দীপ্তি আবাসনের দুর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

১ঃ- এ/পি-ফ্লাট ৬/এ, বাসা নং ১১৫-১১৮,রোড নং-২ ব্লক-চ,ডুইপ আবাসিক এলাকা থানা – মিরপুর,ঢাকা-১২১৬ এই ঠিকানায়

দীপ্তি আবাসন ডেভলপার কোম্পানি। এই দীপ্তি আবাসনের নির্মিত দীপ্তি কাশবন হল সূত্রের উক্ত বাড়ি, বাড়িটি অষ্টম তলা বিশিষ্ট। বাড়িটি রাজউক এর অনুমদিত নকশা অনুযায়ী নয়,অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী প্রতি ফ্লাটের আয়তন ৮৪০.৭৩ বর্গফুট প্রেরিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আয়তন ১২৫০.০০ বর্গফুট। প্রায় ৪০০ বর্গফুট সরকার অনুমোদিত নকশার বাহিরে তাদের মন গড়া আবাসন তৈরি করেছেন। শুধু সরকারি নিয়মের বাহিরে এই আবাসন দুর্নীতি থেমে নেই ফ্ল্যাট বিক্রিতে রয়েছে দীপ্তি আবাসনের উল্লেখযোগ্য চিত্র। সূত্রঃ ১ এ/পি ফ্লাট ৬/এ উক্ত ফ্লাট ক্রয় সূত্রে হাউজিংয়ের সেল রিসিটে দেখা যায় ১২৫০.০০ বর্গফুট সরজমিনে মেপে দেখা যায় উক্ত ফ্ল্যাটের আয়তন ৯১১.২৫ বর্গফুট।
উল্লেখ্য যে বর্ণিত ভবনটি অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি বাস্তবে অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ইমারতের চতুর্থাংশে ন্যূনতম যে পরিমাণ জায়গা উন্মুক্ত থাকার কথা তারা তা রাখেনি। এছাড়া রেজিস্ট্রি যদিও ১২৫০ দেখা যায় প্রতি ফ্লাট,কিন্তু প্রতি ফ্লার্টের স্কয়ার ফিট হলো ১২৫৪.৭১ দীপ্তি কাশবনের মোট প্রতি তলায় বৃদ্ধি ১০.০০ স্কয়ারফিট বেশি দীপ্তি আবাসন শুধু হাউজিং ও রাজউক এর নিয়মের বাইরে কাজ করেনি এমনকি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতি তলায় ১০ স্কয়ার ফিট কম লিখিয়ে বিক্রি করেছে প্রতি ফ্লাট। ষষ্ঠ তলায় ৬/এ এবং ৬/বি দুইটি ফ্লাটের বিক্রির সেল রিসিটে যদিও 1250 বর্গ ফিট দেখা যায় কিন্তু ৬/এ জায়গা পরিমাপ করে দেখা যায় ৯১১.২৫ বর্গফুট এই জায়গাতেই বড় আকারের ফ্ল্যাট বিক্রির দুর্নীতি পাওয়া যায়, তৎকালীন দীপ্তি আবাসনের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম তার স্ত্রী ড. মাহবুবা সুলতানা এর নামে ৬/বি ফ্ল্যাটটি ক্রয় দেখায়। ড. মাহবুবা সুলতানা একজন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সরকারি দোলন অনুযায়ী ড. মাহবুবা সুলতানা ৬/বি ফ্ল্যাট টি ক্রয় করে তাহার পরিমাপ ১২৫০.০০ বর্গফুট দেখা যায় কিন্তু আসলে তিনি তার ফ্ল্যাট টি পাসের ফ্ল্যাটের অংশ দিয়ে প্রায় ১৬০০.০০ বর্গফুট দখল করে আছেন। এভাবে আরো কত ফ্লাট যেন উক্ত দীপ্তি আবাসন লিমিটেড প্রতারণা করে বিক্রি করে চলেছে।এ ব্যাপারে দীপ্তি আবাসন লিমিটেড অফিসে ৬/এ ফ্ল্যাট ক্রয়কৃত মালিক চিঠি দিলে কোন সঠিক পদক্ষেপ নেয়না এছাড়াও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিভাগ সেকশন – ২ এর একটি প্রতিবেদনে যাহার স্মারক নং ২৫.৩৮.২৬৪৮.৬০৬.১৬.০১৭ .২২ অবগতির জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হয় যাহাঃ-
*তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী,ঢাকা সার্কেল জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সেগুনবাগিচা ঢাকা
উপ-পুলিশ কমিশনার ডিএমপি মিরপুর জোন মিরপুর ঢাকা।
*অথরাইজ অফিসার,রাজউক মিরপুর জোন,মহাখালী ঢাকা।
জরুরী ভিত্তিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দ্রুত ভবনটির অবৈধ অংশ অপসারণ ও বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।এছাড়াও উক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে ৩০ শে অক্টোবর ২০২২ সালে মিরপুর মডেল থানায় ভুক্তভোগী ফ্ল্যাটের মালিক জি.ডি করেন যাহাতে দীপ্তি আবাসন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক পরিচালক মোঃ শামীম আরো অনেকের নাম উল্লেখ আছে। আমরা সরজমিনে গিয়ে দেখতে পাই ক্ষমতার বলায়নে ডক্টর মাহাবুবা সুলতানা আরেকজনের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে আছেন তাহার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন এটা কোম্পানি জানে আবার কোম্পানির কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে কোম্পানি বলে আমরা নিয়ম অনুসারে সেল করে দিয়েছি এটা ঐ সোসাইটির ব্যাপার। একজন সরকারি কর্মকর্তা সরকারের মন্ত্রণালয়ে বসে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্য সম্পত্তি জোর করে অনেক বছর যাবত দখল করে আছে। তাই উক্ত কোম্পানি ও সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গণমাধ্যমের সাহায্য এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ভুক্তভোগী ৬/এ ফ্ল্যাটের ক্রয় সূত্রে মালিক মোঃ জাকারিয়া ফয়সাল ও সাবরিনা সুলতানা।

স্ত্রীর অপরাধে স্বামী ও শিশুকে থানায় আটকে রাখার অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর থেকে:

স্ত্রীর অপরাধে নিরপরাধ স্বামী ও তার ৪ মাসের শিশু তোহাকে থানার হাজতে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিলের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর, ২০২৩) দিবাগত রাতে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে স্থানীয়দের মাঝে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদরের উত্তর পাড়া গ্রামের আব্দুল মোতালেব’,র স্ত্রী সুমি আক্তার (২৬) তার ভাই দেলোয়ার হোসেনের এনজিওর ঋণের টাকার জিম্মাদার হয়। পরে সেই ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পারায় জিম্মাদার সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয় সেই এনজিও কোম্পানি। এরই ধারাবাহিকতায় সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আসে মুরাদনগর থানায়। শুক্রবার বিকেলে মুরাদনগর থানার এসআই আলমগীর ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী সুমি আক্তারকে বাড়িতে না পেয়ে তার অসুস্থ স্বামীকে থানায় নিয়ে এসে ৪ ঘন্টা হাজতে আটকে রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে সুমি আক্তার কোলের শিশু তোহাকে নিয়ে থানায় হাজির হলে ছেড়ে দেয়া হয় তার স্বামীকে।

স্বামী আব্দুল মোতালেব অভিযোগ করে বলেন, যদি কোন ধরনের অপরাধ করে থাকে সেটি আমার স্ত্রী করেছে। তার অপরাধে তো আর আমাকে অসুস্থ অবস্থায় ৪ ঘন্টা থানার হাজতে আটকে রাখতে পারেনা! আমার শিশু কন্যা তোহা কি অপরাধ করেছে? যে তাকেও সারা রাত থানার হাজতের ভিতরে আটকে রাখতে হলো! পুলিশ চাইলে কি আমার স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে থানার ভীকটিমদের রুমে রাখতে পারতো না? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এদিকে আইনজীবী ব্লাস্ট (কুমিল্লা শাখা) প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ নুরু বলেন, একজনের অপরাধে অন্যজনকে সাজা দিতে পারে না, শিশুদের জন্য আলাদা সেল থাকে, যদি পুলিশ হাজতে শিশুটিকে রাখে তাহলে এটা ঠিক হয়নি।

মুরাদনগর থানার এসআই আলমগীর বলেন, ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য সুমি আক্তারের বাড়ীতে গেলে সে পালিয়ে যায়। এসময় তার স্বামীকে দেখে নেশাগ্রস্ত মনে হওয়ায় ওসি সাহেবকে জানালে তিনি তাকে থানায় নিয়ে আসতে বলেন। পরে তার স্ত্রী থানায় আসলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাকে হাজতে রাখা হয়নি, একটি রুমে রাখা হয়েছিলো।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি সুমি আক্তার ও তার শিশু সন্তানকে থানার হাজতের ভিতরে রাখার বিষয়টি মিথ্যা। কারণ আমার থানায় কোন নারী সেল নেই। তাকে থানার নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়েছে। অপরদিকে স্বামীকে তুলে এনে চার ঘন্টা আটকে রাখার বিষয়টিও মিথ্যা। এ ধরনের কোন ঘটনাই মুরাদনগর থানায় ঘটেনি।

মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিযুষ চন্দ্র দাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে, যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম