তারিখ লোড হচ্ছে...

গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদায় করতে হবে: ফখরুল

দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পিলখানায় শহীদদের স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

মানুষের কল্যাণে আমাদের রাস্তায় নেমে আসতে হবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে ১৭ জন নেতা-কর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে সরকার। আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মী কারাগারে।

তিনি বলেন, আজকে বেরিয়ে আসতে হবে, কোথায় আজকে সেই যুবক, সেই তরুণ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

ডান-বাম দলগুলোর কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই মুহূর্তে সবাই এই সরকারের পরিবর্তন চায়। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারির মতো ঘটনা আর যাতে না হয়। এজন্য গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে এই সরকার বিদায় করতে হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

ঢাবি-জবির ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর ছুরিকাঘাত

ঢাবি-জবির ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর ছুরিকাঘাত

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চার শিক্ষার্থীকে মারধর ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকের এ ঘটনায় রোববার (৩ আগস্ট) মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী।অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সাজিদ-উল-ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সফিউদ্দিন গ্যালারিতে একটি প্রদর্শনী দেখে আইন বিভাগের তাসমিয়া তাবাসসুম নেবুলাসহ তিনি দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে লালমাটিয়া ডি-ব্লকের মাঠে যান।

সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অনুরাভ আশরাফ রাজ্য ও চারুকলার শিক্ষার্থী রাফিদুল হক রাহিমের সঙ্গে দেখা হয়। তারা বসে থাকা অবস্থায় ১০-১২ জন কিশোর এসে তাদের এক বন্ধুর ব্যাগ ছুড়ে মারার পাশাপাশি ওখান থেকে উঠে যেতে বলে। প্রতিবাদ করলে তারা নিজেদের এলাকার প্রভাব দেখিয়ে হুমকি দেয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মারধর ও একজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওই কিশোররা।

সাজিদ-উল-ইসলাম আরও বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই কয়েকজন এসে আমাদের একজনের বসার জায়গায় রাখা ব্যাগটা ফেলে দেয়। তখন আমি জিজ্ঞেস করি ব্যাগটা কেন ফেলে দিলেন? তিনি বলেন ওরা বলতে থাকে উঠে যেতে। আমরা তখন বলি আমরা উঠে যেতেই পারি, কিন্তু আপনারাতো এভাবে বলতে পারেন না। এরপরই তারা আমাদের অতর্কিতভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকে, এক বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে।

মঙ্গলবারের ঘটনায় রোববার মামলা করার বিষয়ে তিনি বলেন শুক্রবার পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করে মামলা করতে দেরি হয়েছে।
সাজিদের করা মামলায় ১২ জনের নাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় নাম থাকা ১২ জন হলেন এস কে আবির, মিমোন খান, সিয়াম, মিনহাজ, শুকুর, সাজ্জাদ, একরামুল, সুজন, বায়েজিদ, সুমন, হৃদয় ও ইয়াছিন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আবিরের নির্দেশে বাকিরা সাজিদকে মারধর করে। মিমোন খানসহ ইয়াছিন, সুমন, সুজন তাকে মারধর করে। অনুরাভ আশরাফ রাজ্য এগিয়ে গেলে আবির তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে তার পিঠের ডান পাশে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। অন্য কিশোররা বাকি দুই শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা তাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

language Change
সংবাদ শিরোনাম