হাফ পাস নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাড়া পেলো তরঙ্গ প্লাস পরিবহনের আটক দুই বাস

এম,এ,এস হুমায়ুন কবির,ঢাকা কলেজ প্রতিনিধিঃ
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের থেকে হাফ পাস নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাড়া পেলো তরঙ্গ প্লাস পরিবহনের আটক দুই বাস। সোমবার (২২ নভেম্বর) রাতে ঢাকা কলেজে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুল করিম।
তিনি বলেন, এখন থেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড দেখিয়ে তরঙ্গ প্লাস বাসে হাফ পাস দিতে পারবেন। পরিবহনের মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সামনে আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই সাথে আজকের অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যয়ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ বহন করবেন বলে তারা স্বীকার করেছেন।
এর আগে, ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তরঙ্গ প্লাসের দুটি বাস আটকে রাখে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। মারধরের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম মিরাজ হোসেন। তিনি ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মূলত সোমবার সকালে শাহবাগ এলাকায় বাসের সহকারী দ্বারা মারধরের শিকার হন এই শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, আজকের সকালে মালিবাগ থেকে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা কলেজে আসছিলাম। পথিমধ্যে শাহবাগ এলাকায় আসলে ভাড়া চাওয়ার পর নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী আমি ভাড়া দিতে চাইলে আমার কাছ থেকে আরো অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে। পরে আমি ভাড়ার চার্ট দেখতে চাইলে আমার সাথ দুর্বব্যবহার করেন। একপর্যায়ে আমাকে মারধর করে টি শার্ট ছিড়ে ফেলে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেন একটি দলের বাহিনীঃ শামসুজ্জামান দুদু

 

জুয়েল রানাঃ

পেশাজীবীসহ সকল‌কে ঐক‌্যব‌দ্ধের আহ্বান জানি‌য়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ব‌লে‌ছেন, এই কর্তৃত্ববাদী সরকারকে যদি হঠাতে না পারি তাহলে আগামী দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে।’

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা কালো আইন বাতিল, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার, দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক দিনকালসহ সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিতে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব‌্য তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

দুদু ব‌লেন, এই সরকার দেশে ভয়ের সাংস্কৃতি তৈরি করতে চাচ্ছে। দেশের জনগণকে ভয় দেখিয়ে ঘরে রাখতে চাচ্ছে। আর সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে তাদের লেখার, বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী সরকারের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক কোনো কিছু পাব এটা আশা করা যায় না।

অন্ধকার যুগ মনে হয় আবার ফিরে এসেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ১০ থেকে ১৫ বছর দেশে একটি শ্বাসরুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু মতিউর রহমানের উপর প্রথম আক্রমণ আসেন নাই। মাহমুদুর রহমানের উপর আক্রমণ এসেছে। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক শফিক রহমানের উপর আক্রমণ এসেছে। তিনি এমন আক্রমণের শিকার হয়েছেন যে, এই বৃদ্ধ বয়সে দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে হয়েছে। তারপর পত্রিকা বন্ধ। আমার দেশ পত্রিকা, দিনকাল, দিগন্ত টিভি, ইসলামী টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রম দেখলে সেই বাকশালের কথা মনে পড়ে যায়। যখন চারটি পত্রিকা রেখে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এক নেতার এক দেশ করা হয়েছিল। সে ছাড়া আর কেউ নেতা হতে পারবে না। আর কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না দেশে কোনো সংবাদমাধ্যম থাকবে না। সেই অন্ধকার যুগ যেন আবার ফিরে এসেছে।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই দেশ যে জন্য স্বাধীন করা হয়েছিল সবকিছু আজ পদদলিত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেন একটি দলের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রশাসন যেন একটি দলের প্রশাসন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সারা জীবন গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করে এসেছে। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সম্মতি স্বৈরতন্ত্রের পক্ষ নিয়েছে। আমাদের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তাদের সংগঠন এই স্বৈরতন্ত্রের সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বিবৃতি দিচ্ছে।

‌তি‌নি ব‌লেন, জাতিসংঘ থেকে বলা হয়েছে ডিজিটাল আইন বাতিল করুন। আর আমাদের গণধিকৃত সরকার ও গণধিকৃত আইনমন্ত্রী বলেছে এটা বাতিল করার প্রয়োজন নেই। মানুষ খেতে পাচ্ছে না। কাজ নাই, চাকরি নাই। আর এই কথা মানুষ বলতে পারবে না। আর বললেও সাংবাদিকরা লিখতে পারবে না। কি ভয়ঙ্কর ব্যাপার।

তিনি বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ যে সকল সাংবাদিক ও সম্পাদক এর উপর মামলা করা হয়েছে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। ডিজিটাল আইনের এ-টু জেড বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

কৃষক দলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, ভালোই ভালো দাবিগুলো মেনে নেন। দাবি মেনে না নিলে যখন আন্দোলন শুরু হবে বাতিল আপনাদের করা লাগবে না। আপনারা পুরোটাই বাতিল হয়ে যাবেন, আপনাদের পুরোটাই পালাতে হবে।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া। চারটি বছর তাকে জেলখানায় বন্দি করে রেখেছে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ১৬ থেকে ১৭ টি বছর ধ‌রে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, বাবরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে সকল রাজবন্ধীদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, বাছির জামাল, রাশিদুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম