বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে

ডেস্ক রিপোর্ট :

বৃহস্পতিবার (ওয়াশিংটন সময়) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চলমান সংস্কারই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে পারে।আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেছেন, বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন জানান, বাংলাদেশে আইএমএফের ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য শিগগিরই একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবে। এ সফরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে দুটি খাতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব খাতের সংস্কার এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে গৃহীত পদক্ষেপের মূল্যায়নে।তিনি বলেন,  চলমান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশকে রাজস্ব প্রশাসন, ব্যাংকিং খাত ও মুদ্রানীতি ব্যবস্থাপনায় ধারাবাহিক সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে। এসব পদক্ষেপ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গত এক মাসে ডলারের মান কমেছে ৯ শতাংশের বেশি, তার মধ্যেও কমলো টাকার মান

ডেস্ক রিপোর্ট:
গত এক মাসে ডলারের মান কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। মার্কিন ডলারের এত চাপের মধ্যেও বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার মান কমেছে। এর মধ্যেও ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারণেই এমনটি হয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজার নিয়ে এই প্রথমবারের মতো প্রতিবেদনটি প্রকাশ করলো।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জুনে ডলারের বিপরীতে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার অবমূল্যায়ন ছিল আশপাশের দেশগুলোর মুদ্রার মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে চলতি জুলাইয়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মান বেড়েছে ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত জুনে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মুদ্রার মান কমেছে। বাংলাদেশের আশপাশের অন্য দেশগুলোর মুদ্রার মান বেড়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম