পৃথক দুই স্থান থেকে নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার

পৃথক দুই স্থান থেকে নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জে সংবাদদাতা:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক দুটি স্থান থেকে এক নারীর ও এক পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে শিমরাইল এলাকার একটি টিনসেড ঘর থেকে গলাকাটা অবস্থায় সাবিনা আক্তার লাকি (৩৫) নামে এক নারীর মরদেহ এবং সিআইখোলা এলাকার ডিএনডি লেকে ভাসমান অবস্থায় এক অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, নিহত সাবিনা আক্তার লাকি ঢাকার ওয়ারীর গোপীবাগ এলাকার প্রয়াত শামসুল হকের মেয়ে। শিমরাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের পাশে টিনসেড ঘরে বাস করতেন নিরব নামে এক বাসচালক। তিনি নিহতকে স্ত্রী পরিচয়ে সেখানে থাকতে দিতেন। কয়েক দিন আগে লাকি তার তিন সন্তানসহ সেখানে আসেন। বুধবার সকালে শিশুদের কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয়রা দরজা খুলে ভেতরে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিরবকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে, মাত্র এক কিলোমিটার দূরে ডিএনডি লেকে ভাসমান অবস্থায় এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, তার মৃত্যু অন্তত দুই দিন আগে হয়েছে এবং মরদেহের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। এটি হত্যাকাণ্ড কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

সোনারগাঁয়ের মেঘনায় নৌ-পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনায় বালুবাহী বাল্কহেড, ট্রলার, জেলে, নৌকাসহ বিভিন্ন নৌযানে ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি চলছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার নৌ-ফাঁড়ি পুলিশ টহলের নামে ট্রলারে চেপে দীর্ঘদিন ধরে এই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের ও পিরোজপুর ইউনিয়নের ফ্রেশ কোম্পানির এলাকায় নৌ-পুলিশ প্রতিদিন ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। বৈদ্যেরবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহিন’র কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাঁদা আদায়ের বিঘয়টি অস্বীকার করেন।

গতকাল (৯ মে, 2023) মঙ্গলবার সরেজমিনে সকালে মেঘনা নদীতে গিয়ে বৈদ্যেরবাজার নৌ-ফাঁড়ি পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজির ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ভোর সকালে পৌনে ৬ টার দিকে পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনায় ফ্রেশ কোম্পানির বরাবর নদীর মাঝখানে গিয়ে দেখা যায়, গেঞ্জি ও ফুল শার্ট পরিহিত একটি স্পিডবোর্ডে বালুবাহী বাল্কহেড থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। দুই পুলিশ বিভিন্ন নৌযানে পাঁচশত থেকে শুরু করে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। ক্যামেরা দেখেই চাঁদা আদায়কারী দু’জনই দ্রুত স্পিডবোর্ড চালিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।

এ সময় আশুগঞ্জ থেকে বালুবাহী বাল্কহেডের কুদ্দুস মিয়া জানান, তার কাছ থেকে পাঁচশ’ টাকা নিয়েছে ফাঁড়ি পুলিশ। শুধু আজকেই নয়, প্রতিনিয়ত মেঘনার এ স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। একই অভিযোগ বালুবাহী বাল্কহেড এমভি লিলির জামান, নাজমুল, জহিরসহ আরও অনেকের।

তারা জানান, প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এই চাঁদাবাজি চলে। মেঘনার এলাকায় মাঝ নদীতে এলে তাদের চাহিদামতো চাঁদা আগে থেকে হাতে তুলে রাখতে হয়। তা না হলে পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম