কারিগরি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস এবং প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র কুক্ষিগত করার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন তারা। অবরোধের ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং আশপাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সারা দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে ‘বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করা হবে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কারিগরি শিক্ষাকে অবহেলা করা হচ্ছে এবং প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য অধিকার হরণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই তারা রাস্তায় নেমেছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে– হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল হওয়া ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি ও নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল করা; ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বয়সসীমাহীন ভর্তির সুযোগ বন্ধ করে উন্নতমানের চার বছর মেয়াদি কারিকুলাম চালু করা এবং ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে নিম্নপদে নিয়োগ বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবলকে কারিগরি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিষিদ্ধ করা এবং শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

শিক্ষার্থীরা আরও দাবি তুলেছেন– স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা ও ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করতে হবে। একইসঙ্গে উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মাণাধীন প্রকৌশল কলেজগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস চালুর মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সাতরাস্তা মোড় ও আশপাশে যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে অনেক যাত্রীকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার সংস্কার চান হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর শান্তিনগরে অবস্থিত হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়াসিউল মাসুম ও প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মুক্তাদির কে কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তারা জানান, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি, আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাসিমের ঘনিষ্ঠ সহচর,স্বঘোষিত প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মুক্তাদির আওয়ামী প্রশাসনকে ব্যবহার করে কলেজে দুর্নীতি ও নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মোহাম্মদ মুক্তাদির কলেজে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পরে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করে নিজেকে প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দাবি করে একছত্র আধিপত্য বিস্তার করে। আওয়ামী প্রশাসন কে ব্যাবহার করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত ২০২১ সালের জনবল কাঠামো এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন করে, সিনিয়র শিক্ষকদের সম্পুর্ন অন্ধকারে রেখে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর ক্ষমতাবলে তার ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তাদিরের জোগসাজকের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে সিনিয়র দুইজন শিক্ষক কে বাদদিয়ে সিরিয়ালে থাকা তৃতীয় নাম্বরের ( মার্কেটিং) শিক্ষক ওয়াসিউল মাসুমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন।

সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাসিমের ঘনিষ্ঠ সহচর, অত্র কলেজের প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর মুক্তাদির ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ব্যবহার করে সাধারণ ছাত্র,ছাত্রী, কলেজের কর্মচারী, এবং শিক্ষক–শিক্ষিকা বৃন্দকে নানারকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা যেনো আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে না পারে তার জন্য সে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করে, এবং হুমকি প্রদান করে।

অভিযোগ আছে, মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে কলেজের কোন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে শিক্ষক, কর্মচারীদের, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মানসিক এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা ভূইয়াকে অফিস কক্ষে তার অনুসারী শিক্ষককে দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে রক্তাক্ত করে। কলেজ কর্মচারীদের অভিযোগ থেকে জানা যায় বিভিন্ন দপ্তরের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মুক্তাদিরের যোগসাজকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হতো। এই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় অত্র কলেজের কম্পিউটার অপারেটর মনিরুজ্জামানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করলে (২৮,৪,২৪ ইং) রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। সেখানেও সে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং মনিরুজ্জামানকে নানা রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।

অত্র কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী এবং সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা, অনতিবিলম্বে এ সমস্ত দলবাজ, দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের দ্রুত কলেজ থেকে অপসারণ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম