দুর্নীতির অভিযোগে মহাপরিচালক বদলী: পিডির অব্যাহতির আবেদন: ফাওজিয়ার ফটোশপ টেম্পারিং: ডিপিডি ও এপিডিদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ: নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের লাইটহাউজ নির্মাণ প্রকল্পে হচ্ছে কী?

স্টাফ রিপোর্টারঃ

‘লাইটহাউজ প্রকল্প’ নামে পরিচিত নৌপরিবহন অধিদফতরের ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিস্ট্রেস অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস)’ প্রকল্পে হরচ্ছ কী? এই প্রকল্পে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে নৌ পরিবহন ডিজি কমডোর নিজামুল হককে মহাপরিচালকের পদ থেকে প্রত্যাহার করে নৌ বাহিনীতে ফেরত পাঠিয়েছে সরকার। তার স্থলে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নৌ বাহিনীতে কর্মরত কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমকে। রবিবার (২১ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উপকূল এলাকা থেকে গভীর সাগরের ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নজরদারির আওতায় আনার লক্ষ্যে সাতটি লাইটহাউজ ও সাতটি কোস্টাল রেডিও স্টেশন স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের আওতায় ঢাকায় একটি ১১ তলা ভবন নির্মাণও রয়েছে। প্রকল্পটির সর্বশেষ বর্ধিত ব্যয় ৭৭৯ কোটি টাকা।

সূত্রমতে, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের পর নৌ মন্ত্রণালয় কমডোর নিজামকে অধিদফতরের মহাপরিচালকের পদ থেকে প্রত্যাহারের প্রস্তাব করে। এরপর তাকে প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সরকার। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে দায়ী অন্যদের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ডিপিডি, এপিডি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সরাসরি কোনও সুপারিশ করা হয়নি। কারিগরি কমিটি গঠন করে এই কমিটির মাধ্যমে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্ব যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, তদন্তকালে বিভিন্নজনের মৌখিক (অনানুষ্ঠানিক) জবানিতে ডিপিডি ও এপিডিদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কাজ না করে বিল পরিশোধের নামে প্রকল্পের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া কমডোর এ জেড এম জালালউদ্দিন নৌ অধিদফতরের ডিজি থাকাকালে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে আরও বিস্ময়কর তথ্য উঠে আসে। প্রকল্পের কর্মকর্তাদের কোন কাজে কে কতো টাকা ঘুষ দিয়েছেন, তার বর্ণনা রয়েছে। ঘুষ বাবদ টাকা লেনদেনের এ ভয়ঙ্কর বক্তব্য ওই বৈঠকের কার্যবিবরণীতেও স্থান পেয়েছে। তবুও প্রকল্পের এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কারণে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সহ-ঠিকাদার নিয়োগ, বেআইনিভাবে দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ ও ভীতি প্রদর্শনসহ সাতটি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিকের নেতৃত্বে ২৬ এপ্রিল পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সম্প্রতি নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আটটি সুপারিশসহ ৪২২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেছে। বহুল আলোচিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে নৌপরিবহন অধিদফতর। এটি বাস্তবায়নের সর্বশেষ বর্ধিত সময়সীমা ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

কেমিষ্ট ফাওজিয়া রহমান উপাখ্যান এ দিকে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সহকারী কেমিষ্ট ফাওজিয়া রহমানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের বিল ভাউচার ও মূল্যবান ডকুমেন্ট ফটোশপ বা টেম্পারিং করে প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন সাইদ মোহাম্মদ দেলোয়ারকে ফাঁসিয়ে দিয়ে বিদায়ী মহাপরিচালক কমডোর নিজামুল হককে রক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাইই নয় এই প্রকল্পের ডিপিডি ক্যাপ্টেন আশরাফের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রায় এক বছর যাবত অবৈধ মেলা মেশা অভিযোগ করার অভিযোগ উঠেছে কেমিষ্ট ফাওজিয়া রহমানের বিরুদ্ধে। এর আগেও একজন মহাপরিচালকের সাথে তার কক্সবাজার কেলেংকারী ফাঁস হয়েছিলো পত্র পত্রিকায়।

প্রকল্পের যাবতীয় অনিয়ম -দুর্নীতির মূল হোতা ডিপিডি ক্যাপ্টেন আশরাফ ও সহকারী পরিচালক নাজমুল টিটু এমন তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের ঘুসের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়ে চট্রগ্রামে একজন ঠিকাদার আত্মহত্যা করে বলে সংবাদপত্রে খবর ছাপা হয়েছে। এ বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া তারা কোন মিডিয়ার সাথে কথা বলতে পারবেন না।

(আগামী পর্বে বিস্তারিত প্রতিবেদন)

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায় বুড়িচংয়ের ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণে রাজউকের নিয়ম উপেক্ষা করে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং একাধিক মামলার আসামি হয়েও অবাধে চলাফেরা করছেন প্যরাডাইস হাউজিং এর মালিক
ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন। মালয়েশিয়ায় বিলাসবহুল বাড়ির মালিক এই ব্যবসায়ী রিয়েল এস্টেট ব্যবসার আড়ালে নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

কুমিল্লার বুড়িচং থানার চড়ানল গ্রামের মরহুম ফতেহ আলী মাস্টারের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন বুড়িচং থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে আল আমিনের পরিচিতি তার বাবার রাজনীতির কারণে নয়, বরং বিভিন্ন অনিয়ম ও বিতর্কিত কার্যকলাপের জন্য এ পরিচিতি।

গত ১৫ বছরে রাজধানীর শান্তিনগর, চামেলীবাগ, মালিবাগ, বাসাবো ও উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন আল আমিন। অভিযোগ রয়েছে, এসব ভবন নির্মাণে তিনি রাজউকের কোনো নিয়ম-কানুন মানেননি। অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণ করেই ক্ষান্ত হননি, বরং রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহাব) মেলার নামে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করে বিদেশে পাচার করেছেন। তার মালয়েশিয়ায় একটি আলিশান বাড়িরও সন্ধান পাওয়া গেছে।

রিহাবের পরিচালক থাকাকালীন সময়েও তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও তিনি এখনো প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

এ বিষয়ে রাজউক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভুক্তভোগীরা দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।( চলবে)

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের