সাইবার নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার: আইসিটি সচিব

ডেস্ক রিপোর্ট :

দেশের জনগণের ডেটা সুরক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) বোর্ডরুমে আয়োজিত ক্লাউড কম্পিউটিং ফর ইন্ডাস্ট্রি/বিজনেসেস ড্রাইভিং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি মেজারস ফর ইন্ডাস্ট্রি/বিজনেসেস  শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আইসিটি বিভাগ একাডেমিশিয়ান, বেসরকারিখাত ও সরকার এই তিন পক্ষকে সমন্বিতভাবে যুক্ত করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছে এবং সমাধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে, এর সুফল খুব শিগগিরই দৃশ্যমান হবে। ভবিষ্যতে আইসিটি বিভাগ থেকে প্রাইভেট সেক্টরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।  আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্টের এই যুগে প্রযুক্তি যেভাবে দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই আমাদের শিল্প ও ব্যবসায়ীখাতে পরিবর্তন আনার তাগিদ দেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আনোয়ার উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)।

তিনি বলেন, ক্লাউড কম্পিউটিং আজ বিশ্বব্যাপী ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের দেশেও শিল্পখাতকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে স্বয়ংক্রিয়তা, ডেটা-ড্রিভেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ক্লাউড ভিত্তিক সমাধানের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে, সাইবার ঝুঁকিও তত বাড়ছে। প্রতিনিয়ত আমাদের ব্যবসাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই ক্লাউড ব্যবহারের পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

স্থানীয় কৃষক ও এনসিপি নেতাদের উদ্যোগে ভেস্তে গেল ভূমিদস্যুদের পরিকল্পনা

জাহিদ হোসেন॥
ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কাঠাল তলির জলা পাড় এলাকায় স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ জনগণ একযোগে অভিযান চালিয়ে ২২টি অবৈধ ড্রেজারের পাইপ আটক করেছেন। শনিবার (৩০ আগস্ট ২০২৫) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমিদস্যুরা কৃষিজমি ভরাটের উদ্দেশ্যে গোপনে এসব পাইপ বসাচ্ছিল। পাইপ স্থাপনের কারণে জমিতে কৃষকদের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছিল।
এ সময় আটককৃত ড্রেজার মিস্ত্রীরা জিজ্ঞাসাবাদে টিটু নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন। তবে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে টিটু জানান, পাইপগুলো স্থানীয় সাইফুল হাজির নির্দেশে বসানো হচ্ছিল। পরবর্তীতে সাইফুল হাজির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি ওইদিন এলাকায় ছিলাম না, আমার কোনো ড্রেজার ব্যবসা নেই। হয়তো আমার নাম ব্যবহার করে আসল অপরাধীরা বাঁচতে চাইছে।” তিনি এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফতাব উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় কেরানীগঞ্জ উপজেলা এনসিপির নেতা-কর্মী, স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। তিনি অবৈধ পাইপ ও সংশ্লিষ্ট মালামাল জব্দের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম