পানছড়িতে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত

ক্যহলাচিং মারমা, খাগড়াছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি:

ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পানছড়ির দুদুকছড়া ,অংজপাড়া উযেয়া বৌদ্ধ বিহারে ৫ম তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দায়ক-দায়িকাদের আয়োজনে দিনব্যাপী এ ধর্মীয় উৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পূণ্যার্থী অংশ নেন। পঞ্চশীল গ্রহণ শেষে সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পানীয় দান, বুদ্ধমূর্তি দান, চীবর দান, হাজার বাতি দান,কল্পতরু দানসহ নানাবিধ দান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাইন্দামেজু মহাথেরো।

এসময় পন্যার্থীদের উদ্দেশ্য ধর্মদেশনা দেন বৌদ্ধ বিহারে বিহার অধ্যক্ষ পইঞাসারা ভিক্ষু, কুওয়েদা থের, সুমিতা ভিক্ষু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উযেয়া বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি সভাপতি সুইহলা মারমা , সাধারণ সম্পাদক উহলাস্যাং মারমা, উযেয়া বৌদ্ধ বিহারে বিহার পরিচালনা কমিটি নেতৃবৃন্দ, গ্রামবাসীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পূণ্যার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছর এ ধর্মীয় উৎসবকে ‘কঠিন চীবর দান’ হিসেবে পালন করে আসছেন।

চট্টগ্রাম বন সংরক্ষকের সরকারি বাসভবনে গভীর রাতে রহস্যময়ী নারীর অবস্থান নিয়ে তোলগড়

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ বন বিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষকের নন্দকানন বন পাহাড়স্থ সরকারি বাসভবনে একজন রহস্যময়ী নারীর গভীর রাতে আনাগোনার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের ছাত্র জীবন থেকে নারীলিপ্সুতার বিভিন্ন অভিযোগ সরেজমিন অনুসন্ধান কালে এ প্রতিবেদকের গোচরীভূত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চট্টগ্রাম বন সংরক্ষকের সরকারি বাসভবনে কর্মরত বনকর্মী জানান গত ৫ আগস্ট এর পর থেকে সপ্তাহে প্রায় ২/৩ দিন মধ্যবয়সী একজন সুন্দরী মহিলা রাত ১০ টার পর এই বাংলোতে আসেন এবং ভোর ৫টার দিকে তিনি লাল রঙ্গের একটি প্রাইভেট কার নিয়ে বেরিয়ে যান। গভীর রাতের এই ৬/৭ ঘন্টা সময় ঐ রহস্যময়ী নারী বন সংরক্ষকের বাংলাতে অবস্থান করেন। বাংলাতে বন সংরক্ষক রেজাউল করিম একাই অবস্থান করেন। তার পরিবার ঢাকাতেই বসবাস করেন। প্রত্যক্ষদর্শী ঐ বন কর্মী জানান তাকে সিএফ রেজাউল করিম বলেছেন রাতে আগত ঐ মহিলা নাকি নারী সমন্বয়কারী। তাকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বনবিভাগের সার্বিক খবরাখবর উপরের নির্দেশে দিতে হয়। এ বিষয়টি সমগ্র চট্টগ্রাম বন সার্কেলে কর্মরতদের এখন মুখরোচক আলোচনায় পরিণত হয়েছে। সবাই রহস্যময়ী এই নারীকে মোল্লা রেজাউল করিমের গার্লফ্রেন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। গভীর রাতে বাংলোতে ৬-৭ ঘন্টা অবস্থানকালে সেখানে অবৈধ যৌন সম্পর্ক ছাড়া আর কিছু হতে পারে না বলেও অনেকের অভিমত।
প্রাপ্ত তথ্য মতে এই বন সংরক্ষকের বিরুদ্ধে আরো কিছু নারি কেলেঙ্কারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানিতে থিসিস করার সময় সৈয়দা আশরাফুন্নেসা নামী ইংরেজি বিভাগে অধ্যয়নরত এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে দৈহিক মেলামেশা করে তাকে প্রেগন্যান্ট ও পরবর্তীতে এ্যবায়শন করান তিনি। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে আশরাফন্নেসার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। প্রতারিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী তাকে খুঁজতে কয়েক দফা তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা থানাধীন বাগমারা গ্রামে গিয়ে তার অভিভাবকদের জানালেও কোন ফল হয়নি। উপরোন্ত মোল্লা রেজাউল তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় সে আর বেশি দূর এগোতে পারেনি। প্রতারিত আশরাফুন্নেসা বর্তমানে রাজধানী ঢাকার একটি নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রিন্সিপাল। তিনি এ পর্যন্ত কাউকে বিয়েও করেননি। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে সৈয়দা আশরাফুন্নেসা জানান মোল্লা একটা নারীলিপ্সু ও প্রতারক শুধু আমার সাথে নয় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার সমাজসেবা অফিসার হিসেবে চাকরি করা কালীন ঐ অফিসের সুন্দরী করনিককেও ব্ল্যাকমেইল করে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রজীবন থেকে প্রতিটি কর্মস্থলেই তার বিরুদ্ধে এহেন নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ পাওয়া যাবে। এ সকল বিষয়ে মোল্লার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন পলি ও জানেন। জানলেও তার করার কিছু নেই। কারণ বান্না ও তানহা নামের ২টি ছেলের মা তিনি। স্বামীর বিরুদ্ধে কোন কথা বললেই শুরু হয় দৈহিক নির্যাতন। প্রতারিত আশরাফুন্নেসা চট্টগ্রাম বাংলোতে নিশিরাতে গাড়ি নিয়ে সুন্দরী মহিলার আনাগোনার বিষয়টি ও জানেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন লম্পট কোনদিনও ভালো হয় না। আল্লাহ পাক তার বিচার করবেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম