তারিখ লোড হচ্ছে...

সরকার উৎখাত করা এতই সোজা

স্টাফ রিপার্টার॥
বিজয় আমরা এনেছি, সেটা যেন কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর আসছে সরকার উৎখাত করতে। সরকার উৎখাত করা এতই সোজা? আওয়ামী লীগ পারে; আইয়ুব খান, এরশাদ ও খালেদা জিয়াকে উৎখাত করেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসলে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করতে পারে। ২০০১-এ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। সে বিষয়ে (চক্রান্ত ষড়যন্ত্র) মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।’

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বিশেষ আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।’

আমদানি ব্যয় বাড়ায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক জিনিস আমদানি করতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। সেজন্য দামও বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী তেলের মূল্য ও গ্যাসের মূল বেড়ে গেছে। সেজন্য আমাদের কিছুটা সাশ্রয়ী হতে হচ্ছে। আমরা সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেবো বলেছিলাম, সে কথা তো রেখেছি। এখন বিশ্বে দাম বাড়লে আমাদের কী করার আছে!’

বিদ্যুতে ভর্তুকিমূল্য থাকছে না
বিদ্যুতের দাম উৎপাদনের খরচ অনুযায়ী দিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন ভর্তুকিমূল্যে দিচ্ছি। সামনে আর দিতে পারবো না। আমাদের যেটা খরচ সেটা কিন্তু দিতে হবে। তাহলে দেবো, না হলে দেবো না।’

কৃষিপণ্য উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের আগাম সাবধানতা নিতে হবে। যাতে সংকটের পরিস্থিতিতে না পড়ি। সেজন্য জমিতে বাগানে বা ছাদে হলেও কিছু উৎপাদন করেন।’

বাম-ডান মিলে যায় কী করে?
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কোথায় বামপন্থি আর কোথায় ডানপন্থি। যারা বামপন্থী তারা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। বাম, স্বল্পবাম ও অতিবাম সবাই এখন জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে মিলে গেছে। এজন্যই বলা হয়, কী বিচিত্র বাংলাদেশ!’

তিনি বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, দেশের টাকা পাচার, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির নেতৃত্বে বড় বড় তাত্ত্বিকরা এক হয়ে যায় কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। কোথায় গেলো তাদের আদর্শ?’

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-এর পরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারা চেয়েছে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখছে।

এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা দেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক দেশ গড়ার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

 

পিবিআইয়ের  প্রতিবেদনে নারাজি জানালেন মুনিয়ার বোন নুসরাত তানিয়া

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আজ বছরের প্রথম দিনে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ চাঞ্চল্যকর মুনিয়া হত্যা ও ধর্ষণ মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।

নুসরাত জাহান তানিয়া আজ বিচারক মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ আবেদন করেছেন। বিচারক বেগম মাফরোজা পারভিন মামলার বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত বছরের ১২ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন।

তদন্ত প্রতিবেদনে, আইও বলেছেন, তিনি আনভীর এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাননি। অথচ নাগরিক টিভি আনভীরের বাসায় একাধিকবার উপঢৌকন নিতে আশরাফের যাতায়াতের প্রমান পেয়েছে। এই তদন্তকারী কর্মকর্তা আশরাফ মূলত আনভীরের কেনা গোলাম এবং তিনি বিপুল অংকের টাকা আনভীরের থেকে উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

আনভীরের সেবাদাস আশরাফের সাজানো তদন্ত প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল আনভীরকে এই মামলা থেকে বিনা জিজ্ঞাসাবাদে অব্যাহতি প্রদান করা। দৃশ্যমান এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবুজ বাংলাদেশ  জাগ্রত আছে। মুনিয়া হত্যার ন্যায়বিচারের স্বার্থে যারাই এ মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাদের দিকে নজর রাখছে। সত্য অবশ্যই প্রতিষ্ঠা পাবে, অর্থ দিয়ে আনভীরকে সানভীরের মতো পার পেতে দেবো না।

 

language Change
সংবাদ শিরোনাম