এতিম হিফজ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন কোরআন তুলে দিল দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন

স্টাফ রিপোর্টার:

“শিক্ষা সকলের অধিকার , নতুন বই পাওয়া সবার দরকার” এই স্লোগানকে ধারণ করে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন বরাবরের ন্যায় এবারও ব্যতিক্রম একটি কার্যক্রম উদ্ভোধন করেছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শতাধিক এতিম হিফজ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন কোরআন শরীফ তুলে দিল দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন।

আজ ১১ ই আগষ্ট (সোমবার) চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে জামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানায় উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী সেলিম বিশ্বাস।

এসময় মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, “আমরা কুরআনের পাখিদের দেখতে এসেছি। তাদের খোঁজ খবর নিতে এসেছি। আসার সময় ভাবলাম প্রতিবছর স্কুল শিক্ষার্থীরা নতুন বইয়ের গন্ধ পায়। তাহলে শুধুমাত্র তাদের বাবা-মা নেই বলে তারা এ আনন্দ থেকে কেন বঞ্চিত হবে? তাই আসার সময় তাদের জন্য নতুন পবিত্র কোরআন শরীফ উপহার হিসাবে এনেছি। আমরা আজ এটি উদ্ভোধন করলাম। আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পুরো বাংলাদেশে ২ হাজারের অধিক এতিম হিফয শিক্ষার্থীদের নতুন কুরআন শরীফ উপহার দেয়ার চেষ্টায় থাকব।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজী সেলিম বিশ্বাস বলেন, “আজকের এই উদ্যোগ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। কোরআন শরীফ শুধুমাত্র একটি বই নয়, এটি জীবন পরিচালনার দিকনির্দেশনা। এতিম ও হিফজ শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন কোরআন তুলে দিয়ে আপনারা শুধু বই দেননি, বরং তাদের মন ও জীবনে নতুন আলো জ্বালিয়েছেন। আমি আশা করি দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এই মহৎ কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে এবং দেশের প্রতিটি প্রান্তে এই আলো ছড়িয়ে দেবে। আমি ব্যক্তিগতভাবেও এই উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর প্রধান জেলা সমন্বয়ক মুহাম্মদ আবু আদিল , মো: জিহাদুল ইসলাম, এ আর তাইমুন, কামরুল ইসলাম , আখতার হোসেন রাফিদ, হাকিমুল হাসান সাকিব, মেহরাজ উদ্দিন মুহিত সহ জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় এক দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে, যেখানে এতিম হিফজ শিক্ষার্থীদের সুস্থতা, জ্ঞান ও নৈতিকতার উৎকর্ষ, কোরআনের আলোয় আলোকিত জীবন, এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করা হয়।

নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানোর বিষয়ে ইসলাম

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

নারীদের নাক ও কান ফোঁড়ানোর বিষয়ে ইসলামের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আমাদের দেশের অনেকের মধ্যে এ রকম ধারণাও প্রচলিত রয়েছে যে, কোনো মেয়ে যদি নাক-কান না ফোঁড়ায়, তাহলে কেয়ামতের দিন তার শাস্তি হবে। আসলে এমন কথার কোনো ভিত্তি নেই।

কোনো নারী যদি নাক-কান না ফোঁড়ান তাহলে তার গুনাহ হবে না এবং এ জন্য তাকে আখেরাতে শাস্তির মুখোমুখিও হতে হবে না। তবে অলংকার পরিধানের জন্য নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো জায়েজ। নারী সাহাবিরা কানে অলংকার পরিধান করতেন বলে হাদিসে বর্ণিত রয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঈদের দিন বের হলেন এবং দুই রাকাত নামাজ পড়লেন। আগে-পরে কোনো নামাজ পড়লেন না। অতঃপর বেলালকে (রা.) সঙ্গে নিয়ে নারীদের কাছে গেলেন। তাদেরকে উপদেশবাণী শোনালেন এবং সদকা করার নির্দেশ দিলেন। তখন নারীরা তাদের কানের দুল এবং হাতের কংকন খুলে দিতে লাগলেন। (সহিহ বুখারি: ১৪৩১)

এ হাদিস থেকে নারীদের নাক ফোঁড়ানোর ব্যাপারে নবিজির (সা.) অনুমোদন ও তা জায়েজ হওয়ার বিষয়টি বোঝা যায়।

হজরত আবদুর রহমান ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। আমি এক ব্যক্তিকে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি, ‘ঈদুল ফিতর বা আজহার কোনো একটিতে কি আপনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ। অবশ্যই তার সঙ্গে আমার এত ঘনিষ্ঠতা না থাকলে স্বল্প বয়সের কারণে আমি তার সঙ্গে উপস্থিত হতে পারতাম না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বের হলেন। তারপর নামাজ আদায় করলেন। খুতবা দিলেন।’

 

সবা:স:জু- ৩৫০/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম