আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে

লন্ডন প্রতিনিধিঃ

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে সাউথ এশিয়ান পলিসি ইনিশিয়েটিভ ও গ্লোবাল ভয়েস ফর হিউম্যানিটির উদ্যোগ যুক্তরাজ্যে সক্রিয় নিরপদ বাংলাদেশ চাই ইউকে সহ ১৪টি মানবাধিকার সংগঠনের সমন্বয়ে ওয়েস্ট মিনিস্টারের পার্লামেন্ট স্কয়ার থেকে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট পর্যন্ত র‌্যালি করে এসব সংগঠন গুলি। এসব সংগঠনে নেতৃত্ব দেন বিএনপি, জাময়াত-শিবিরের পলাতক নেতৃবৃন্দ। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে। এই সংগঠন গুলি লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন,ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও বিবিসি অফিসে সামনে মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান করে। আন্তর্জাতিক ভাবে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করাই হল তাদের কাজ। বিভিন্ন সময় সভা সমাবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশী কমিউনিটির মাঝে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত কর বক্তব্য, লিফলেট বিতরণ করা হয়।
গত ১০ই ডিসেম্বর রোজ শনিবার সকাল সাড়ে এগারো ঘটিকায় পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে মানবাধিকার সংগঠন গুলোর কর্মীরা একত্রিত হয়ে ওয়েস্টমিনিস্টারে পার্লামেন্ট স্কয়ার থেকে র‌্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার  মুলক বক্তব্য, প্ল্যাকার্ড, কার্টুন পদর্শন করে আন্তর্জাতিক ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করার পায়তারা করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মিডিয়া মাধ্যমে লাইভ করে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মুলক বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. হাসনাত এম হোসেইন এম বি ই, বিএনপি’র আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম মালিক, কাউন্সিলর ওহিদ আহমদ, মুসলিম খান, মো: আসয়াদুল হক, আলী হোসাইন, মোঃ শামীমুল হক, আরিফ আহমদ,মো: মিফতা উদ্দীন ,রায়হান আহমদ,মি: আলিম উদ্দীন,মো: হাবিবুর রহমান,মো: মাহফুজুর রহমান,জাকির আহমদ,মো: রাসেল মাহমুদ,ফজল আহমদ, রফিক আহমদ হুমাউয়ুন আহমদ প্রমূখ।
সাউথ এশিয়ান পলিসি ইনিশিয়েটিভ ও গ্লোবাল ভয়েস ফর হিউম্যানিটির পক্ষে র‌্যালির আয়োজনে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন সরকারের বিরুদ্ধে স্কাইপি কেলেঙ্কারি জন্য বন্ধ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান।
এদিকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে সাউথ এশিয়ান পলিসি ইনিশিয়েটিভ ও গ্লোবাল ভয়েস ফর হিউম্যানিটির উদ্যোগে যুক্তরাজ্য ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সের প্যারিস এবং ব্রাসেলস-এ সেমিনার, পথ নাটক এবং মানববন্ধন করে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

কমেছে আলু-পেঁয়াজ-সবজির দাম, বেড়েছে চাল-মুরগির

স্টাফ রিপোর্টার: 

দাম কমতে শুরু করেছে আলু, পেঁয়াজ ও সবজির। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২০ টাকা ও আলুতে ১০ টাকা দাম কমেছে। এছাড়া যেকোনো সবজি প্রতি কেজিতে কমেছে ১০-২০ টাকা। অন্যদিকে, চাল ও মুরগির দাম খানিকটা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ বাড়লেও পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়নি।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, সাধারণত নভেম্বরের শেষ দিকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ এবং ডিসেম্বরের শুরুর দিকে আলু বাজারে আসতে শুরু করে। তবে চলতি বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আলু-পেঁয়াজের বীজ বুনতে দেরি করেন কৃষকেরা। এ কারণে বেশ কিছুদিন পণ্য দুটি বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছিল। এখন নতুন পেঁয়াজ ও আলু আসতে শুরু করায় এ দুই পণ্যের দাম কমছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে দেশি পুরোনো, স্থানীয় মুড়িকাটা এবং আমদানি করা- এই তিন ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ৯০-১১০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম আরও কম; এক কেজির দাম ৭০-৮০ টাকা। এ ছাড়া পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ (পুরোনো) ১১০-১৩০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

অন্যদিকে, দুই সপ্তাহ আগে এক কেজি পুরোনো আলুর দাম ছিল ৮০ টাকা। নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে নতুন ও পুরোনো উভয় ধরনের আলু ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আমনের ভরা মৌসুমের মধ্যেও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম কেজিতে ২-৫ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মিল পর্যায়ে চালের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তবে চালকলের মালিকদের দাবি, ধানের দাম বাড়ায় তারা চালের দাম বাড়িয়েছেন।

বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট ছিল। খুচরা দোকানগুলোতে এখন বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে, তবে এখনো পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়নি। গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানো হয়। আশা করা হয়েছিল, তেলের সরবরাহ দ্রুত বাড়বে; কিন্তু তা হয়নি।

মুদি বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, ‘ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো পুরোদমে তেল সরবরাহ করছে না। তেল পেতে ডিলারদের সঙ্গে একধরনের তর্ক-ঝগড়া করতে হচ্ছে। এরপরও যা পাচ্ছি, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।’

তবে স্বস্তি মিলেছে সবজির বাজারে। ধরনভেদে প্রতি কেজি শিম ৪০-৬০ টাকা, মুলা ২০-৩০ টাকা, শালগম ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১০০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০-৩০ টাকা এবং লাউ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবা:স:জ- ৪৩৮/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম