মেঘনায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্মী সম্মেলন

মো.আনোয়ার হোসেন, মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ জুলাই,২০২৩) উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মো.সেলিম আহমেদ’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি সালেহ মোহাম্মদ টুটুল। এসময় তিনি বলেন, বতর্মান সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে। সারা বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে।

উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক গাজী মো: আলী হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সালমা হাই টুনি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শফিকুল আলম। মেঘনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জি এস সুমন সরকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মনির উল্লাহ শিকদার।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মাফুজ মিয়া, রিয়াদ মুন্সি, হাই লিটন, জসিম এবং সকল ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।

মৌলভীবাজারে দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা:

মৌলভীবাজার শহরের শমশেরনগর সড়কস্থ সদাইপাতি এফ রহমান ট্রেডিং নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সত্ত¡ ধিকারী শাহ ফয়জুর রহমান ওরফে রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় কতিপয় দৃর্বৃত্ত তাকে তার দোকানে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর কতিপয় দুর্বৃত্ত শাহ ফয়জুর রহমান ওরফে রুবেলকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সদাইপাতি এফ রহমান ট্রেডিংয়ে প্রবেশ করে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপাতে থাকে। এসময় তিনি আত্মরক্ষার্থে চিৎকার দিলে আশপাশের ব্যবসায়ী ও সিএনজি অটোরিকশা চালকরা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত রুবেলকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে যাবার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত ব্যবসায়ী রুবেলের বাড়ি জেলার কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বর্ষিজোড়া গ্রামে সপরিবারে বসবাস করছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক সিএনজি অটোরিকশা চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা কয়েকজন রুবেল ভাইয়ের পাশের দোকান মাতৃছায়া ইলেকট্রনিক্সে বসে ছিলাম। হঠাৎ বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুনে দৌড়ে রুবেল ভাইয়ের দোকানে যাই। আমরা যাবার সময় দেখতে পাই রুবেল ভাইয়ের উপর হামলাকারীরার দ্রæত পালিয়ে যায়। পরে রুবেল ভাইকে আমরা সিএনজিতে করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে ডাক্তাররা উনাকে সিলেট রেফার করেন।’

নিহত শাহ ফয়জুর রহমান ওরফে রুবেলের শ্যালক ইমন তরফদার বলেন, ‘আমার দুলাভাই দীর্ঘদিন ধরে মৌলভীবাজার শহরে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছেন। শহরের শমসেরনগর রোডস্থ সাদাইপাতি নামের তার নিজের প্রতিষ্ঠান আছে। কি কারনে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানতে পারিনি। তবে আমরা ধারণা করছি হয়তো কারো সাথে তার পূর্ব শত্রæতা থাকতে পারে। সেই জেরে হয়তো তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ী রুবেলের হত্যা সম্পর্কে আমরা এখনো কোন ক্লু পাইনি। এ হত্যা রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে এবং হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম