দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার॥
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার প্রেক্ষাপট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে তুলে ধরেছে বিএনপি। এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। আর সেই বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রবিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের আটটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

ঢাকার গুলশান-২ এ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসায় এ বৈঠক হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, স্পেন, ডেনমার্ক, নরওয়ের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। আগামী নির্বাচনকে কিভাবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায় তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেশের মানুষের মতো সারাবিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তারা দেখছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বিশেষ করে আগামী নির্বাচন নিয়ে ভীতির সঞ্চার কাজ করছে।’

‘স্বাভাবিকভাবে এসব বিষয়গুলো তাদের দৃষ্টিতে রয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আজকে আলাপচারিতা হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে একটি অবৈধ দখলদার সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। এই প্রেক্ষাপট থাকার কারণেই আলোচনা হয়েছে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে; তাহলে বাংলাদেশে যে সংকটের দিকে যাবে এই শঙ্কা দেশ এবং দেশের বাইরেও কাজ করছে। কিভাবে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক করা যায় সেটাই সকলের উদ্দেশ্য।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের যে চিন্তা, যে নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন, যার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ হবে এবং নির্বাচিত সরকার হবে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আজকে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’

‘খোলাখুলিভাবে এটা বলেছি যে, অবশ্যই এই সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। বিশ্বের যারা বাংলাদেশ দেশকে নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে, পর্যবেক্ষণ করে সকলের কাছে এটা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে’—যোগ করেন আমীর খসরু।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ অনির্বাচিত দখলদার সরকারের অধীনে দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি তাদের সরকার তাদের সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না। এ বিষয়টি প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে। এর কারণগুলো সকলেরই জানা, এসব আলোচনা হয়েছে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ইইউ কূটনীতিকেরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেও নেতৃত্ব দেন ঢাকায় ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

মেহেদী-রাসেল পরিষদের সফলতা এক যুগ পর মহানগর উত্তর ছাত্রদলের বিভিন্ন থানা কমিটি গঠন

রকি পাটওয়ারীঃ

দীর্ঘ ১৪ বছর পর ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের বিভিন্ন থানা কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল বাবু এসব কমিটির অনুমোদন দেন।

এসব কমিটির মধ্যে ১৪ থানা ও একটি কলেজ কমিটি রয়েছে। এরপর থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছাস, কর্মসূচিতে ব্যাপক শোডাউন করতে দেখা যায়।

থানা কমিটির মধ্যে বাড্ডা থানায় সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম; শেরে বাংলা নগর থানায় সভাপতি মহসিন শেখ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আহমেদ দীপু; গুলশান থানায় সভাপতি কে এম নাঈম, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন; তেজগাও শিল্পাঞ্চল থানায় সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকী সুমন, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মানিক; বিমানবন্দর থানায় সভাপতি রিপন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন শান্ত; দক্ষিণখান থানায় সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিপ্লব; উত্তর খান থানায় সভাপতি আবির সরকার সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক হৃদয় আহমেদ; ভাটারা থানায় সভাপতি রিয়াজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হোসেন রনি; উত্তরা পশ্চিম থানায় সভাপতি সামসুল আলম সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রুয়েল তেজগাও থানায় সভাপতি আক্তার হোসেন ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাজন; খিলক্ষেত থানায় সভাপতি তানিম হোসেন রাব্বী, সাধারণ সম্পাদক দুর্লভ দেওয়ান; উত্তরা পূর্ব থানায় সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বাবু; তুরাগ থানায় সভাপতি গোলাম রহমান সজল, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা জাকির; বনানী থানায় সভাপতি নাঈম উদ্দিন মিজবাহ, সাধারণ সম্পাদক সাহারুল ইসলাম জিহানকে রাখা হয়েছে। এসব কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত থানা কমিটি গঠনের পরপরই তৃণমূলে উচ্ছাসের সৃষ্টি হয়, যার প্রতিফলন ঘটে শনিবার রাজধানীর গণমিছিল ও সমাবেশে।

এদিন প্রত্যেক থানা কমিটির ব্যানারে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন। সমাবেশ শেষে দলীয় কার্যালয়ে মহানগর উত্তর ছাত্রদলের কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা।

একান্ত সাক্ষাৎকারে ঢাকা মহানগর উওর ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান রুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল বাবু বলেন ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে বিতর্কের মধ্যে ও আমরা কমিটি দিয়েছি দলের স্বার্থে এবং আন্দোলনের স্বার্থে সবার মন রক্ষা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি ,যারা দল কে ভালোবাসে তারা কখনও বিতর্কিত,উস্কানিতে পা দিবেন না দলের স্বার্থে কাজ করুন সংগঠনকে শক্তিশালী করুন সামনে আমাদের চ্যালেঞ্জিং কর্মসূচি সফল করতে হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন