গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৪৬ নং ওয়ার্ড বাসীর কাছে জানতে চান কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু

স্টাফ রিপোর্টার:

প্রিয় ৪৬ নং ওয়ার্ডবাসীগণ আসালামুয়ালাইকুম,আপনাদের সকলের দোয়া, ভালোবাসা এবং সার্বিক সহযোগিতায় ২৪ বছর যাবৎ আমাকে আপনারা বার বার কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন, তাই আমি এবং আমার পরিবার আপনাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। আমি আমার মেধা, সততা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রম দিয়ে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয় সাহেবের সহযোগিতায় ১০০% মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও অনেকাংশ কমিয়ে এনেছি এবং ব্যাপক আকার ধারন করতে দেয়নি । কিন্তু গত ২৫ মে ২০২৩ ইং তারিখে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।তফসিল ঘোষণা হওয়ার পরে দেখা গেলো হঠাৎ করে ব্যাঙ্গের ছাতার মত অনেক প্রার্থী এসে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলেন । এখন আমার প্রশ্ন হলো,এই প্রার্থীরা কেন নির্বাচন করলেন?এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে এখোনো আমি পাই নাই । আমার প্রিয় ৪৬ নং ওয়ার্ড বাসীর কাছে আমার প্রশ্ন যারা আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন করলেন তারা কারা? তারা আবার কেউ কেউ ভালো ভোট ও পেয়েছে। যারা নির্বাচন করেছে তাদের ২৪ বছরে কোনো দিন দেখলাম না মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতে। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় তারা তো জীবন নিয়ে ঘরে বসেছিলেন আর আমি তো নীজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের পাশে ছিলাম। যাই হউক সম্প্রতি সময় ডেংগু মশায় আমাদের ৪৬ নং ওয়ার্ডটি বিপর্যস্ত সেই সময় আমরা আমাদের অনেক আপন জন কে হারিয়েছি। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলো তারা ৪৬ নং ওয়ার্ড বাসীর পক্ষে কোন কাজ করেতে। যাই হোক সব কিছু বিচার করবেন আপনারা আগামী দিনে। আল্লাহ বহমতে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় এবারও আমাকে ৪৬ নং ওয়ার্ড থেকে একটানা ৫ বার নির্বাচিত করছেন। প্রথম যে দিন আপনারা আমাকে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন,সেই দিন থেকে রাজনৈতিক বিবেচনায় আমি কোন মানুষের ক্ষতি করি নাই।এখন আমার মূল প্রশ্ন হলো ৪৬ নং ওয়ার্ড বাসীর কাছে গত ২৫ শে মে নির্বাচনের পরে আমাদের ৪৬ নং ওয়ার্ডে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।সাধারণ জনগন উৎকন্ঠার মধ্য জীবন যাপন করছে।মাদক ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গেছে, কিশোর গ্যাং সাধারণ মানুষের জমি দখল মানুষের বাড়ি ঘর আগুন ধরিয়ে পুরিয়ে দেওয়া । ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম, অবৈধ ট্রাক-স্ট্যান্ড, কাভারভ্যান ইত্যাদি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়।আমার জানামতে এই সব টাকার একটা বড় অংশ যায় সমাজ ধংস মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে। তারা আবার মাদক এনে সমাজের যুব সমাজকে ধ্বংস করে।আর টংগীর যত চুরি ছিনতাই সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ টংগীর একজন ভাসমান বিশাল যুব নেতার হাতে।সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা টংগীর রেল ডাকাতির ঘটনা,ঐ ঘটনায় অনেক অপরাধী গ্রেফতার হলেও মুল হোতা ধরা ছোয়ার বাহিরে,চলছে বীর দরপে।
প্রিয় এলাকাবাসী আপনারা ৪৬ নং ওয়ার্ড থেকে পরপর ৫ বার আমাকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন। আমি ব্যাক্তি জীবনে আপনাদের অনেক দোয়া ভালো বাসা পেয়েছি।এখন আমার একটাই মাত্র স্বপ্ন,যে স্বপ্ন আমাকে দেখিয়েছে গাজীপুরের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা ভাওয়াল বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্যার তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষে আমরা একসাথে কাজ করে যাবো।আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের এলাকাটি আদর্শ বাসযোগ্য করে যাবো,এই জন্য সকলের সহযোগিতা দোয়া এবং সমর্থন চায়।জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক মেহনতি মানুষের।

আত্মগোপনে আওয়ামী লীগ নেতারা, দখল করেছেন জমি-কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকার সাভারে দিনে দুপুরে একটি কারখানায় প্রবেশ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ কয়েকশ সন্ত্রাসী।

কারখানা চত্বরে প্রবেশ করে তাঁরা কারখানার নিরাপত্তারক্ষী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বের করে দিয়ে কারখানাটি অবৈধভাবে দখলে নেয়৷

অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার প্রত্যক্ষ মদদে এই দখলের ঘটনাটি ঘটেছে।
আদালতের দুটি নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ‘বেঙ্গল ফাইন সিরামিক লিমিটেড’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি দখলে নেয় তারা। দখলের সময় ভুক্তভোগীরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাননি। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা ছিল নিশ্চুপ।

পুলিশের সামনেই সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায় দখলকারীরা। এ সময় তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরও মারধর করে দখলকারীরা।

সাভার পৌর এলাকার ভাগলপুরে বেঙ্গল ফাইন সিরামিক লিমিটেড কারখানায় গত বছরের ২৬ মে (রবিবার) এমন ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,দুর্ধর্ষ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন ময়মনসিংহের আওয়ামী লীগ নেতা সি পার্ল গ্রুপের মালিক আমিনুল হক শামীম। এসময় তাকে সহায়তা করেছেন আওয়ামী লীগের  সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম ও সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

ওই ঘটনার পরে বেঙ্গল ফাইন সিরামিক লিমিটেডের তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক অভিজিৎ রায় ও বিশ্বজিৎ রায় বাদী হয়ে আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা দুটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন কে নির্দেশ দেয়। পিবিআই দুটি মামলার তদন্ত করছেন।

অভিজিৎ কুমার রায় জানান, ২০২৪ সালের ২৬ মে সকালে সি পার্ল গ্রুপের কর্মকর্তারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ কয়েক শ সন্ত্রাসী নিয়ে জোর করে কারখানাটি অবৈধভাবে দখলে নেয়।

ঘটনার বর্ননা দিয়ে তিনি জানান, ২০০৭ সালে বেঙ্গল ফাইন সিরামিক লিমিটেড মোটা অঙ্কের দায় মাথায় নিয়ে বন্ধ হওয়ার পর একটি চুক্তির মাধ্যমে কোম্পানির ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ স্পনসর শেয়ার কিনে এজিএমের মাধ্যমে কোম্পানি পরিচালনার দায়িত্ব নেয় তাঁর পরিবার। পরবর্তী সময়ে জমিজমা সংক্রান্ত কিছু জটিলতা তৈরি হয়।  তবে ২০১৯ সালে কারখানাটি সচল করে কার্যক্রম শুরু করা হয়।

অভিজিৎ এর অভিযোগ, ২০১৬ সালে আগের মালিকপক্ষ চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কোম্পানির মালিকানা দাবি করে আদালতে একটি মামলা করে। তবে উচ্চ আদালত তাঁর (অভিজিৎ) বাবা বিশ্বজিৎ কুমারকেই কারখানা পরিচালনার নির্দেশ দেন। কিন্তু  আগের মালিকপক্ষ বিক্রীত শেয়ার আবার সি পার্ল গ্রুপের মালিকপক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপর  ছাড়া সি পার্ল গ্রুপের লোকজন কয়েক দফায় কারখানাটি দখলের চেষ্টা করেন। অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আদালত থেকে এ বিষয়ে ১৪৫ ধারার আদেশ আনা হয়। কিন্তু  তাঁরা আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে অবৈধভাবে কারখানাটি দখল করেছেন।

ভুক্তভোগী অভিজিৎ রায়ের ভাই এর ছেলে প্রমিত রায় জানায়, তাদের পরিবার এই ঘটনার পরে প্রায় বিধস্ত হয়ে পড়েছে। তার বাবা এবং চাচার  এই কারাখানায় বহু টাকা বিনিয়োগ করেছে। সাবেক আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রভাবে সব হারিয়েছে তারা।

ভুক্তভোগী পরিবার ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ মে কারখানাটির মালিকানার জটিলতা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক  সংসদ সদস্য মির্জা আজমের কার্যালয়ে একটি মিটিং হয়েছিল। সেখানে সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠক কোন সমাধান হয়নি। তার কিছু দিন পরেই এই দখলের ঘটনা ঘটেছে।

দখলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিজিৎ রায় বাদী হয়ে বিগত ২০২৪ সালের ২৮ মে ঢাকার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ৬৫৪/২০২৪।

এছাড়াও, ২০২৪ সালের ৩০ মে  আরও একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন অভিজিৎ রায়  যার মামলা নং- ৬৬৮/২০২৪। মামলা গুলো তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন,’ মামলা দুটির তদন্ত কাজ চলছে। দুজন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা দুটি নিয়ে তদন্ত কাজ করছেন।

অনেক গুলো আসামি রয়েছে সবার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

কারখানা দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও  সি পার্ল গ্রুপের মালিক আমিনুল হক শামীম ও সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজমের অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।  মুঠোফোনে ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। মেসেজ পাঠালেও কোন উত্তর মেলেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর অনান্য আওয়ামী লীগের নেতাদের মত আত্মগোপনে চলে গেছেন তারাও। তবে এখনো তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না অনেক ভুক্তভোগী।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম