ডাকসুতে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক॥

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহের সময় তরিকুল শিবলী (৪০) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, তিনি অনলাইন ভিত্তিক টেলিভিশিন ‌‘চ্যানেল এস’ এর সিটি রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সহকর্মী সোহেল রানা জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ঢাবির কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় লাইভে ছিলেন তরিকুল শিবলী। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায়। বর্তমানে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় থাকতেন। দুই মেয়ের জনক ছিলেন তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চিকিৎসক জানিয়েছেন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবুও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ বিএফইউজে-ডিইউজের

সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

শনিবার (২২ জুন) বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ডিইউজের সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম এক যৌথ বিবৃতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তারা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার লুটপাট নিয়ে দৈনিক মানবজমিন, প্রথম আলোসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘অতিরঞ্জিত রিপোর্ট’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। গত শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি। প্রতিবাদের ভাষা দেখলে মনে হচ্ছে, স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে হুমকি দিয়েছে পুলিশ। পেশাজীবী সাংবাদিকদের অস্তিত্বের স্বার্থে বিএফইউজেসহ সাংবাদিক সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেয়া সময়ের দাবি।

তারা বলেন, সাংবাদিকদের দায়িত্ব হচ্ছে ঘটনা তুলে ধরার পাশাপাশি এর পেছনের কারণ অনুসন্ধান করে প্রাপ্ত তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরা। সংবাদপত্র প্রকাশের শুরু থেকেই অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে ভয়-ডরহীনভাবে এ কাজটি করে আসছে সাংবাদিকরা। আমরা বিশ্বাস করি, সাংবাদিকরা প্রাপ্ত তথ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রমাণ যাছাই-বাছাই করে এসব সম্পদের বিবরণ সম্বলিত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত এসব প্রতিবেদনের সাথে দ্বিমত পোষণ করলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বা সংগঠনের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশেরও রীতি রয়েছে। তাতেও সন্তুষ্ট না হতে পারলে সংক্ষুব্ধরা প্রেস কাউন্সিলে দ্বারস্থ হওয়ার বিধিবদ্ধ আইন রয়েছে।
নেতারা বলেন, কিন্তু সেই পন্থা অনুসরণ না করে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন সাংগঠনিকভাবে এবং কোনো কোনো নেতা সংবাদ সম্মেলন করে যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, তা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি বলে আমরা মনে করি। আমরা পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এ বিবৃতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।

বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা মনে করেন, কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে তা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা মোটেও কোনো বাহিনীর বিষয় নয়।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, সাংবাদিকরা বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে সংবাদ তৈরি করে না। যা ঘটেছে তা অনুসন্ধানের মাধ্যমে বের করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই সংবাদ রচনা করে। বিএফইউজে ও ডিইউজে স্পষ্টভাবে জানাতে চায়, পূর্বসুরীদের মতো শত হুমকি ও ধমকের মুখেও সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।

নেতারা আশা প্রকাশ করে বলেন, বিএফইউজে ও ডিইউজে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বিবৃতি ও বক্তব্য দেয়া থেকে সংশ্লিষ্ট মহল বিরত থাকবেন সেই প্রত্যাশা করে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম