আশুলিয়ায় সুদ ব্যবসার অন্তরালে সাংবাদিক পরিচয় দান কারী প্রতারক ফরহাদ  গ্রেফতার 

 

ডেস্ক রিপোর্ট :

আশুলিয়ায় ফরহাদ হোসেন(৫২) নামে এক প্রতারক ও সুদ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশ ।
গত ১০ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) দুপুর সাড়ে বারোটার সময় শিমুলিয়া ইউনিয়নের টেংগুরী, হারুন গেইট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় ।
পুলিশ জানান,দেলোয়ার হোসেন নামে এক ভুক্তভুগী বাদী হয়ে ফরহাদ হোসেন এর বিরুদ্ধে আদালতে ৪২০,৪০৬,৫০৬ ধারায়, সি আর মামলা নং ১১২/২৪ দ্বায়ের করেন । ঐ মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে জিরানী টেংগুড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
মামলার বাদী থাই গ্লাস ব্যবসায়ী ভুক্তভুগী দেলোয়ার জানায়, ব্যবসার প্রয়োজনে ইসলামী ব্যাংক জিরানী বাজার শাখা ব্লাঙ্ক চেক নং IBU-8768434 জমা দিয়ে ফরহাদের নিকট থেকে ২ লাখ টাকা লাভের উপর ঋণ নিয়েছিলেন । তার মেয়াদকালিন সময়ের মধ্যে কিস্তিতে ৪ লাখ টাকা প্রদান করার পরেও অবৈধ সুদ ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন আরো ২ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল । কিন্তু, অতিরিক্ত আর কোন টাকা দিতে অস্বীকার করায় ফরহাদ হোসেন অতিরিক্ত টাকা আদায়ের উদ্যেশ্য হাসিল করতে ঐ চেক ডিজওনার করে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে কোটে একটি মামলা দ্বায়ের করেন । তারই ধারাবাহিকতায় ফরহাদের বিরুদ্ধে দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আদালতে কাউন্টার সি আর মামলা করেন, মামলা নং ১১৩/২৪। মামলা রুজু হওয়ার পর বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারই সূত্র ধরে মামলার আসামী ফরহাদকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে মহামান্য আদালত তাকে জেল-হাজতে প্রেরণ করেন।
টেংগুরী এলাকার আর এক ভুক্তভুগী কনস্ট্রকশন সামগ্রী সাপ্লাইয়ার মাহফিজুর রহমান অপু জানায়,তার ব্যবসায় বড় একটি অর্ডার এর বিল পরিশোধ করতে বিশেষ প্রয়োজনে উত্তরা ব্যাংক জিরানী শাখা”র চেক বই এর একটি পাতা নং-4393365 জমা রেখে ফরহাদের নিকট থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভের উপর ঋণ গ্রহণ করেন । সেই টাকার সুদসহ ৫ লাখ টাকা প্রদান করার পরে ফরহাদ হোসেনের কাছে তার জমা রাখা চেক ফেরত চাইলে ব্লাকমেইলার সুদ ব্যবসায়ী ফরহাদ আরো অতিরিক্ত ৮ লাখ টাকা দাবি করেন । সেই অতিরিক্ত টাকা দিতে অপারাগ প্রকাশ করায় চেকের অংক বসানোর স্থানে তার মন মত ২৬ লাখ টাকা বসাইয়া উত্তরা ব্যাংক জিরানী শাখা থেকে চেকটি ডিজওনার করেন । যে চেকটির মুরির সাথে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লেখা ও স্বাক্ষর রয়েছে । যাহা ফরহাদ হোসেনের নিজ হাতে লেখা । অথচ,জালিয়াতি করে ঐ অংকের স্থানে ২৬ লাখ টাকা রুপান্তরিত করা হয়েছে । এ বিষয়ে মাহফিজুর রহমান আইনের আশ্রয় নেয় এবং একটি মামলা দ্বায়ের করে । যার মামলা নং ১১২/২৪ , ঐ মামলায় ফরহাদ জামিনে মুক্তি পেয়েছে ।
এদিকে আর এক ভুক্তভুগী মাসুদ রানা বলেন, তার শ্রমিক কলণী আগুনে পুরে যাওয়ার পর ঐ কলণী সংস্কার কাজের জন্য ফরহাদের নিকট থেকে ২ লাখ টাকা সুদে গ্রহণ করলে এবং সে আমার নিকট থেকে NRBC ব্যাংক মানিকগঞ্জ শাখার একটি চেক জমা নেয় । যার নং SB-3418229 । তাকে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার পরেও সে চেক ফেরত না দিয়ে অযুক্তি ২০লাখ টাকা দাবি করে । তার অযুক্তি দাবির টাকা না দেওয়ায় সে আমাকে আমার দোকানের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ মারধর করে ও বিভিন্ন হুমকী প্রদান করে । নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমি বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছি,যার নং-১৮৯৮।
এলাকাবাসী জানান,চড়া মূল্যে টাকা সুদে ছেড়ে, নামে-বেনামে রেকর্ড ও খাস জমি বায়না ও দখল করে রেখেছে ।ময়লার সুইপারদের নিকট থেকে,ব্লাংক চেক নিয়ে চড়া মূল্যে সুদে টাকা দেওয়া,বিচার করে টাকা খাওয়া,মাটির ব্যবসায়ীদের সাথে লিয়াজু করে টাকা খাওয়া, ক্লিনিকে চাঁদা আদায়,জোড় পূর্বক সুদের টাকা উঠানো,খাস জমি দখল করে দিয়ে নিজের নামে জমি স্টাম করে নেয়াসহ এমন কোন অপকর্ম নাই তিনি শিমুলিয়া ইউনিয়ন এর মধ্যে করে না এলাকাবাসি ফরহাদের মত এমন ব্লাক মেইলার ও সুদখোর এর বিরুদ্ধে আইনের কাছে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানায়।

সাংবাদিক পরিচয়ে তার এ অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ট। সুনামধন্য আশুলিয়া প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে চালাত এ ধরনের অপকর্ম। আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সম্মানিত পরিচালনা পর্ষদকে সাংবাদিক পরিচয় দানকারী প্রতারক ও চাঁদাবাজ ফরহাদ কে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য পদ থেকে যেন অতিস্বত্তর বহিষ্কার করা হয় এমনটাই দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসী।

জবিস্থ জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে হারুন-শাকিল

উম্মে রাহনুমা,জবি প্রতিনিধি:

আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জামালপুর জেলা কল্যাণের নতুন কমিটি অনুমোদিত হয়েছে। গণিত বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হারুন সভাপতি ও ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাকিল খানকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনীত হয় উম্মে রাহনুমা রাদিয়া এবং লু্ৎফর রহমান সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছে। জুবায়ের ইসলাম রিয়ন সাংগঠনিক পদে নির্বাচিত হয়েছেন৷ দপ্তর সম্পাদক মুয়ীদ খান, প্রচার সম্পাদক হাসানুর রহমান রাহীম নির্বাচিত হয়েছেন।

উপদেষ্টামণ্ডলী মিয়া রাসেল,হাসিব সরকার, আহসান মল্লিক,মাসুদুল ইসলাম, ফারহান আহম্মেদ রুবেল, শামিম মিয়া,আল- আমিন মিয়া কমিটির অনুমোদন দেন।

উপদেষ্টা মিয়া রাসেল বলেন,জামালপুর জেলা হতে আগত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীর আস্থা ও নির্ভরতার জায়গা হচ্ছে জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ। নবগঠিত কমিটির উপর আস্থা রেখে বলছি আগামী দিনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জামালপুর জেলাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ।

উপদেষ্টা শামীম মিয়া বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে দলমত নির্বিশেষে জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণের কমিটি ঘোষণা করেছি।এটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। বিভিন্ন কর্মকান্ড যেমন: শিক্ষা বৃত্তি, আবাসন নিশ্চিত, লিভিং কস্ট নিশ্চিত, টিউশন ব্যবস্থা করা, ক্রীড়া ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সহ আরো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

নবনির্বাচিত সভাপতি হারুন বলেন, জেলা ছাত্রকল্যাণ হলো একটি শিক্ষার্থী বান্ধব সংগঠন। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছোটো ক্যাম্পাসে সংকটের অভাব নেই। ছাত্রীদের জন্য একটি হল থাকলেও, ছাত্রদের কিছুই নেই। আর নতুন যারা আসে তারা অনেকেই আর্থিক সমস্যায় ভোগে।তাই নতুনদের জন্য বৃত্তি বা টিউশন ব্যবস্থা এবং আগত সবাই কে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সবার মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রতি বৃদ্ধিতে কাজ করে যাব। যাতে সিনিয়র-জুনিয়রের মেলবন্ধন ঘটিয়ে জামালপুর ছাত্রকল্যাণ কে জগন্নাথে অন্য ছাত্রকল্যাণের জন্য রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।

সাধারণ সম্পাদক শাকিল খান বলেন, জেলা কল্যাণ একটি স্বেচ্ছাসেবা মূলক সংগঠন। যার মূল লক্ষ্য একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসা। আমার প্রচেষ্টা থাকবে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জামালপুর জেলা কল্যাণকে একটি গতিশীল সংগঠনে রূপান্তরিত করা এবং সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। জেলা কল্যাণের সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিনিয়র, বন্ধু এবং জুনিয়রদের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম