় মিছিলটি শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় এলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের কয়েকজন মিছিলের মধ্যে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে লিখন মুন্সীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় লিখনকে বাঁচাতে তার দুই ভাই মিলন ও সোহাগ এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলার সদরের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে লিখন ও সোহাগের অবস্থার অবনতি হলে তাদের দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। আরেক আহত মিলনকে মাদারীপুর জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে তিনভাইকে কুপিয়ে পালিয়ে যাবার সময় ধাওয়া দিয়ে একই এলাকার মামুন ঢালীর ছেলে আবির ঢালীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনার সময় মিছিলের সাথে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও পুলিশের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি বছরের ২৩ মার্চ রাত ১০ টার দিকে মাদারীপুর শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় শ্রমিক দলের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি শাকিল মুন্সী নিহত হয়। এই ঘটনায় ২৬ মার্চ দুপুরে নিহতের বড় ভাই হাসান মুন্সী বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৬৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মাদারীপুর পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি লিখন মুন্সী ও তার ভাই শ্রমিক দলের সাবেক আহ্বায়ক সেলিম মুন্সীকে আসামি করা হয়। সেই ঘটনার জেরেই হান্নান ঢালী, বাচ্চু হাওলাদার, যাচ্চু হাওলাদার, মামুন ঢালী ও রনি মুন্সী এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা।

এ ব্যাপারে আহত মিলন মুন্সী জানান, হত্যা মামলায় তার দুই ভাই জামিনে আছেন। বিএনপির সক্রিয় কর্মী তার ভাইয়েরা। দলের কর্মসূচি হিসেবে ডাকা মিছিলে অংশ নিয়ে ডিসি ব্রিজ এলাকায় এলে পূর্ব শত্রুতার জেরে হান্নান ঢালী, বাচ্চু হাওলাদার, যাচ্চু হাওলাদার, মামুন ঢালী ও রনি মুন্সিসহ কয়েকজন মিলে লিখনের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। লিখনকে বাঁচাতে গেলে তাকে ও তার ভাই মিলনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় তার আরেক ভাই শ্রমিক দলের নেতা সেলিম মুন্সী দূরে থাকায় তাকে কোপাতে পারেনি। দোষিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাই। এ ঘটনার পরে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত হান্নান ঢালী, বাচ্চু হাওলাদারসহ হামলায় জড়িতরা। তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি বলে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া বলেন ঘটনাটি স্থানীয় দ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে, রাজনৈতিক নয়। যারা আহত হয়েছে তারা বিএনপির কেউ নয়। একজন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। ওরা দুই ভাই বিএনপি নেতা শাকিল মুন্সী হত্যা মামলার আসামি। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ বছরের ২৩ মার্চ রাতে সদর উপজেলার নতুন মাদারীপুর এলাকায় সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাকিল মুন্সীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন শহিদুল ইসলাম লিখন মুন্সী ও তার আরেক ভাই। এ ঘটনার জেরেই আজকের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে চিহ্নিত কিছু লোকদের ধরার চেষ্টা চলছে। আর সদর থানা পুলিশ ঘটনার কাছে থাকলেও তারা আসার পূর্বেই কোপানোর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।

সরকারী দপ্তরে নির্বাচনী প্রচারণা!

 

স্টাফ রিপোর্টার:

উপরের ছবিটি তেজগাঁওস্থ বিসিক ভবনের ৩য় তলায় অবস্থিত বিসিক পরিচালক (অর্থ) মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস এর ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ ইমাম হাছানের কক্ষের ছবি। যেখানে ১৬-০৫-২০২৪ তারিখ সকাল ৯.৩৯ মিঃ সময় মোঃ আসাদুজ্জামান তসলিম এবং মোঃ আল আমিন নামের দুইজন বিসিকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী এবং অন্য তিনজন হচ্ছেন মোঃ শরীফ উদ্দিন সরকার,সহকারী নিরীক্ষা কর্মকর্তা, নিরীক্ষা বিভাগ,মোঃ আব্দুস সালাম, উচ্চমান সহকারী, পরিকল্পনা বিভাগ এবং মোঃ গোলাম রব্বানী, অফিস সহায়ক এমআইএস বিভাগ চলমান উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন পেশাজীবি নেতাদের নিয়ে নির্বাচনী আলোচনার আয়োজন করেন!
একটি সরকারী অফিসে সরকার নির্ধারিত মানদন্ড অনুযায়ী কর্মকান্ড সম্পাদনের বিধান আছে। অফিস চলাকালীন সময়ে এবং অফিস সময় শুরুর প্রারম্ভে একটি সরকারী দপ্তরে অবস্থান করে বেসরকারী কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর কোন সুযোগ থাকার কথা নয়।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারীর আহবানে সাড়া দিয়ে একটি সরকারী দপ্তরের আসবাবপত্র ও বিদ্যুত ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করতে সভা করতে পারেন না। এখানেই তারা খ্যান্ত হন নি। সেই ছবি ক্যাপশন সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোষ্ট দিয়ে আসাদুজ্জামান তছলিম কি বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছেন-তা কারে বোধগম্য নয়।
সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী এ ধরনের আচরণ গুরুতর অসদাচরণের পর্যায়ে পড়ে। যা বিভাগীয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ বিষয়ে বিসিক চেয়ারম্যান ও পরিচালক (প্রশাসন) এর পদক্ষেপ কামনা করেছেন বিসিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম