বগুড়ায় দুদকের ১৭৯তম গণশুনানি

বগুড়ায় দুদকের ১৭৯তম গণশুনানি

ডেস্ক রিপোর্ট:

বগুড়া জেলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৭৯তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের অংশ হিসাবে রোববার (১০ আগস্ট) বগুড়া শহীদ টিটু মিলনায়তনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

দুদক জানায়, হয়রানির শিকার বা সেবাবঞ্চিত সংক্ষুব্ধ জনসাধারণ তাদের অভিযোগগুলো বগুড়া জেলার সব সরকারি দপ্তর প্রধানদের উপস্থিতিতে কমিশনের সামনে তুলে ধরবেন। একইসঙ্গে সেবাবঞ্চিত জনসাধারণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই গণশুনানির মূল অভিপ্রায়।

গণশুনানিতে জনসাধারণের সমাগমে বগুড়া সদরের বিভিন্ন এলাকায় সপ্তাহব্যাপী মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ, বুথ স্থাপন করে অভিযোগ সংগ্রহ, অভিযোগ বাক্স স্থাপনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুদকের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছে। ফলে বগুড়া সদরের উক্ত গণশুনানির বিষয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

গণশুনানি সফল করতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার বগুড়া জেলার সব নাগরিক এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার জন্য দুদকের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সামরিক বাহিনীকে ব্যরাকে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের

স্টাফ রিপোর্টার:

সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা। ‘রাজনৈতিক সংকটকে সামরিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’ এই মন্তব্য করে তাঁরা এর বিরোধিতা করছেন বলে জানিয়েছেন।

আজ রাজধানীর রাওয়া ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা। দেশের বিদ্যমান অবস্থায় সংকট নিরসনে করণীয় প্রসঙ্গে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া।

মূল বক্তব্যে ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, দেশের নীতিনির্ধারকেরা যদি বিবেক, বুদ্ধি ও হৃদয়হীন হয়ে না পড়তেন, তাহলে গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড়, করুণ, মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটত না। এসব হামলা, আক্রমণ ও পাল্টা প্রতিরোধে অঙ্গহানি ঘটেছে অগণিত মানুষের। অন্ধ হয়েছেন বহুসংখ্যক কিশোর ও তরুণ। অসহায় নাগরিকেরা প্রয়োজনীয় এবং জরুরি চিকিৎসাও পাচ্ছেন না। তার ওপরে চলছে ব্লক রেইড করে, সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে বাড়িঘর, মেস চিনিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার মতো ভয়ংকর ঘটনা। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অথবা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন হাজার হাজার নিরপরাধ কিশোর–কিশোরী, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহেদুল আনাম খানসহ ছয়জন সাবেক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা বক্তব্য দেন। সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) নুরুদ্দীন খান।

সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘বৈষম্য, ভেদাভেদ ও জুলুমের অবসান করা ছিল মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। তা না ঘটে উল্টো এটা আজ দেশের সব পর্যায়ে ভয়াবহভাবে বিস্তার লাভ করেছে। সমাজের নিচের স্তরে পড়ে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সহ্যের সীমার বাইরে চলে গেছে। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ও এর ব্যবস্থাপনা খুব নাজুক, যার প্রতিকার ঘটাতে জনগণ আজ আত্মোৎসর্গ করতে পিছপা হচ্ছে না। এমন কষ্টকর পরিস্থিতির ভেতর দেশবাসীকে ঠেলে দেওয়ার জন্য যারা দায়ী, বিচারের মাধ্যমে তাদের সাজা নিশ্চিত করে পুরো ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও আস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম