কুকুর যদি কামড় দেয়…

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

কুকুরের কামড় অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক এবং মারাত্নক। কুকুরের কামড় থেকে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। রেবিস নামক ভাইরাস থেকে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। এটি একটি স্নায়ুর রোগ।

রেবিস ভাইরাস কুকুরের লালা থেকে ক্ষতস্থানে লেগে যায় এবং সেখান থেকে স্নায়ুতে পৌঁছে জলাতঙ্ক রোগে সৃষ্টি করে।

সময় মতো চিকিৎসা না করানো গেলে জলাতঙ্কের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে কুকুর কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কুকুর কামড়ানোর পর সময় মতো এই কাজগুলি করতে পারলে তেমন আর কোনও ঝুঁকি থাকে না।

কুকুর কামড়ালে প্রাথমিকভাবে কী করবেন, সেটি জানিয়েছে লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই। আসুন জেনে নেই কুকুর কামড়ালে কী করবেন?

রক্ত বন্ধ করুনঃ কুকুড় কামড়ালে ক্ষত স্থানে চাপ দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এতে রক্ত পরা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রথমে পরিষ্কার পানি দিয়ে ক্ষত পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে পারেন জায়গাটি ভালোভাবে পরিষ্কারের জন্য। এটি ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।

ব্যান্ডেজঃ ক্ষতস্থানটিতে অ্যান্টিবায়েটিক ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে তার পর একটি গজ দিয়ে ভাল করে ব্যান্ডেজ করে ফেলুন। ক্ষত স্থান খোলা থাকলে এতে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।

ব্যথার ওষুধঃ যদি অনেক বেশি ব্যথা হয়, তবে ব্যথানাশক ওষুধ খেতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামলজাতীয় ব্যথার ওষুধ খাওয়া যেতে পারে এ সময়।

ভ্যাকসিন দিনঃ কুকুর কামড়ানোর পর দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে র্যাবিস ভ্যাকসিন দিন। এটি খুব জরুরি বিষয় কুকুর কামড়ানোর পর।

চিকিৎসকঃ প্রাথমিক চিকিৎসার পর দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং তার চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে টিটেনাস ইনজেকশন দিতে হবে। কুকুর কামড়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ইনজেকশন দেওয়া উচিত। রাস্তার কুকুরের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরবর্তী ওষুধ, ইনজেকশন বা প্রয়োজনীয় চিকিত্সা অবশ্যই করাতে হবে।

সতর্কতাঃ কুকুরের কামড়ে অনেক সময় রোগী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন বা মারাত্মক ভয় পেয়ে যান। তবে এই পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়লে চলবে না। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অব্যশই রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

চাকরিচ্যুত দেড় হাজার পুলিশ ফিরে পাচ্ছেন চাকরি

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের আমলে চাকরিচ্যুত ১ হাজার ৫২২ পুলিশ সদস্য ফিরে পেতে যাচ্ছেন তাদের চাকরি। নেওয়া হচ্ছে আপিল ট্রাইব্যুনালে জেতার পর চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালে ব্যবস্থা।

আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া ও জনসংযোগ) ইনামুল হক সাগর।

জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালসংক্রান্ত ১ হাজার ৫২২টি আবেদন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে গৃহীত হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে ১ হাজার ২৫ জন কনস্টেবল, ৭৯ জন নায়েক, ১৮০ জন এএসআই বা এটিএসআই, ২০০ জন এসআই বা সার্জেন্ট বা টিএসআই, ১০ জন ইন্সপেক্টর এবং ২৮ জন নন-পুলিশ সদস্য।

চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালসংক্রান্ত আবেদন পর্যালোচনার জন্য গত বছরের আগস্টে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ইতোমধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যারা আপিল ট্রাইব্যুনালে জয়ী হয়েছেন তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তবে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, যারা বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আপিল করেননি, তাদের বিষয়ে আইনি বাধা থাকায় তাদের পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা যায়নি। এ ছাড়া যারা বরখাস্ত, অপসারণ আদেশের বিরুদ্ধে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেননি, তাদের পুনর্বহালের বিষয়টিও আইনগত কারণে বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি। সেইসঙ্গে যাদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তাদের বিষয়েও বিবেচনা করা হয়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম