দীর্ঘ ৭ বছর পর শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন অনুষ্ঠিত!

মিজানুর রহমান,শেরপুর সংবাদদাতা:

৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শেরপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির এর নির্বাচন! শেরপুরে এই নির্বাচনকে ঘিরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২২ আগস্ট এই নির্বাচনে সাধারণ, সহযোগী ও ট্রেড গ্রুপে পরিচালক পদে মনোনয়ন দাখিল, বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে ৩৪ জন প্রার্থী ভোটে অংশ নেবেন। তাছাড়া ট্রেড গ্রুপে ২জন পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

শেরপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব জিপি এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, দীর্ঘ ৭ বছর পর নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পেয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তফসিল মোতাবেক গত ২৩ জুলাই বুধবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র বিক্রি করা হয়। ৩ গ্রুপে ১৯টি পরিচালক পদের বিপরীতে ৬৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ট্রেড গ্রুপে ২টি পরিচালক পদের বিপরীতে ৫ জন, সাধারণ গ্রুপে ১২টি পরিচালক পদের বিপরীতে ৪৯ জন ও সহযোগী সদস্যের ৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে ১৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ২৪ জুলাই নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড মনোনয়নপত্র জমা নেন। ২৬ জুলাই ৬৭ জন বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৪ আগস্ট সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত। সাধারণ গ্রুপে পরিচালক পদে ৪৯ জনের মধ্যে ২৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। ওই পদে এখন ২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সহযোগী গ্রুপে পরিচালক পদে ১৪ জনের মধ্যে ৪ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এখন ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ট্রেড গ্রুপে ৫ জনের মধ্যে ৩ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ মো. আরিফ হোসেন ও আব্দুল আওয়াল চৌধুরী বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।একইদিন বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে ব্যালট নাম্বার প্রদান করা হয়েছে। ব্যালট নাম্বার পাওয়ার সাথে সাথেই প্রার্থীরা প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। ব্যবসায়ী ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালাচ্ছেন ডিজিটাল প্রচারণা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হচ্ছেন সাধারণ পরিচালক পদে আনোয়ারুল ইসলাম সম্রাট, আমিনুল ইসলাম মিন্টু, আরিফুল কবীর আপেল, মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, মো. কামরুল হাসান, জাকির হোসেন মোল্লা, জাবেদ জাহান ইসলাম পরাগ, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. জাহিদুল ইসলাম, তৌহিদুর রহমান পাপ্পু, মো. দিদারুজ্জামান, মো. ফরহাদ আলী, মো. বোরহানুজ্জামান আরিফ, মোহাম্মদ মোছা মিয়া, মো. মেজবাউল হক, আলহাজ মহিউদ্দিন আহাম্মেদ মামুন, রাশেদুল হোসেন ডিয়ার, মো. শওকত হোসেন, শফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম গোল্ডেন, শেখ শোভন, সোহেল রানা বাবু, মো. হযরত আলী ও মো. হাসানুর রেজা জিয়া। আর সহযোগী পরিচালক পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন অটলেশ মালাকার, মো. আব্দুল হান্নান, মো. ফজলুর রহমান, মো. মেহেদি হাসান বাপ্পি, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. রমজান আলী মোল্লা, শুভ্র সাহা বাবন, মো. সোহেল রানা ও মো. হাসানুজ্জামান।

প্রার্র্থীদের মধ্যে অধিকাংশই রয়েছেন বিএনপির প্রথম ও মধ্যম সারির নেতা। এছাড়া জামায়াতের পাশাপাশি আওয়ামী ঘরানারও প্রার্থী রয়েছে কয়েকজন। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের প্রধান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব জানান, তার সাথে বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান ও হাজী জালমামুদ কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুশফিকুজ্জামান সেলিম। আগামী ২২ আগস্ট শেরপুর আফছর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে ট্রেড গ্রুপে ২৭ জন, সাধারণ গ্রুপে এক হাজার ৩৪৯ জন ও সহযোগী গ্রুপে ৮৭৫ জন ভোটার রয়েছেন। আমরা শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

তারাকান্দাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করায় আনন্দ র‍্যালী

 “আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” এ স্লোগান কে উপজীব্য করে সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা প্রশাসন আজ মঙ্গলবার (২১মার্চ) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আনন্দ র‍্যালী করে। আনন্দ র‍্যালীটি তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের( ইউএনও) নেতৃত্বে শুরু হয়ে তারাকান্দা থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় আনন্দ র‍্যালীতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড.ফজলুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নয়ন সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধান, উপজেলার সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সহ আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় উপকার ভোগী নারী ও পুরুষ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমতের সমাপনি বক্তব্যের মাধ্যমে র‍্যালী শেষ হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম