বর্ণাঢ্য আয়োজনে জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

 

উম্মে রাহনুমা, জবি প্রতিনিধি

দিনব্যাপী নানা আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমদ (ট্রেজারার)।উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রধান উপদেষ্টা ইমতিয়াজ উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড.আইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ড.লুৎফর রহমান। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জবি ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড.দীপিকা রাণি সরকার, প্রক্টর মোস্তফা কামাল, সহকারী প্রক্টর মাহিউদ্দিন মাহি,প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক জি এম আল আমিন।রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক রিসাত রহমান স্বচ্ছ সহ অন্যান্য সাংবাদিক সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিন দিন সাংবাদিকের সংখ্যা বাড়তেছে এটা সত্যিই আনন্দের তবে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য আমার পরামর্শ আপনারা আক্রমনাক্তক না হয়ে বরং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরেন এবং রিপোর্টারস ইউনিটে যারা নবীন তাদের জন্য অবশ্যই কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলবেন।

রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রধান উপদেষ্টা ইমতিয়াজ উদ্দীন বলেন, সততা সাহসিকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে আমাদের সামনের দিনগুলোকে পাড়ি দিতে হবে। নানা প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে আপসহীনভাবে কাজ করে যাবে জবিরিইউ এবং সারাদেশে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে জবিরিইউ।

সভায় রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘বঙ্গবন্ধু’ বাংলাদেশ ও গণমাধ্যম শীর্ষক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়
সভা শেষে ভিসি ভবনের সামনে থেকে র্যালি বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য,২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীলতার চেতনাকে ধারণ করে ‘হোক সত্যের পক্ষে প্রবল পক্ষপাতিত্ব’ স্লোগানকে সামনে রেখে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চা করে আসছেন।

৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর পুরান ঢাকার কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ, নটরডেম কলেজসহ বেশকিছু কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালায়। এ হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।রোববার দুপুর ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে প্রথম হামলা চালায়। হামলায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কারসহ ৫টি যানবাহন ভাঙচুর ও কলেজের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করা হয় বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডিএমআরসি কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই হাসপাতালের সামনে বুধবার থেকে বিক্ষোভ করছিল ডিএমআরসি কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু, কবি নজরুল ও সোহরাওয়াদী কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিক্ষোভরতদের ওপর হামলা করে। এ হামলার প্রতিবাদে  দুপুরে ডিএমআরসি কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, নটরডেম কলেজসহ ঢাকার বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা করে।

পরে উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং বিকেল পর্যন্ত তা চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিক্ষোভকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজ সকালে ডিএমআরসি ও আশেপাশের কলেজগুলো ন্যাশনাল মেডিক্যালের সামনে বিক্ষোভ করতে গেলে কবি নজরুলের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়। পরে আমরা সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের হামলার জবাবে তাদের প্রতিহত করি। এতে এখন পর্যন্ত আমাদের প্রায় ২৫-৩০ জন আহত হয়েছে।’

জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ পরীক্ষা ছিল। গতকাল রাতে ডিএমআরসি কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছিল যে, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছে, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কিছু হবে না। কিন্তু আজ দুপুর সোয়া ১টায় কিছু বোঝার আগেই সিসিটিভিতে দেখি প্রচুর ছেলেমেয়ে এসেছে। গেট ভেঙে ঢুকেছে। ইচ্ছামতো ভাঙচুর করেছে, গাড়ি ভাঙচুর করেছে। গ্যাস লাইন ছেড়ে দিয়েছে।’

যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান  বলেন, ‘ন্যাশনাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ডিএমআরসি কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আপাতত ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

এই পরিস্থিতি কে কেন্দ্র করে আজ, 

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তারা কলেজ ভবন ভাঙচুর ও প্রতিষ্ঠান থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।’

ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ এক ডজনের বেশি কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী পুরান ঢাকার কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলার একদিন পর এই হামলার ঘটনা ঘটল।

আজ কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে মিছিল নিয়ে যায়।

সংঘর্ষ চলাকালে শিক্ষার্থীরা হামলা ও একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটের টুকরো নিক্ষেপ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়।

ড. মাহবুবুর রহমান কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ সামীর বলেন, শিক্ষার্থীর নাম ধরে লোকজন ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় আমাদের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। তারা প্রতিটি রুমে ভাঙচুর করে এবং লুটতরাজ চালায়। হামলায় শতাধিক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী আহত হয়ে আশেপাশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গত ১৮ নভেম্বর ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ছাত্র অভিজিত। মৃত্যুর জন্য চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।

২১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিক্ষোভরত মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

হামলার পর অভিজিতের মৃত্যু ও পরবর্তীতে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল মোল্লা কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও নটরডেম কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়।

শিক্ষার্থীদের জমায়েত কবি নজরুল কলেজ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কলেজে প্রবেশের চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।

দুপুর ১টার দিকে কবি নজরুল কলেজ থেকে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলমান থাকায় সোহরাওয়ার্দী কলেজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল, একটি গাড়ি, একটি মাইক্রোবাস ও একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা।

 

সবা:স:জু-১৮৯/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম