ঘুষ কেলেংকারীতে বরখাস্ত সেই এপিএস মোয়াজ্জেমকে ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নিয়োগ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ !

 

স্টাফ রিপোর্টার॥

শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ঘুষ কেলেংকারীতে বরখাস্ত এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তে থাকা অভিযুক্ত দেশ আলোচিত সেই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়ার সাবেক এপিএস মো: মোয়াজ্জেম হোসেনকে নতুন করে ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নিয়োগ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ঘটনাটি সবাইকে বিস্মিত করেছে।
জানাগেছে, সাবেক এপিএস মো: মোযাজ্জেম হোসেনকে গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্মারক নং ৩৪.০৩.০০০০.০০০.০০৪.০১.০০০৫.২২০৪৭৪ মূলে মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৯ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটির ৫ নং সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরিচয়ের কলামে তাকে ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে দেখানো হয়েছে।
এ ঘটনায় অবাক হয়েছে মাগুরার সর্বস্থরের জনগণ। তাদের প্রশ্ন, দেশ আলোচিত এমন একজন দুর্নীতিবাজকে কেন মাগুরা ক্রীড়া সংস্থার মত একটি প্রতিষ্ঠানে সদস্য পদে নিয়োগ দেওয়া হলো?
উল্লেখ্য যে, মাগুরা জেলা প্রশাসক যে তালিকা পাঠিয়েছিলেন সেই তালিকায় মো: মোয়াজ্জেম হোসেনের নাম ছিল না। তা ছাড়া মো: মোয়াজ্জেম হোসেন কোন ক্রীড়া সংগঠকও নন। তাহলে কে বা কারা তার নামটি অর্ন্তভুক্ত করলো? এমন একজন দুর্নীতিবাজের সাথে বসে একসাথে মিটিং করতে হবে মাগুরা জেলা প্রশাসক ও মাগুরার ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের এটা কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের একটি সুত্র জানায় যে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়ার ইচ্ছেতেই মোয়াজ্জেমকে মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ ও ক্রীড়ামোদীরা অতি সত্তর এই দুর্নীতিবাজ মো: মোয়াজ্জেম হোসেনকে সদস্য পদ থেকে বাদ দিয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসকের প্রেরিত তালিকা মোতাবেক এডহক কমিটি নিয়োগ দানের দাবী তুলেছেন।

দেশে প্রথমবারের মতো চালু গুগল পে, ব্যবহার করবেন যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট:

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো গুগল পে সেবা চালু হয়েছে। আপাতত এটি শুধু সিটি ব্যাংকের কার্ডধারীদের (ভিসা এবং মাস্টার কার্ড) জন্যই উন্মুক্ত। অর্থাৎ যারা সিটি ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তারাই এখন থেকে গুগল পে-এর মাধ্যমে দেশ-বিদেশে লেনদেন করতে পারবেন।

বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত ডিজিটাল ওয়ালেট গুগল পে মূলত স্মার্টফোনের মাধ্যমে নিরাপদ ও দ্রুত পেমেন্টের জন্য পরিচিত। তবে বাংলাদেশে এই সেবা এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু ছিল না। সিটি ব্যাংক এ সেবা চালুর মাধ্যমে একটি বড় অগ্রগতি ঘটিয়েছে দেশের ডিজিটাল লেনদেন খাতে।

সিটি ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রাহকরা এখন তাদের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে গুগল পে অ্যাপ ইনস্টল করে সিটি ব্যাংকের কার্ড সংযুক্ত করতে পারবেন। এরপর তারা এনএফসি সুবিধাসম্পন্ন দোকানে ‘ট্যাপ অ্যান্ড পে’ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইন শপিং, সাবস্ক্রিপশন পেমেন্ট ও অ্যাপে ইন-অ্যাপ পারচেজেও ব্যবহার করা যাবে এ সেবা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ দেশের ফিনটেক সেক্টরের জন্য একটি বড় মাইলফলক। কারণ এটি বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক মানের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করছে।

তবে গুগল পে-এর এ সুবিধা আপাতত কেবল সিটি ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও ভবিষ্যতে অন্যান্য ব্যাংকও এই সেবায় যুক্ত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

গুগল পে কীভাবে কাজ করে?
গুগল পে মূলত একটি মোবাইল পেমেন্ট এবং ডিজিটাল ওয়ালেট পরিষেবা, যা গুগল দ্বারা পরিচালিত। ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যাংক কার্ড গুগল পে অ্যাপে সংযুক্ত করে স্মার্টফোনের মাধ্যমে এনএফসি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই পেমেন্ট করতে পারেন। এটি পেমেন্টের সময় কার্ডের মূল তথ্য ব্যবহার না করে ভার্চুয়াল অ্যাকাউন্ট নম্বরের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশ থেকে গুগল পে ব্যবহার করবেন যেভাবে –
যেসব সিটি ব্যাংক গ্রাহক তাদের কার্ড গুগল পে-তে যুক্ত করতে চান, তারা নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল পে অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করুন।
অ্যাপ খুলে ‘Add a Card’ অপশনে যান।
সিটি ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য যুক্ত করুন।
ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনার ফোন পেমেন্টের জন্য প্রস্তুত।
সিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গুগল পে ব্যবহার সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় তারা ২৪/৭ গ্রাহক সহায়তা সেবা দেবে।

যা জানা প্রয়োজন –
বর্তমানে কেবল সিটি ব্যাংকের কার্ডধারীরা এই সুবিধা পাচ্ছেন।
শুধু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরাই গুগল পে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।
নিকট ভবিষ্যতে অন্যান্য ব্যাংক যুক্ত হলে আরও বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহার সম্ভব হবে।
যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে –
এই সেবা পুরোপুরি কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে গিয়ে কিছু সীমাবদ্ধতা চোখে পড়ছে। প্রথমত, গুগল পে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং এনএফসি ফিচারযুক্ত ডিভাইস। বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যবহারকারীর ফোনে এখনও এই প্রযুক্তি নেই বা সক্রিয় করা নেই। ফলে সবাই এই সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন না। এছাড়া শুধুমাত্র একটি ব্যাংকের (সিটি ব্যাংক) কার্ড দিয়ে সেবা সীমাবদ্ধ রাখায় অন্যান্য ব্যাংকের গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক মানের এই পেমেন্ট সেবা চালুর পরও বাংলাদেশে এখনো অনেক দোকান বা প্রতিষ্ঠান এনএফসি-ভিত্তিক পেমেন্ট গ্রহণে প্রস্তুত নয়। অনেক বিক্রেতা এখনো কিউআর কোড বা কার্ড সোয়াইপ পদ্ধতিতেই সীমাবদ্ধ। ফলে প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো না থাকায় গ্রাহকদের গুগল পে ব্যবহার করে পেমেন্ট করার সুযোগ অনেক ক্ষেত্রেই থাকছে না। এছাড়া অনেকেই এই প্রযুক্তি সম্পর্কে এখনও সচেতন নয়, যা ব্যবহার বিস্তারে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম