আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে কুমিল্লা ১ আসনে গ্রুপিং রাজনীতির কবলে নেতা কর্মী

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কুমিল্লা-১ আসনে আওয়ামী লীগের ভেতরে নতুন করে গ্রুপিং শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে দাউদকান্দিতে আওয়ামী লীগের একাধিক গ্রুপ সক্রিয় থাকলেও ৫ই আগস্টের পর থেকে দলীয় ঐক্যের চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। তবে হঠাৎ করেই ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের এক মিছিলে ব্যানারে ইঞ্জিনিয়ার সবুরের ছবি দেখা যাওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

গোপন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন শিকদারের নির্দেশে ওই ব্যানারে ইঞ্জিনিয়ার সবুরের ছবি ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে আবারও গ্রুপিংয়ের সূত্রপাত হয়েছে বলে দাবি করছেন অনেক নেতা-কর্মী।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, দুঃসময়ে দলীয় ঐক্যের বদলে এ ধরনের গ্রুপিং শুরু হলে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তারা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের কোথাও এ ধরনের ছবি দিয়ে ব্যানারে নতুন গ্রুপিং শুরু না হলেও দাউদকান্দিতেই প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

এদিকে মিছিল শেষে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। পরে বিএনপি ও জামায়াত এ ঘটনার প্রতিবাদে দাউদকান্দিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে এ ধরনের বিভক্তি দলকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে

সাংবাদিক মাহবুব আলম লাভলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রেলওয়ের দূর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করার জেরে যুগান্তরের সাংবাদিক মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে সাবেক এক যুবলীগ নেতা । আজ বুধবার (২৯ মার্চ) সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে মামলাটি করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ–অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবর।

মাহবুব আলম যুগান্তরের ঢাকা অফিসের বিশেষ প্রতিনিধি। তিনি ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোশিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

২০১৩ সালের জুনে চট্টগ্রাম নগরে সিআরবি এলাকায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তরের কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে সংঘর্ষে জোড়া খুনের মামলার আসামি হেলাল। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।

সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের সরকারি কৌঁসুলি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ যুগান্তরের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, চট্টগ্রামকে নির্দেশ দিয়েছেন।’

আদালত সূত্র জানায়, মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৩ মার্চ যুগান্তরে সিআরবি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে হেলাল আকবর চৌধুরীকে জড়ানো হয়। পরদিন অভিযুক্ত সাংবাদিক তাঁর ফেসবুকে প্রতিবেদনটি শেয়ার করেন। প্রতিবেদনটিতে বাদীকে দখলবাজ, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বাদীর মানহানি করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

জানতে চাইলে মাহবুব আলম  বলেন, ‘ যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সপক্ষে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। দীর্ঘদিন শাহ আলম সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি রেলওয়ে। সেই সিন্ডিকেটের মদদদাতা বাবর। ক্যাসিনোকান্ডের সময় দুবাই পালিয়ে গেলও পুনরায় দেশে ফিরে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করছেন তিন। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকাশিত প্রতিবেদনে হেলাল আকবরের বক্তব্যও ছাপানো হয়েছে। পরে তিনি আইনগত নোটিশ দিলেও সেটিরও জবাব দেওয়া হয়েছে।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম