মুরাদনগর যুবদলের আহবায়কের পদে সোহেল সামাদ : নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রতিক্রিয়া

কুমিল্লা প্রতিনিধি :
জেলার মুরাদনগর উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ব্যাবসায়ী সোহেল সামাদ। দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকে জানান, কুমিল্লায় মরাদনগরে স্থানীয় ভাবে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যাবসায়ী সোহেল সামাদ।
সোহেল আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচন এবং নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছিলেন সক্রিয়। স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ জেলা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার অসংখ্য ছবি এখন ফেসবুকে আপলোড রয়েছে।

সম্প্রতি তিনি বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের মুরাদনগর উপজেলা শাখার আহবায়কের পদ পেয়েছেন। এতে বিস্মিত হয়েছেন দলীয় অনেক নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।

এ নিয়ে চলছে এলাকায় ব্যপক সমালোচনা। আলোচিত সমালোচিত এই নেতার বেশ কিছু ছবি ভাসছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। হঠাৎ দল বদল করে কীভাবে রাতারাতি এত বড় নেতা হওয়া ও পদ পাওয়া যায় এটার দৃষ্টান্ত খোদ সোহেল সামাদ। তিনি মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পীর কাশিমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

গত ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় যুবদল। গঠনতন্ত্র অনুসারে জেলা যুবদল এ কমিটি অনুমোদনের কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

এতে মো. সোহেল সামাদকে আহবায়ক, মাসুদ রানাকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এবং সৈয়দ হাসান আহাম্মদকে সদস্য সচিব করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে দলের ভেতরে বাহিরে কারও আপত্তি না থাকলেও আহবায়ক সোহেল সামাদকে নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

রাতারাতি ভোল পাল্টে তিনি কীভাবে বিএনপির একটি অঙ্গ সংগঠনের এত বড় পদ পেলেন এ নিয়ে চলছে নানা প্রতিক্রিয়া।

বিএনপির স্থানীয় কর্মীরা জানান, সোহেল সামাদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় থাকা অবস্থায় তার ইন্ধনে অনেক নেতাকর্মী পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাকে এত বড় পদ দিয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন।

এ বিষয়ে সোহেল সামাদ বলেন, আমি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না, আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছি। আমি যুবদলের আহবায়ক পদ পাওয়ার কারণে দলের বিদ্রোহী একটি গ্রুপ এসব ছবিই ফেসবুকে ভাইরাল করছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি ভিপি শাহাবুদ্দিন বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা কমিটি গঠন এবং অনুমোদন করার কথা। কিন্তু মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি কীভাবে অনুমোদন পেল আমরা তা জানি না।

 

কুমিল্লায় ডিসির বাসভবনে ছেলেসহ সাংবাদিককে নাজেহাল

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সম্প্রতি দৈনিক ইনকিলাবের সাবেক কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি এবং বর্তমানে সাপ্তাহিক গোমেতি সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সিনিয়র সাংবাদিক মোবারক হোসেনের ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোর ছেলে তাহসিন রাহমান গাছ (ইনডোর প্ল্যান্ট) ও পত্রিকা উপহার দিতে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে যাওয়ায় তাকে আটকে রেখে তার বাবাকে খবর দিয়ে এনে ছবি তুলে রেখে এনডিসিকে দিয়ে শাসিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আমিরুল কায়সার। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা (সিজেএফডি)। সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক এম. মোশাররফ হোসাইন এক বিবৃতিতে বলেন, গাছ উপহার দিতে যাওয়ায় তাহসিনের সঙ্গে এমন ভয়ভীতি প্রদর্শনমূলক আচরণ যেমন তার কিশোর মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তেমনি একজন সিনিয়র সাংবাদিক জেনেও অপরাধী বিবেচনায় মোবারক হোসেনের ছবি তুলে রাখা চরম ধৃষ্টতা। জুলাই বিপ্লবের পর আমরা আশা করেছিলাম ডিসিদের আচরণে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আমরা আশাহত।

তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখা এই কিশোর স্কাউট তাহসিন রহমান সরকারকে সহায়তায় ১৫ দিন রাস্তায় ট্রাফিকের কাজও করেছে। এই ঘটনায় তাহসিনের মতো দেশের অসংখ্য ছাত্র-তরুণের মনে আমলাদের সম্পর্কে একটি নেতিবাচক বার্তা যেমন গিয়েছে, তেমনি কুমিল্লাসহ দেশের আপামর জনসাধারণের মধ্যে ওই ডিসিকে প্রত্যাহারের দাবিও উঠেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের আরও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার অনুরোধ করছি।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম