১৭ টন অবৈধ পলিথিন জব্দ, ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৭ টন অবৈধ পলিথিন জব্দ, ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তিনটি অবৈধ পলিথিন কারখানাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিথিন তৈরির কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লার ভূঁইগড় এলাকায় চারটি অবৈধ কারখানায় র‍্যাব, পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে। পরে শহরের পশ্চিম দেওভোগে আরেকটি কারখানায় অভিযান চালায় র‍্যাব।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম বলেন, কারখানাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলে সোহাগ পলিথিন কারখানাকে এক লাখ টাকা, আল মদিনা কারখানাকে দুই লাখ টাকা এবং আব্বাসিয়া পলিমার কারখানাকে এক লাখ টাকাসহ মোট চার লাখ জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম। পরে কারখানাগুলোতে তল্লাশি করে প্রায় ১৭ টন নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিক দানাসহ পলিথিন তৈরির কাঁচামাল জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে র‍্যাব-১১ অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

কাস্টমসের ১২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানি স্যুট মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের ১২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানি স্যুট মামলা করা হয়েছে। ৫ মাসের অফিস ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ ৯ লাখ ৮১ হাজার ২৯১ টাকা পরিশোধ না করায় ফজর আলী গার্ডেন সিটি ভবন মালিকের পক্ষে মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।

বিবাদীরা হলেন- কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডেপুটি কমিশনার) মাধব বিকাশ দেব রায়, সহকারী কমিশনার ও বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাইয়ুম, রাজস্ব কর্মকর্তা (জালকুড়ি সার্কেল) মো. মুশফিকুর রহমান চৌধুরী, রাজস্ব কর্মকর্তা (হীরাঝিল সার্কেল) মো. আব্দুল মান্নান তালুকদার, রাজস্ব কর্মকর্তা (মৌচাক ও সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেল) মো. নূরুল ইসলাম, বিভাগীয় কর্মকর্তা (উপ-কর কমিশনার) দিপা রানী হালদার ও মো. সোহেল রানা, রাজস্ব কর্মকর্তা আবুল কাশেম, পুরনজয় গোস্বামী, মো. ফারুক ও ট্যাক্স ইন্সপেক্টর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগীয় কার্যালয় করার জন্য বিবাদীরা সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাংরোড ফজর আলী গার্ডেন সিটি ভবন মালিক মো. চাঁন মিয়ার সঙ্গে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর চুক্তি করেন। ভবনটির চতুর্থ তলায় ৩ বছর মেয়াদে ৪ হাজার ১১৫ বর্গফুট একটি ও ২ হাজার ২১৫ বর্গফুট করে চারটি চুক্তি সম্পাদন করে মাসে ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৫০ টাকা ভাড়ায় ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে অফিস কার্যক্রম শুরু করেন। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ভবন মালিক চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য বিবাদীদের চিঠি দেন। কিন্তু চুক্তি নবায়ন না করে পূর্বের ভাড়ায় ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আরও ৩ মাস থাকার জন্য বিবাদী বিভাগীয় কর্মকর্তা (উপ-কর কমিশনার) দিপা রানী হালদার ভবন মালিককে অনুরোধ করে চিঠি দেন। এতে ভবন মালিক সম্মতি দেন। কিন্তু বিবাদীরা ৩ মাসের কথা বলে ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে ৫ মাস ভবনে অবস্থান করেন। এতে ভবনের ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ ৯ লাখ ৮১ হাজার ২৯১ টাকা বকেয়া হয়। ভবন মালিকের বকেয়া পরিশোধ না করে বিবাদীরা গত বছরের ৩০ মে আটি এলাকার ভূমি পল্লী আবাসিক এলাকার লেকভিউ টাওয়ারে অফিস স্থানান্তর করেন।

এদিকে পাওনা পরিশোধের জন্য বাদীপক্ষ বারবার তাগিদ দিলেও বিবাদীগণ দেব দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন। ফলে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি বাদী পাওনা পরিশোধের জন্য একজন আইনজীবীর মাধ্যমে বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। এতেও তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। সর্বশেষ বাদী স্বশরীরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিবাদীদের বর্তমান অফিসে গিয়ে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বললে তারা টাকা দিতে অস্বীকার করেন। নিরুপায় হয়ে পাওনা আদায়ের জন্য গত ২৮ এপ্রিল মামলাটি করা হয়।

জানতে চাইলে বাদী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের পাওনা পরিশোধ না করে অফিস স্থানান্তরে বাধা দিয়ে ছিলাম। তখন বিভাগীয় কর্মকর্তা (উপ-কর কমিশনার) দিপা রানী হালদার দ্রুত সময়ে আমাদের পাওনা পরিশোধ করার আশ্বাস দিয়ে অনুরোধ করায় যেতে দিয়েছি। কিন্তু তিনি তার কথা রাখলেন না। তাই মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।

কাস্টমস অফিসে গিয়ে খবর নিয়ে জানা গেছে, যাদের সঙ্গে ভাড়ার চুক্তি হয়েছিল, তার বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছে। মামলার বিষয়টি অবগত স্বীকার করে বর্তমান বিভাগীয় কর্মকর্তা মাধব বিকাশ দেব রায় বলেন, ‘এসব বিষয় আমি এ অফিসে যোগ দেওয়ার আগে হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে তাই কিছু বলতে চাই না।’

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম