তিন মাস রেকি করে মৌচাকের শম্পা জুয়েলার্সে চুরি

ডেস্ক রির্পোর :

রাজধানীর মৌচাক ফরচুন শপিং কমপ্লেক্সে চুরির আগে তিন মাসে ৩১ বার রেকি করে চক্রটি। সর্বশেষ তারা শম্পা জুয়েলার্সকে টার্গেট করে চুরির পরিকল্পনা সাজায়। চক্রের প্রধান শাহিন মাতাব্বর ওরফে সাহিদ ও শৈশব রায় ওরফে সুমন বোরকা পরে এক ঘণ্টা ধরে চুরি করে। চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)। মার্কেটের দোতলায় স্বর্ণের দোকানটিতে ৮ অক্টোবর রাতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে।

গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, বরিশালের উজিরপুর, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ঢাকার শাঁখারী বাজার থেকে ওই চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি লালবাগ বিভাগ। এ ঘটনায় রমনা থানায় মামলা হয়। গ্রেপ্তাররা হলো– চক্রের প্রধান শাহিন মাতাব্বর ওরফে সাহিদ, শৈশবের স্ত্রী অনিতা রায়, নূরুল ইসলাম ওরফে নূর উদ্দিন ও উত্তম চন্দ্র সুর ওরফে কানা উত্তম। তাদের কাছ থেকে ১৯০ ভরি স্বর্ণ, ৯৩.৫ গ্রাম রুপা, এক লাখ ৭৭ হাজার ২০০ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ডিবি। এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) শফিকুল ইসলাম বলেন, চক্রটি তিন মাস আগে থেকে ওই দোকানে চুরির পরিকল্পনায় রেকি শুরু করে। ঘটনার দিন তাদের এক সদস্য মার্কেটের বাথরুমের জানালায় শক্ত সুতা ঝুলিয়ে রেখে আসে। পরে রাতে সুতায় দড়ি বেঁধে তারা ওপরে ওঠে। সেখানে ঝুলে জানালার গ্রিল কেটে মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ করে দুজন।

ঢাকা মহানগর ডিবিপ্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, চুরির উদ্দেশ্যে মার্কেটে হাতুড়ি, শাবল, বোরকা, দড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম আগে থেকেই লুকিয়ে রাখে তারা। বাথরুমের জানালার গ্রিলে সুতার মাধ্যমে ইউলুপ তৈরি মাটি পর্যন্ত নামিয়ে বেঁধে রাখে। ঘটনার দিন রাতে আসামিরা গণপূর্ত কোয়ার্টারের ভেতর দিয়ে মার্কেটের পেছনে পৌঁছে। সুতার সঙ্গে দড়ি বেঁধে তারা ওপরে উঠে গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। শম্পা জুয়েলার্সে চুরি করে বের হওয়ার সময় তাদের ব্যবহৃত বোরকা ও বাকি সরঞ্জাম গণপূর্ত কোয়ার্টারের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে যায়।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চক্রটি তিনটি গ্রুপে শম্পা জুয়েলার্সে কাজ করে। চক্রের হোতা শাহিন ও শৈশব। তারাই রেকির পর পরিকল্পনাসহ চুরি করে। এ কাজে তাদের আনা-নেওয়া করে নূর উদ্দিন। আর তাদের সব খরচ বহন করে কানা উত্তম। ভাগের ক্ষেত্রেও মোটরসাইকেল চালক নূর উদ্দিনকে প্রায় পাঁচ ভরি এবং কানা উত্তমকে প্রায় ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ দেয় চক্রটি। বাকি স্বর্ণ তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন।

অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, চক্রটি এর আগেও ২০২১ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মার্কেটে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় জড়িত ছিল। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর জামিনে এসে আবার একই অপরাধে জড়িয়েছে। দোকান মালিকের দাবি, ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরি হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১৯০ ভরি। বাকি স্বর্ণ কোথায় আছে– জানতে তদন্ত চলছে। একজন আসামি এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে বাকি স্বর্ণের অবস্থান জানা যাবে।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, আসামিদের আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। আগামীকাল রোববার চুরির ঘটনায় জড়িত আসামিদের রিমান্ড শুনানি হবে।

মাদক ব্যবসায়ীদের আস্থাভাজন মোহাম্মদপুর থানার ওসি

মাদক ব্যবসায়ীদের আস্থাভাজন মোহাম্মদপুর থানার ওসি

ডেস্ক রিপোর্ট:

মাদক আর সন্ত্রাস দমন নয় উল্টো রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসানের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ আছে, স্থানীয়রা মাদকসহ আসামি ধরিয়ে দিলেও তা গায়েব করে ফেলেন তিনি। তাকে মোহাম্মাদপুরে বহাল রাখতেও মরিয়া এখন মাদক ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি দশ লাখ টাকার হেরোইন আত্মসাৎ করে মাদক মামলাকে ছিনতাই মামলা বানিয়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে মোহাম্মাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলী ইফতেখার হাসারের বিরুদ্ধে।

মাদক, চুরি ছিনতাই, অস্ত্রবাজী থেকে বাচঁতে মাদক ব্যানার পোষ্টারিংও করা হয়েছে। ৭ মে প্রায় ১শ গ্রাম হিরোইনসহ সাদ্দাম ওরফে ম্যানেজার সাদ্দামকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে পুলিশ সাদ্দামকে আদালতে চালান করে ২০২৩ সালে আরেক মাদক মামলার ওয়ারেন্টে। তাহলে জেনেভা ক্যাম্পের জনতা যে হেরোইন উদ্ধার করে দিলো তা কোথায়? এমন প্রশ্নও ছিল মোহাম্মাদপুর থানার ওসির কাছে।

সাদ্দাম ওরফে ম্যানেজার সাদ্দামকে থানায় আনার পর সাধারণ ডায়েরিতে নোট নিয়ে প্রস্তুত করা হয় এজাহার। ২৪/৪৪৩ নম্বরের সে মামলায় ১০০ গ্রাম হেরোইন জব্দের তালিকায় দেখানো হয়। যার বাজার মূল্য উল্লেখ করা হয় ১০ লাখ টাকা। এজাহারটি এস আই রাজুকে ফরওয়াডিং দেয়ার নির্দেশও দেওয়া হয় থানার নিজস্ব হোয়াটসআপ গ্রুপে। নির্দেশনা পেয়ে প্রস্তুত করা চালাননামায় সাদ্দামের নাম লিখে কোনো অজ্ঞাত কারণে আবার কেটে ফেলেন তারা। হেরোইনের মামলা গায়েব করে পুরোনো ওয়ারেন্টে চালান করা হয় সাদ্দামকে। ২৪/৪৪৩ নম্বরের মামলাটি হয়ে যায় ছিনতাই মামলা।

এটি কি আসলেই ভুল, নাকি ওসির নির্দেশেই হেরোইন গায়েব করে পুরোনো মামলায় চালান করা হয় সাদ্দামকে। সে বিষয়টি জানতে সেদিনের ডিউটিরত অফিসার ও মুন্সির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও বাধা হয়ে দাড়ান ওসি ইফতেখার। ওসি ইফতেখারের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা হয় তেজগাঁও জোনের ডিসি ইবনে মিজানের সঙ্গে। তার দাবি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তার পক্ষে করা মানববন্ধনে অংশ নেন ইকবাল ওরফে কশাই ইকবাল। পুলিশের কাছে থাকা তথ্য বলছে, এই ইকবালের নামে রয়েছে মাদক মামলা। এতে আরও অংশ নেন রাকিব, ইফরান, রুবেলসহ অসংখ্য মাদক ব্যবসায়ীরা। এরা সবাই মাদকসহ একাধীক মামলার আসামি বলে জানা গেছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা