অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে বললেন-ডঃ সুফি সাগর সামস্

 

মোসা:হাফসা আক্তারঃ

১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল। প্রায় আড়াই লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর ৫৫ বছরের জীবনে ২৩ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেন এবং ১২ বছর ৩০২ দিন জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করেন। পরিশেষে সপরিবারে দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে গেছেন। তিনি ত্যাগের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সুতরাং যে মূলনীতি ঘোষণা করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই মূলনীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র এবং রাজনীতির মূলনীতি, মূলভিত্তি ও মূলস্তম্ভ গড়ে তুলতে হবে।

১. জাতীয়তাবাদ, ২. গণতন্ত্র, ৩. শোষণমুক্ত সমাজতন্ত্র, ৪. ধর্মনিরপেক্ষতা, ৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৬. জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান এবং ৭. ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ। এই ৭টি বিষয় ছিল মহান স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মচেতনার মূল উৎস। এই ৭টি বিষয় হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এর মধ্যে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা, এই ৪টি বিষয় হলো মুক্তিযুদ্ধে ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধাদের মূলনীতি ও মূলস্তম্ভ।স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতি ও শাসনতন্ত্র এই চার মূলনীতির ভিত্তিতে পরিচালিত ও প্রতিষ্ঠিত হবে মর্মে মুক্তিযোদ্ধারা ঘোষণা করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ঘোষিত এই চার মূলনীতি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের মূলভিত্তি ও মূলস্তম্ভ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। যারা এই মূলনীতি বাইরে রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন তারা স্বাধীনতাবিরোধী দেশ বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠী বলে বিবেচিত হবেন এবং ধর্মীয় পরিভাষায় নৈতিকতার দিক থেক অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে পরিগনিত হবেন।

ড. সুফি সাগর সামস্
মহাসচিব
বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপি।

প্রস্রাব চেপে রাখলেই বড় বিপদ

অনলাইন ডেস্ক:

কাজের প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে বা কোনো কাজের চাপে অনেকেই প্রস্রাব আটকে রাখেন। কিন্তু এটি অভ্যাসে পরিণত হলেই বড় বিপদ হতে পারে! এতে মূত্রনালিতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।

মানবদেহের মূত্রথলির ধারণক্ষমতা খুবই কম জানিয়ে চিকিৎসকেরা বলছেন, একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে মূত্রাশয়ে ২০০ মিলিলিটার পরিমাণ প্রস্রাব জমা হলেই ত্যাগ করার প্রয়োজন অনুভূত হয়। সুস্থ অবস্থায় মূত্রাশয় ৩৫০ থেকে ৫৫০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধরে রাখতে সক্ষম। তবে মূত্রাশয় অধিক পরিমাণ প্রস্রাব ধরে রাখতে সক্ষম হলেও দীর্ঘ সময় তা ধরে রাখা শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো নয়।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দ বাজারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রস্রাব ধরে রাখার অভ্যাস করলে মূত্রাশয়ের পেশি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। দেখা দিতে পারে আরও নানা সমস্যা।

দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস থেকে গেলে, সেখান থেকে ৩টি জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে জেনে রাখুন-

মূত্রনালি এবং থলির সংক্রমণ

দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রনালি এবং মূত্রথলিতে সংক্রমণ হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রথলির মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যায় দ্বিগুণ গতিতে বাড়তে থাকে। এরপর মূত্রথলি, মূত্রনালি হয়ে সংক্রমণ কিডনি পর্যন্ত ছড়াতে খুব বেশি সময় লাগে না।

মূত্রথলির পেশি শিথিল হয়ে পড়ে

মূত্রাশয় অনেকটা বেলুনের মতো। সেখানে প্রস্রাব জমতে শুরু করলে তা আকারে বড় হয়ে ফুলতে শুরু করে। প্রস্রাব করলে সেটি আবার সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ক্রমাগত প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রাশয় এমন পর্যায়ে পৌঁছোয়, তা আর স্বাভাবিক আকারে ফিরতে পারে না। সহজভাবে বললে পেশির সংকোচন এবং প্রসারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয়। হাঁচি, কাশি বা ঝাঁকুনির কারণে মূত্রাশয়ে চাপ পড়লে প্রস্রাব বেরিয়ে আসতে পারে।

কিডনিতে পাথর জমতে পারে

প্রস্রাব আটকে রাখলেই সেখান থেকে বাড়ে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা। দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব না করলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হতে পারে না, দেহের ভেতরেই জমতে শুরু করে। আর কিডনির ভেতরে বর্জ্য পদার্থ জমে কঠিন হয়ে যায়। কিডনিতে পাথর তৈরি হলে তা থেকে ব্যথা, সংক্রমণ কিংবা রক্তপাতের মতো গুরুতর সমস্যা শুরু হয়। পাথরগুলো খুব বড় হয়ে গেলে অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারও করাতে হতে পারে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম