
সিলেট সংবাদদাতা:
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র ‘সাদাপাথর’ এলাকা থেকে বালু ও পাথর লুটপাটের ঘটনায় এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের মাহমুদ আদনান। তিনি বলেন, উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে তার বাসা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আলমগীর আলম জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক।
এদিকে, সিলেটের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। বুধবার রাত ১০টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। সারারাত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলে। এসব অভিযানে পাথরবোঝাই ১৩০টি ট্রাক জব্দ করা। বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ সাংবাদিকদের বলেন রাত থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। এখনো চলছে। অভিযানে জব্দ করা পাথর আবার সাদাপাথরে নিয়ে রাখা হবে। এ ছাড়া আজ কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে পৃথক দুটি তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে পাথর তোলা বন্ধে সার্বক্ষণিক নজরদারি শুরু হবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাত পৌনে ১১টা থেকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সালুটিকর এলাকায়, পরে সিলেট ক্লাবের সামনে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। আজ সকাল থেকে সিলেট শহরতলির বড়শালা এলাকায় যৌথ বাহিনী তল্লাশি চৌকি বসিয়ে অভিযান চালাচ্ছে।
অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে লুট হওয়া ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের সাদাপাথর এলাকাসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়েছে বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার।