আগামী মাসে ওমরা করতে যাচ্ছেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

আগামী মাসে পবিত্র ওমরা পালনে সপরিবারে সৌদি আরব যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৫ অক্টোবর) এই তথ্য নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর ।

তিনি জানান, ‘তারেক রহমান আগামী মাসের ২০ থেকে ২১ তারিখের দিকে সৌদি আরব যাবেন; ওমরা শেষে আবার লন্ডনে ফিরবেন।’

বাংলাদেশে তারেক রহমান কবে ফিরছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘লন্ডনে ফিরে তিনি নভেম্বরের শেষের দিকে কিংবা ডিসেম্বরের শুরুতে ঢাকার ফ্লাইট ধরবেন। তবে, এখনো নিদিষ্ট দিন চূড়ান্ত হয়নি।’

তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি নিরাপত্তা কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটির একজন সদস্য যমুনা টেলিভিশনকে জানান, ‘আমরা ২৩ নভেম্বর দেশে ফেরার সম্ভাব্য সময় ধরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাচ্ছি। সরকারের সাথে সমন্বয় করে সকল কাজ করা হচ্ছে।’

আশা করা হচ্ছে এই সময়ের মধ্যে জাপান থেকে বুলেটপ্রুফ গাড়িও চলে আসবে বলে জানান সেই কমিটির একজন সদস্য।

তারেক রহমান দেশে ফেরার পর ‘গুলশান-২’ অ্যাভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে থাকবেন। এর আগে, ১৯৮১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন সরকার তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি বরাদ্দ দেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার জয়ী

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্কঃ

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া ৪৪ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন ৯৫৮০ ভোট। পুলিশ সূত্র এই ফলাফল নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া ৩২৩৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন মোটর গাড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। চতুর্থ জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪২৭ ভোট। জেলা

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইভিএমের মাধ্যমে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার (কলারছড়ি), জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল), জাকের পার্টির জহিরুল হক জুয়েল (গোলাপ ফুল) ও বিএনপির বহিষ্কৃত আরেক নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ১১০০ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে র‌্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং টিম।

সূত্রঃ যমুনা টেলিভিশন

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম