জেলা জজের দুর্নীতি আড়াল করতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভোলার জেলা জজ এ এইচ এম মাহমদুর রহমানের দুর্নীতির খবর প্রকাশের জেরে সাংবাদিক সাগর চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সাধারণ সাংবাদিক সমাজ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, মামলাটি সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক। দুর্নীতি আড়াল করতেই সাংবাদিককে টার্গেট করা হয়েছে। তাদের মতে, সংবাদে কোনো অসত্য থাকলে মানহানির মামলা করা যেত, কিন্তু সাজানো চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একজন জেলা জজের নির্দেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা জাতির জন্য লজ্জাজনক বলে তারা মন্তব্য করেন।

বক্তারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং দেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নুরুল হোসেন কাইয়ুম- সদস্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। রাজু আহমেদ- সদস্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। সংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক, জিয়াউর রহমান- সদস্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। বিপ্লব সিকদার সদস্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।সংবাদিক নেত্রী জেসমিন জুই, আনিছুর রহমান মোল্লা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। কাজী টিটু ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। সাংবাদিক কবির হোসেন এবং আহত জুলাই যোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ইমন সহ বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিক নেতারা।

মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ। সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, প্রকাশিত সংবাদে ‘ভোলা কোর্টের বিচারক ও আইনজীবীদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন’ এবং ‘ভোলা জেলার জজ মাহমুদুর রহমানের অনিয়ম ও দুর্নীতি’ শিরোনামের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ আড়াল করতেই জেলা জজের নির্দেশে আদালতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে সমালোচিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ প্রকৃত তথ্য আড়াল এবং জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড রক্ষার উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার: 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে।

এ বিষয়ে বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এতে সভাপতিত্ব করেছেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ের শুরুতে ছাত্রদের আন্দোলন রাজপথে গড়ায়। এটি এক পর্যায়ে গণআন্দোলনে রূপ নেয় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। এতে ৫ আগস্ট জনরোষে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। অবসান ঘটে প্রায় সাড়ে ১৫ বছরের দুঃশাসনের।

৫ আগস্ট এই আন্দোলন চূড়ান্ত সফলতা লাভ করলেও ছাত্র-জনতা এর নামকরণ করে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ নামে। এছাড়া ৫ আগস্টকে ’৩৬ জুলাই’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

 

সবা:স:জু- ৪০২/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম