যুক্তফোরামের মশাল ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। ‘দলীয় স্বার্থের কাছে আজ গণতন্ত্র পরাজিত ‘ – চাষী মামুন।

মো: জুয়েল :

”ছাপা কালিতে আর বক্তৃতা বিবৃতিতে গণতন্ত্র দৃশ্যমান থাকলেও আদতে রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের দাফন হয়ে আছে। ৫২ বছর আগে স্বাধীনতা অর্জন হলেও এদেশ এখনও পায়নি গণতান্ত্রিক মুক্তি। স্বাধীনতা পূর্বকালে বৃটিশ এবং পাকিস্তানীরা আমাদের শোষন করলেও স্বাধীনতা উত্তরকালে এদেশ ও জাতিকে শোষণ করছে স্বজাতীয়রাই। শুধুমাত্র মোড়কের পরিবর্তন হয়েছে, বৃটিশ থেকে পাকিস্তান, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ! সময়ের ব্যবধানে ঐ একই আদলে নিপীড়িত হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারন জনগন। এই জাতির দুর্ভাগ্য যে, গণতন্ত্রের খোলসে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল ও জোট বাংলাদেশকে তাদের নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করেছে, বিক্রিও করেছে। এই দলবাজ, জোটবাজদের স্বার্থের কাছে আজ গণতন্ত্র পরাজিত”! শনিবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে যুক্ত ফোরাম আয়োজিত মশাল ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে একথা বলেন গণ সংগঠক, রাষ্ট্রচিন্তক ও ফোরামের প্রধান সমন্বাকরী চাষী মামুন।

আজ সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মশাল ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে তিনি আরও বলেন,
গণতন্ত্রের খোলসে চকচকে যা দেখা যায় তার ভেতরটা আসলে পুঁজে ঠাসা। রাষ্ট্রের পুরো শরীরটাই আজ ক্ষত বিক্ষত। প্রায় সর্বক্ষেত্রই জুলম, অবিচার, স্বেচ্ছাচারিতা আর দুর্নীতি গ্রাস করে ফেলেছে। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা আজ মাফিয়াতন্ত্রে রূপ নিয়েছে। এদেশে রাজনীতির নামে এখন যা হচ্ছে তা কোন নীতির মধ্যেই পড়েনা।

রাজনৈতিক সম্প্রীতি, জাতীয় ঐক্য এবং সার্বজনিন গণতন্ত্রের প্রত্যাশায় আয়োজিত যুক্তফোরামের মশাল ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে চাষী মামুন আরও বলেন, দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলো এখন মানুষের কথা ভাবে না। তাই গতানুগতিক এই ধারার বাইরে গিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কোন বিকল্প নেই। সেজন্য আগামীতে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় সরকার গঠনই হলো মুক্তির উৎকৃষ্ট পথ। আর তা না হলে এজাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে। অন্যদিকে বর্তমান ভূ-রাজনীতি বাংলাদেশকে একটি নতুন মেরুকরণের মধ্যে নিয়ে গেছে। যেকারণে বিশ্ব মোড়লদের চোখ এখন বাংলাদেশে। দেশে প্রকৃত রাজনীতি নেই; আছে চরম বিভেদ। এই বিভেদের ফাঁ-ফোঁকর দিয়ে প্রবেশ করছে বিদেশী আগ্রাসী শক্তি। এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতা জনগণের পক্ষে নয়। তাই মানুষ নতুন কিছু ভাবছে। সার্বিক পরিস্থতিতে জনগণকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুনত্ব আনতে হবে। নতুন শক্তির অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।

যুক্তফোরাম সমন্বয়ক মো. জাকির হোসেন এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন মানবাধিকার সংগঠক ও সমাজকর্মী এসএম আমান উল্লাহ, লেখক-গবেষক শাহ নুরুজ্জামন, প্রগিতিশীল রাজনীতিক মো. ফিরোজ মো: লিটন জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এনডিএম এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা প্রমূখ।

দক্ষিনখানে মসজিদের নামে থাকা সড়কের নাম বদলে দিলেন যুবদল নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর দক্ষিন খানের ৪৭ নং ওয়ার্ডের উত্তর ফায়দাবাদ এলাকায় মসজিদুল কোবা জামে মসজিদ সড়কের নাম রাতের আধারে পরিবর্তন করে নিজের দাদা নামে সড়কের নামকরণের ব্যনার সাটিয়ে দিয়েছেন দক্ষিন খান থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি শেখ রাসেল ও তার ভাইয়েরা। রাস্তাটির নামকরণ নিয়ে এর আগে ঝামেলা করেন যুবদল নেতা শেখ রাসেল। সেই সময়ে এলাকাবাসী ও স্থানীয় সালিশের রায়ে রাস্তাটির নাম আগে যা ছিল অর্থাৎ মাসজিদুল কোবা জামে মসজিদ সড়কের পক্ষেই রায় দেন। কিন্তু ৫ আগষ্টের পর সুযোগ বুঝে মসজিদের নামে থাকা সড়কের নামপলকটি মুঝে নিজের দাদার নামের সড়কের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন যুবদলের এ নেতা। ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ব্যপক প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে। মসজিদের নামে থাকা সড়কের নাম রাতের আধারে এভাবে পরিবর্তন করাকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। সড়কের নাম পরিবর্তন বিষয়ে কথা না বলতে নানাভাবে এলাকাবাসীকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন রাসেলসহ তার সহযোগীরা।
জানাগেছে, গত প্রায় ৩০ বছর থেকেই রাস্তাটির নাম মসজিদুল কোবা জামে মসজিদ সড়ক হিসেবে পরিচিতি। প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা সড়ক শতাধিক বাড়ীর ন্যামপ্লেটসহ স্থানীয়দের জন্ম সনদ আইডি কার্ড থেকে শুরু করে সব জায়গা রাস্তাটির নাম রয়েছে, মসজিদুল কোবা সড়ক। কয়েক বছর আগেও এই সড়কের নাম পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে আবেদন করেন শেখ রাসেল। রাসেলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৬ সদস্যের একটি জুড়ি বোর্ড গঠন করে দেন স্থানীয় কাউন্সিলর। জুড়ি বোর্ডের একজন সদস্য জানান, রাস্তার নাম পরিবর্তনের জুরির সদস্য হিসেবে আমরা এই রোডের বাড়ি ওয়ালাদের ভোট গ্রহন করি। সেই ভোটে মসজিদুল কোবা সড়কের নামের পক্ষে ৬৪ জন বাড়ী ওয়ালা ভোট দেয়। মাত্র ১০টি বাড়ী ওয়ালা যুবদল নেতা শেখ রাসেলের দাদা মরহুম শেখ আবু উবায়েদ আল নদভীর নামে ভোট দেয়। পরে আমরা কাউন্সিলরের প্রতিনিধি হিসেবে এ রাস্তাটির অতীত রেকর্ড তালাশ দিয়ে জানতে পারি পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ থাকা অবস্থায়ও এ রাস্তার নাম মসজিদুল কোবা সড়ক নামেই আছে। তাই রাস্তার নাম পরিবর্তনের আবেদনটি সকলের সম্মতিতে বাতিল হয়ে যায়।
স্থানীয় সালিশে সড়কের নাম পরিবর্তন করাতে না পারলেও স্থানীয় এ যুবদল নেতা নিজের দাদার নামে সড়কের নামকরণের ফলক লাগিয়ে দেয়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, যুবদলের এ নেতা আগে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরের সাথে গভীর সখ্যতার সুযোগ নিয়ে রাস্তাটির নাম পরিবর্তনের চেষ্টা চালায়। সেসময় ব্যর্থ হয়ে এখন ক্ষমতার ধাপটে মসজিদের নাম থাকা সড়কের নাম জোরপূর্বক পরিবর্তন করে নেয়। রাতের আধারে এমন পরিবর্তনে সাধারণ মানুষ বিএনপির এমন কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, পটপরিবর্তনের পর শেখ রাসেল ও তার ভাইয়েরা মিলে এলাকার দখল চাদাবাজি ডিস ইন্টারনেট ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিয়ে কাচা টাকার সন্ধান পেয়েছেন। এখন উনি বেপরোয়া আচরণ করছেন। মহানগর উত্তর বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতার ছত্রছাড়ায় এমনটা করছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এ বিষয়ে রাসেলের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি