ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জিএল গ্রীন ওয়েল ফ্যাক্টরিকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুমিল্লার মুরাদনগরে পরিবেশ সংরক্ষণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষ অভিযানে একটি তেল শোধনাগারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) উপজেলার বাঙ্গারা বাজার থানার পূর্বধৈইর পূর্ব ইউনিয়নের জয়নগর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা যায়, অনুমোদন ও ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে পরিচালিত ওই কারখানায় জাহাজের পোড়া তেল ব্যবহার করে তেল শোধনের কাজ চলছিল। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে মেসার্স জিএল গ্রীন ওয়েল ফ্যাক্টরিকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী জরিমানা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুর রহমান। এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন পূর্বধৈইর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকলাল দেবনাথ ও বাঙ্গারা বাজার থানার পুলিশ সদস্যরা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং পরিবেশ দূষণকারী ও অবৈধ কার্যক্রমে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় এলাকাবাসী প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হলে পরিবেশ রক্ষা হবে, কৃষি সুরক্ষিত থাকবে এবং দূষণ কার্যক্রম বন্ধ হবে।

কুমিল্লায দুই এমপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য দেওয়ার সময় সম্মেলনের বাইরে দুগ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর টাউন হল মাঠের ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে মঞ্চ উঠে পৌনে ১২টার দিকে উদ্বোধনী বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমা দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু এমপি সীমাসহ ৮ জনকে ভেতরে প্রবেশ করতে বলায় বিপত্তি বাধে।

এ সময় তারা কিছু সময় গেটে বিক্ষোভ করেন এবং পরে তারা ফিরে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।

পরে স্থানীয় এমপি বাহার ও সীমা সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফারণ ও বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় হেলমেট পরা কয়েকজন যুবক দৈনিক সমকালের ফটোসাংবাদিক এন কে রিপনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।

এমপি সীমা অভিযোগ করেন, তিনি শুক্রবার রাতেও দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। নেতারা যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন সেইভাবে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে সম্মেলনে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু গেটে যেতেই বলা হয় ৮ জন ঢুকতে পারবে, তাই ফিরে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি মিছিলের সামনে ছিলাম, পেছন থেকে প্রথমে ককটেল বিস্ফোরণ এবং লাঠিচার্জ করা হয়েছে। সব তো পুলিশ দেখেছে। তারা জানার কথা আমাদের ওপর কারা ককটেল মেরেছে।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ হানিফ সরকার বলেন, আওয়ামী লীগের উভয় পক্ষের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে আমরা পরিস্থিতি শান্ত করি, বড় ধরনের কিছু ঘটেনি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম