বুড়িচং উপজেলা “জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা”র কমিটি গঠন সভাপতি জাবির, সম্পাদক হৃদয়

 

বুড়িচং, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা “জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা”র ২০২৩ সালের কার্যকরি কমিটি গঠন ও অনুমোদন করা হয়েছে।
কমিটিতে দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধি গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির সভাপতি ও দৈনিক মানবকণ্ঠ প্রতিনিধি আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর একটি পাটি সেন্টারে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কুমিল্লা জেলা শাখার এক মতবিনিময় সভায় সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আলতাফ হোসেন, মহাসচিব মোঃ কামরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পাপিয়া সরকার ও জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ রবিউল বাসার খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম তরুণ এর উপস্থিতিতে বুড়িচং উপজেলা কমিটি ঘোষণা ও অনুমোদন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, দৈনিক যুগান্তর ও কুমিল্লার কাগজ প্রতিনিধি সৌরভ মাহমুদ হারুন সহ-সভাপতি, দৈনিক আমাদের কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান -যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ডাক প্রতিদিনের আমিনুল ইসলাম- সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের মোঃ শাফি- অর্থ সম্পাদক,দৈনিক ভোরের কলাম প্রতিনিধি মারুফ হোসেন -প্রচার সম্পাদক, দৈনিক জবাবদিহির আব্দুল্লাহ -দপ্তর সম্পাদক , একুশে বাংলার মোঃ হাসান- সাহিত্য সম্পাদক, সাপ্তাহিক নিরীক্ষণের মোঃ আলমগীর হোসেন বাচ্ছু- তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, তালাশ বাংলার আকলিমা আক্তার- মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ মোঃ শরিফুল ইসলাম সুমন- নির্বাহী সদস্য, তালাশ বাংলার মোহাম্মদ নূরুন্নবী – সদস্য, মোঃ মোবারক হোসেন – সদস্য ও কুমিল্লা ২৪ টিভি’র বাপ্পী চন্দ্র দে কে সদস্য করে কার্যকরি কমিটি এবং আর টিভির স্টাফ রিপোর্টার মোঃ গোলাম কিবরিয়া, দৈনিক নয়া দিগন্তের উপজেলা প্রতিনিধি কাজী খোরশেদ আলম ও মোঃ শহীদুল্লাহকে উপদেষ্টা করে মোট ১৮ সদস্যের কমিটি অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য,গত ৩১ ডিসেম্বর’২২ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন কমিটি ঘোষণা ও অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুড়িচং উপজেলা কমিটি অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংস্থার জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফেরদৌস মাহমুদ মিঠু, মোঃ মনোয়ার হোসেন, মোঃ কামরুজ্জামান,সৌরভ মাহমুদ হারুন, শরীফুল ইসলাম , সদস্য মোঃ শাহীন মিয়া, প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান ও আবেদ আলী প্রমুখ।

চ্যানেল এস এর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার বিশ্বস্তজন গোপালগঞ্জের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদের গামার মালিকানাধীন চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষ ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক একাধিক সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্য হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন একাধিক সাংবাদিক এ ঘটনায় চ্যানেল এস কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছে আহত সাংবাদিকরা।

সূত্র জানায়, ছাত্র জনতার গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর, রাষ্ট্রের শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা ঋণ খেলাপি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান। গোপালগঞ্জের ইসমত কাদের গামা ও চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষ’ বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণহত্যাকারীর দোসর সহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের জন্য চ্যানেলের চেয়ারম্যান ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জনার উদ্দেশ্যে গত ৮ আগষ্ট একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাতজন সাংবাদিক তাদের অফিসে উপস্থিত হলে কর্তৃপক্ষের একজন তাদেরকে একটি কক্ষে বসতে বলেন। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই চ্যানেল এস এর ভবনের ভিতরে অবস্থান করা প্রায় ৬০ জন অজ্ঞাত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সাংবাদিকরা। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে উক্ত সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছে দেন।

এই ঘটনায় অহাত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে হাফিজুর রহমান শফিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীর জবানবন্দি ও বাদীর বিজ্ঞ আইনজীবী এবি এম ইব্রাহিম খলিল এর শুনানির ভিত্তিতে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা শুমু চৌধুরী অভিযোগটি সরাসরি এজাহার হিসেবে গন্য করে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে আদেশ প্রদান করেন।
সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলায় আসামিরা হলেন, ইসমত কাদের গামা, চেয়ারম্যান- চ্যানেল এস। পান্না ভাইস চেয়ারম্যান -চ্যানেল এস। মাইনুল ইসলাম -ম্যানেজিং ডিরেক্টর চ্যানেল এস। সুজিত চক্রবর্তী- সিইও চ্যানেল এস। সহ অজ্ঞাত ৫০ জন সশস্ত্র ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বার্তা প্রধান, শংকর মৈত্র
জয়েন্ট নিউজ এডিটর, টিএইচএম জাহাঙ্গীর এই হামলায় জড়িত ছিল বলে বাদী জানিয়েছেন।

মামলার বাদী হাফিজুর রহমান শফিক বলেন, চ্যানেল এস মূলত ছাত্র জনতার আন্দোলনের গণহত্যার অন্যতম সহযোগী। গোপালগঞ্জের আওয়ামী নেতা চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, সিইও সুজিত চক্রবর্তী, পান্না এবং মইনুল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে কাজ করত। সুজিত চক্রবর্তী নামের কর্মকর্তা মূলত র এর এজেন্ট। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর এসব অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করার কথা শুনে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা চালিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট সকল আসামীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাচ্ছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম