চৌদ্দগ্রাম পরকীয়ার টানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা উধাও

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের বীরচন্দ্রনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কুলসুমা আক্তার পরকীয়া সম্পর্ক করে উধাও।

সরজমিন গিয়ে জানা যায়, কুলসুমা আক্তার কলেজে পড়ুয়া দুই সন্তানের জননী। বড় ছেলে কুমিল্লা একটি কলেজে অনার্সে পড়ে, মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী। পৌরসভার গোমারবাড়ি নিবাসী মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী। সেলিম সৌদি প্রবাসী থাকাকালীন গত প্রায় ৩২ বছরের উপার্জন প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার সহ ৭০/৮০ লাখ টাকা স্ত্রী কুলসুমা আক্তার কাছে গচ্ছিত রাখেন।

গত ৩ বছর থেকে পরকীয়ার সম্পর্কে জানাজানি হলেও কুলসুমা আক্তার কে সংসারে মনোযোগী করাতে পারেননি। স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায় ঘোলপাশা ইউনিয়ন বাবুচি গ্রামের ধনা মিয়ার সন্তান শরীফ হাসানের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি হয়। তাঁরপর গত ২ বছর সম্পর্ক বেশি ঘনিষ্ঠ হয় বলে জানা যায়। শরীফ হাসান ৩ সন্তানের বাবা তিনি চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৭/৮/৯ ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর আমেনা বেগমের মেয়ে জামাই। কুলসুমা আক্তার বাতিসা ইউনিয়নের নানকরা গ্রামের শামছুল হক ভূঁইয়া কন্যা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন বীরচন্দ্রনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জানা যায় গত ১১ সেপ্টেম্বর স্কুলে হাজির থেকে ১২ তারিখ নৈমিত্তিক ছুটির জন্য আবেদন করেন, ১৪ সেপ্টেম্বর ১ মাসের ছুটির মেডিকেল ছুটির আবেদন দিয়ে স্কুলে স্কুলে অনুপস্থিত। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দালাল বলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাঃ মাঈন উদ্দিন মাসুদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা দিয়ে মেডিকেল ছুটির ডাক্তারি সাটিফিকেট সংগ্রহ করেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে বীরচন্দ্রনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা আক্তার কে জানতে চাইলে বলেন ছুটির আবেদন দিয়ে স্কুলে আসেননি। পরক্ষণে দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পারি।

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিল আমেনা আক্তার কে জিগ্যেস করলে বলেন। শরীফ হাসান আমার মেয়ে জামাই তিন সন্তান রেখে এমন করবে আমি ভাবতে পারি নি।

কুলসুমা আক্তার স্বামী মোহাম্মদ সেলিম কে এ বিষয় জানতে চাইলে বলেন আমার সারাজীবনের উপার্জন নিয়ে পালিয়ে গেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

স্লিপ ফান্ডের টাকা লোপাটের অভিযোগ, নাকি অপপ্রচার?

স্টাফ রিপোর্টার:

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে স্থানীয় সংবাদকর্মী হক সরকার হোমনা উপজেলা শিক্ষা বিভাগের তিন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্লিপ ফান্ডসহ বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেন। আর এই অভিযোগের প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলে শিক্ষাব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে স্থানীয় শিক্ষক সমাজ এবং শিক্ষা প্রশাসনের বক্তব্য বলছে ভিন্ন কথা। বরং এই প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বিভ্রান্তিকর এবং ব্যক্তি প্রতিহিংসার অংশ-এমন অভিযোগ উঠেছে প্রতিবাদকারী শিক্ষক মহল থেকে।

গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, উপজেলার ৯২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত স্লিপ ফান্ড থেকে প্রশ্নপত্র তৈরির নামে অতিরিক্ত ১২ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, খাদিজা আক্তার ও আনিসুর রহমান। এমনকি সরকারি বই বিক্রি, ক্ষুদ্র মেরামতের অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগও সেখানে ছিল। অথচ প্রতিবেদনের একাংশেই অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হলেও প্রতিবেদক ইচ্ছাকৃতভাবে তা গুরুত্বহীন করে উপস্থাপন করেন। প্রশ্ন থেকে যায়, এই প্রতিবেদন তৈরির পেছনে কি প্রকৃত উদ্দেশ্য অনুসন্ধান ছিল, নাকি পূর্বপরিকল্পিত একটি প্রতিশোধ পরায়ণ প্রচেষ্টা?

ঘটনার পর ২৭ জুলাই বিকেলে হোমনা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন উপজেলার শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা। সেখানেই উত্থাপিত হয় ভিন্ন এক প্রেক্ষাপট। বক্তারা বলেন, এই প্রতিবেদনের নেপথ্যে রয়েছেন হোমনা-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ূন কবির, যিনি নিজেই বর্তমানে একাধিক গুরুতর অভিযোগের তদন্তাধীন। তার বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীকে অশোভন আচরণ ও যৌন হয়রানি, বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, কর্মস্থলে অনুপস্থিতি এবং ভুয়া সনদে চাকরিতে প্রবেশের মতো অপরাধে সরকারি তদন্ত চলছে।

অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা শিক্ষা অফিস যখন তার অনিয়মে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হুমকি ও অপপ্রচারে নামেন। এই অপপ্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় স্থানীয়ভাবে বিতর্কিত এক সাংবাদিককে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন অফিস থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পরিচিত। পেশাদার সাংবাদিকতা নয়, বরং ব্যক্তি স্বার্থে পরিচালিত হয় তার তথাকথিত অনুসন্ধান।

প্রতিবাদ সভায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন তোলে বলেন, যে প্রতিবেদকের নামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত, তিনি কি কখনো সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় বা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন? প্রশ্নপত্রের অতিরিক্ত খরচের অভিযোগ থাকলেও, সেখানে কোন সূত্র, দলিল কিংবা তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়নি। এমনকি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যে কর্মকর্তারা জবাব দিয়েছেন, তাঁদের ব্যাখ্যা ছিল অসম্পূর্ণভাবে তুলে ধরা। সংবাদপত্রে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন কেবল একটি পেশাকে কলঙ্কিত করে না, বরং প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও প্রতিষ্ঠানিক আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রশ্ন উঠেছে, সংবাদ প্রকাশের আগে কেন শিক্ষা অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন বা জেলা শিক্ষা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত ব্যাখ্যা বা নথিপত্র যাচাই করা হলো না? একজন প্রতিনিধি যিনি স্থানীয়ভাবে একাধিক পেশাদারিত্বহীন কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে শিক্ষক সমাজ দাবি করেছে, তাঁর তথ্য যাচাই না করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা কি সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতিমালাও লঙ্ঘন করে না?

হোমনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাহার সুলতানা বলেছেন, “আমি সদ্য যোগদান করেছি। আগের খরচপত্র নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কোনো অনিয়ম হলে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার পাল বলেন, “মৌখিক অভিযোগ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এখন প্রশ্ন হলো প্রকৃত দুর্নীতি কোথায়? শিক্ষা অফিসে, না সাংবাদিকতার আড়ালে? যে প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে একতরফাভাবে জনমত গঠন করা হয়েছে, তার পেছনে জবাবদিহির কোনো কাঠামো ছিল কি?

স্থানীয় শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার। কেবল শিক্ষা কর্মকর্তাদের ভূমিকা যাচাইয়ের জন্য নয়, সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ কতটা বজায় রাখা হচ্ছে তা বিশ্লেষণের জন্যও। সাংবাদিকতা যদি হয় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার মাধ্যম, তবে প্রতিটি শব্দের পেছনে থাকতে হবে প্রমাণ, নিরপেক্ষতা ও দায়িত্ব। অন্যথায় তা হয়ে দাঁড়ায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপপ্রচারের অস্ত্র, যা কারও ব্যক্তিগত রোষের বাস্তবায়ন ছাড়া কিছুই নয় বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে জানতে হক সাহেবের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি