ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সভাপতি ও সাঃ সম্পাদক ছিলেন যারা

মোঃ সজিব হোসাইনঃ

১৯৪৯ সালে ২৩শে জুন ৭৪ বছর আগে, আওয়ামী মুসলিম লীগ দলটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন মাওঃ আব্দুল হামিদ খান ভাষানী ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামছুল হক। ১৯৪৯ সালে ময়মনসিংহের ভালুকার মোঃ হোছেন আলী খান বাদেশী আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগদান করেন। তৎকালীন দলের সভাপতি মৌখিকভাবে তাকে ময়মনসিংহ জেলার আহবায়ক ঘোষণা করেন। দল সম্প্রসারণ করতে ব্যপক ভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। ১৯৫০ সালে লেখক আবুল মনসুর আহমেদ দলে যোগদান করলে দল শক্তিশালী হয়ে উঠে এবং গণজোয়ার দেখা দেয় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগে। ময়মনসিংহ জেলার ১ম সম্মেলনে আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন লেখক আবুল মনসুর আহম্মেদ ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হন মোঃ হোছেন আলী খান বাদেশী। পরবর্তীতে ১মে লেখক আবুল মনসুর আহমেদ ও পরে মোঃ হোছেন আলী খান বাদেশী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহঃ সভাপতি হয়েছিলেন। ২য় সম্মেলনে সভাপতিঃ লেখক আবুল মনসুর, সাঃ সম্পাদক হাসিম উদ্দিন, ৩য় সম্মেলনে সভাপতিঃ জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক হাসিম উদ্দিন, ৪র্থ সম্মেলনে সভাপতিঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাঃ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ভূইয়া, ৫ম ও ৬ষ্ঠ সম্মেলনে সভাপতিঃ রফিক উদ্দিন ভূইয়া, সাঃ সম্পাদক শামছুল হক, ৭ম সম্মেলনে সভাপতিঃ রফিক উদ্দিন ভূইয়া, সাঃ সম্পাদক এড. আজিজুল হক, ৮ম সম্মেলনে সভাপতিঃ রফিক উদ্দিন ভূইয়া, সাঃ সম্পাদক অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, ৯বম সম্মেলনে সভাপতিঃ শামছুল হক, সাঃ সম্পাদক অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, ১০ম সম্মেলনে সভাপতিঃ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাঃ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, ১১ তম সম্মেলনে সভাপতিঃ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাঃ সম্পাদক আঃ মতিন সরকার, ১২ তম সম্মেলনে সভাপতিঃ এড. জহিরুল হক খোকা, সাঃ সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ১৩ তম সম্মেলনে সভাপতিঃ এহতেশামুল আলম, সাঃ সম্পাদক এডঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। বর্তমানে সর্বশেষ কমিটি চলমান রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা, বিভিন্ন অনুলিপি, সর্বশেষ দৈনিক স্বজন- এর রিপোর্টসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

বলির পাঁঠা কে?

মোহাম্মদ মাসুদ :

ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে হঠাৎ করেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া ঘিরে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। অথচ এই গ্রেফতারের নির্দেশ এসেছিল সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই—প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরী, আইজিপি এবং ডিএমপি কমিশনারের তরফ থেকে। তাহলে এখন প্রশ্ন ওঠে, বলির পাঁঠা হচ্ছেন কেন একজন সৎ, দক্ষ ও পরিশ্রমী পুলিশ কর্মকর্তা?

রেজাউল করিম মল্লিক দায়িত্ব নেওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভেঙে পড়া ইউনিটকে নতুনভাবে গুছিয়ে তোলেন। তিনি প্রচারের আলোতে আসেননি, প্রেস ব্রিফিং বা মিডিয়া নাটকের আশ্রয় নেননি। হারুন-যুগের ‘ভাতের হোটেল’ সংস্কৃতির বাইরে থেকে কাজ করেছেন। অথচ এমন একজন কর্মকর্তাকেই সরিয়ে দেওয়া হলো, যাকে পুলিশ বিভাগের অনেকেই জনপ্রিয়, ভদ্র এবং পেশাদার অফিসার হিসেবে চেনেন।

সরকারি উপদেষ্টাদের কেউ কেউ এখন বলছেন, মেঘনা আলমের গ্রেফতার প্রক্রিয়া ছিল ত্রুটিপূর্ণ। যদি সত্যিই তা হয়ে থাকে, তাহলে ডিবির সংশ্লিষ্ট ইউনিট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যেত। কিন্তু গোটা দায় একজন ইউনিটপ্রধানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠছে—এই সিদ্ধান্ত কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত?

যদি পুলিশের অভ্যন্তরে কর্মঠ, নির্লোভ কর্মকর্তারা এভাবেই বলি হন, তাহলে গোটা বাহিনীর মনোবলই শুধু নয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার গোড়াতেই ফাটল ধরবে। একজন কর্মকর্তাকে তার কাজের স্বীকৃতির বদলে রাজনৈতিক চাপে সরিয়ে দেওয়া হলে, পরবর্তী অফিসাররা কতটা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, তা ভাববার বিষয়।

এই সিদ্ধান্তটি কেবল একজন ব্যক্তিকে অপদস্থ করার নয়, বরং গোটা প্রশাসনিক শৃঙ্খলার ওপর এক প্রকার প্রশ্নচিহ্ন। তাই আমরা মনে করি, রেজাউল করিম মল্লিকের অপসারণের ঘটনাটি খতিয়ে দেখা উচিত এবং ভবিষ্যতে এমন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীলতা ও স্বচ্ছতা থাকা বাঞ্ছনীয়।

লেখক :
সম্পাদক ও প্রকাশক
দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা